বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০১৬ সালের জন্য ৫৬ ব্যবসায়ীর কাছে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা সিআইপি (শিল্প) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বিদেশিদের প্রতি নির্ভরশীলতা এড়াতে এবং দেশকে আরো এগিয়ে নিতে শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অন্য জায়গায় আরো শিল্প স্থাপনের আহ্বান জানান।
‘এখন আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম এবং আমাদের দেশ অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হচ্ছে। আপনাদের (ব্যবসায়ী) সাহায্য ও সহযোগিতায় দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমার আশা দেশ ২০৪১ সালের অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হবে,’ যোগ করেন আমু।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই করে ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে যে সমুদ্র এলাকা পেয়েছি তার সম্পদ যদি যথাযথভাবে আহরণ এবং ব্যবহার করতে পারি তাহলে এটি আমদের শুধু উন্নত দেশ নয়, বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করবে।’
বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ সামগ্রীক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৬ জন উদ্যোক্তাকে সিআইপি (শিল্প) কার্ড দিয়েছে সরকার।
পাঁচ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ৪৮ জন এবং পদাধিকার বলে আটজন এই কার্ড পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বৃহৎ শিল্পে ২৫ জন, মাঝারি শিল্পে ১৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্পে ছয়জন, মাইক্রো শিল্পে একজন এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে একজন রয়েছেন। তারা কার্ড পাওয়ার দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত সিআইপি মর্যাদার সুবিধা ভোগ করবেন।
সিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্তরা অন্যান্য সম্মানের পাশাপাশি সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য বিশেষ পাস, গাড়িতে বিশেষ স্টিকার ব্যবহার এবং কিছু সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পান। সেই সাথে তারা বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান এবং বিদেশ ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’ পেয়ে থাকেন।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে সিআইপি ও তাদের পোষ্যরা হাসপাতালে অগ্রাধিকারভাবে কেবিন পান।