পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) কার্ড দেয়া হয়েছে। রপ্তানি বিভাগে ১৩৭ জন এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ৪১ জন পরিচালক কার্ড পেয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর টিসিবি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাঝে সিআইপি কার্ড হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বেসরকারি খাত থেকে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে।
‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে রপ্তানি শুরু করেছিলাম। আর বর্তমানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যবসায়ীদের মাঝে আমরা সিআইপি কার্ড বিতরণ করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ... তবে তার মেয়ে শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন সফল করেছেন।’
‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের যোগ্যতা অর্জন করবে,’ যোগ করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি মানেই বেসরকারি খাতের অর্থনীতি। বেসরকারি খাতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হলেও আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সরকার অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমরা সেই প্রকল্পগুলোতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রপ্তানি সম্প্রসারণ ব্যুরো (ইপিবি) এর সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিআইপি কার্ডপ্রাপ্তরা দেশের সকল বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন, দূতাবাস থেকে ভিসা সহায়তা পাবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি হাসপাতালে কেবিন বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এছাড়া কার্ডধারীরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিনা বাধায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং বিজনেস ট্রিপে বিমান, রেলওয়ে এবং নৌপথের টিকিট বুকিংয়ে অগ্রাধিকার পাবেন।