এবিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত এলডিসির বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এরপর বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চতুর্থ ইউরোপিয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’-এ বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘এভ্রিথিংস বাট আর্মস’ এর আওতায় জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশ এ জন্য ইউরোপিয় ইউনিয়নের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। মোট রপ্তানির প্রায় ৫২ শতাংশ ইউরোপিয় ইউনিয়নে হয়ে থাকে। বর্তমানে সেখানে মোট রপ্তানি হচ্ছে ২১.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ আমদানি করছে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। বেশকিছু অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নকে এখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহী।
তোফায়েল বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য কাস্টমস, ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্যাক্স, ফাইন্যানসিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ বিষয়ে পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। গ্রুপগুলো বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে ২০১৬ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ চালু করা হয়। ফলে ইউরোপিয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে।