‘জনগণের মুখোমুখি হওয়া আওয়ামী লীগের মূল চ্যালেঞ্জ। জনগণ যে তাদের বর্জন করবে তা বুঝতে পেরে তারা সব ধরনের দুষ্টামি শুরু করেছে। তারা ইভিএম আনছে এবং পুলিশকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে বলছে,’ যোগ করেন তিনি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘যদি আপনারা অর্থবহ নির্বাচন আয়োজন করতে চান তাহলে সবাইকে (রাজনৈতিক বন্দী) মুক্তি দিন। জনগণকে প্রতিহত করাই হলো তাদের (আওয়ামী লীগ) মূল চ্যালেঞ্জ এবং তারা সেটা করতে পারবে না।’
ফখরুল সতর্ক করে দেন যে দেশের জনগণ দমন নিপীড়ন সহ্য করবে না। ‘তারা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে এবং বর্তমান অশুভ শক্তিকে পরাজিত করবে।’
তিনি বলেন, জনগণ সরকারের অপশাসন ও নিপীড়নমূলক কাজের বিরুদ্ধে পুনরায় রাস্তায় নেমে আসবে। তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙে পড়বে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে আগামী দিনগুলোতে জোরালো কর্মসূচি ঘোষণা করার আভাস দিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘তার (খালেদা) মুক্তির দাবিতে আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আবারো জোরালো কর্মসূচি আসছে। আপনারা যথাসময়ে তেমন কর্মসূচি দেখতে পাবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি অংশ না নিলে ১১তম সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ‘সুতরাং একটি গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বড় ভূমিকা রয়েছে।’
গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তবে তিনি গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে ফখরুল বলেন, কোনো পরিস্থিতিতেই বিএনপি ধ্বংস হবে না। এটি বাংলাদেশের জনগণের প্রিয় দল। অনেক বাধা ও প্রতিকূল অবস্থা পাড়ি দিয়ে বিএনপি আজকের অবস্থানে এসেছে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা, সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সেনা মোতায়েন করতে হবে বলে দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।