শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহিংসতা ও নারী: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘সংসদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য বর্তমান সংসদ সদস্যদের নৈতিক বৈধতা নেই, কারণ তারা নির্বাচিত নয়। নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে নিষ্ঠুর প্রহসন করা হয়েছে।’
নারীর প্রতি সহিংসতার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এই সংসদ কি নারীদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, সে বিষয়ে কথা বলবে? বলবে না। কারণ তাদের লোকেরাই এই কাজগুলো করছে।’
ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার উপক্রম করছে। ক্ষমতা নেয়ার জন্য তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না।
‘আওয়াজ’ নামে একটি নতুন নারী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদা রফিক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মূল প্রবন্ধে ঢাবি অধ্যাপক নারী নির্যাতনের অতীত ও বর্তমান পরিসংখ্যান তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে একটি আলাদা মন্ত্রণালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, আজকে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশনের টক শোগুলোয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্টের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ান। আওয়ামী লীগ যে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিল, সে বিষয়গুলো বলার সাহস তারা পান না।
সরকার সফলতার সাথে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘আতঙ্ক’ ছড়াতে সফল হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের সফলতা এই জায়গায় যে তারা একটি ভয়ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে, এই ভয়ভীতির কারণে মানুষ আর কথাই বলতে চায় না।
ইকোনমিস্ট সংবাদপত্রের শিরোনাম ‘অবিচুয়ারি টু ডেমোক্রেসি’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, গোটা পৃথিবীর গণমাধ্যম জানে যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে।