অপর দিকে মুরাদনগর থানা পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক র্যালিতে বাধা দিয়েছে। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোকসভা মঞ্চে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসন না দেয়ায় বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের করা হলে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়, শোক র্যালি করাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এবং জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সমর্থরা আলাদাভাবে জড়ো হন। পরে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে র্যালি বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে বাধা উপেক্ষা করে র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহলে যোগ দেয়।
অপর দিকে, সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরে কবি নজরুল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভার মঞ্চে নেতাদের আসন না থাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এতে প্রায় ৩০ মিনিট অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে। এ সময় মিলনায়তনের বাইরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ইকবাল (১৮) নামে একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদুল আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র্যালি সকাল ১০টায় বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসময় আলাদাভাবে র্যালি করার বিষয়টি আমাদের কেউ অবগত করেনি। তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই আওয়ামী লীগের র্যালিটি ১০টার পর করার অনুরোধ করা হয়েছিল।