সোমবার বিকালে ২ মাস ৬ দিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে ১৮ মামলায় জামিন পেয়ে তিনি চাঁদপুর কারাগার থেকে বের হন।
জেলগেটে দলীয় আইনজীবী ও নেতা-কর্মীরা মিলনকে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগে ৪৪৯ দিন যে মামলায় কারাগারে ছিলাম, এবার ওই একই মামলায় আবার ৬৮ দিন কারাগারে সাজা ভোগ করলাম। তাই বলার কিছুই নেই।’
এর আগে ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে চাঁদপুরে আদালতে এনে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বিএনপির এ নেতা গ্রেপ্তারের আগে দীর্ঘদিন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে থাকার কারণে মামলাগুলোতে হাজিরা দিতে না পারায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
তার বিরুদ্ধে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২৮টি মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে এসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মিলনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে এসব মামলা দায়ের করা হয়। অধিকাংশ মামলা ছিল গাড়ি ভাঙচুর, ভ্যানিটি ব্যাগ, মানি ব্যাগ, ঘড়ি, হোন্ডা চুরিসহ অন্যান্য মামলা। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এসব মামলার মধ্যে ১৮টি মামলায় জামিনের জন্য চাঁদপুরের আদালতগুলোতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে। পরে এসব মামলার মধ্যে পৃথকভাবে কয়েকটি করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন করা হয়। সর্বশেষ সোমবার সকালে জনৈক মান্নান হত্যায় অভিযুক্ত মামলায় মিলন জামিন পান।