তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করার যে ডাক দিয়েছে কেউ সেই মেরুকরণে পা দেবেন না। ওই সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ২০০১ সালের চেয়ে ভয়াবহ পরিবেশ সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য অপেক্ষা করছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।’
‘তাই এই অপশক্তিকে রুখে দিতে শেখ হাসিনার সরকারকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। কেননা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার।’
রবিবার পলাশী মোড়ে জন্মাষ্টমীর এক শোভাযাত্রা উদ্বোধনের সময় প্রধান অথিতির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে দুই ধরনের শত্রু আছে। একটি হচ্ছে প্রকাশ্য শত্রু, আরেকটি গোপন ছদ্মবেশী শত্রু। আমি প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে গোপন ছদ্মবেশী শত্রুকে বেশি ভয় পাই। তারা আগামী নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করে দেশে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে আমাদের রুখে দিতে হবে। এদের আগামী নির্বাচনে প্রতিরোধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী যে সংসদ অধিবেশন হবে সেটাই হবে শেষ সংসদ অধিবেশন এবং অধিবেশন শেষ হলে এর পর আর কোনো সংসদ সদস্যের সরকারি ক্ষমতা থাকবে না। ফলে নির্বাচনের মাঠে কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকবে না; ইসির আইন অনুযায়ী চলতে হবে সবাইকে। তাই যারা সংসদ নিয়ে কথা বলছেন তাদের কথা ভিত্তিহীন।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ১/১১ সময় এ দেশকে নির্মূল করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, তারাই বলছে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে যে যতই ষড়যন্ত্র করেন, কোনো লাভ নেই। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় করছে তারাই বলছে নির্বাচন হবে না।’