বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশে বিপুল অর্থ লোপাটের ষড়যন্ত্র দেশবাসী কোনোভাবে মেনে নেবে না। তাই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে বলতে চাই, ইভিএম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকুন।
নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা আরো কমে যাবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ইভিএম ক্রয় নিয়ে যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কমিশনকে দায় বহন করতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, ডিজিটাল ভোট চুরির পথ থেকে সরে আসার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে জোড় দিয়ে বলছি। অন্যথায় এমন অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য সব ষড়যন্ত্রকারীকে এর মূল্য দিতে হবে।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইভিএম ব্যবহারের ওপর বিভিন্ন অনিয়মের উদাহরণ ও যুক্তি তুলে ধরেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার সময় ইভিএম ব্যবহার না করার কথা বলেছিলেন উল্লেখ করে ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হঠাৎ কী কারণে, কাকে বিজয়ী করার উদ্দেশে এবং কার নির্দেশে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন? এখন কী এমন হলো যে, চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করতে হবে?
ইভিএম-এর মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব জানিয়ে ফখরুল বলেন, সেখানে এক ক্লিকেই পাঁচটি ভোট দেয়া যায়।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে সকল পক্ষের সাথে আলোচনার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সু্ষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণের কথা বলেন।
চার হাজার কোটি টাকার ইভিএম ক্রয়ের পরিবর্তে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচন কমিশনকে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছেন।