ইউএনবির সাথে আলাপকালে গণফোরামের দুই এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২) জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, জনগণ তাদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে সেই রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দলটি সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন, গণফোরামের নির্বাচিত এমপিদের জাতীয় সংসদে না পাঠানোর আগের সিদ্ধান্তে তাদের দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখনো অটল।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তাদের দলে আলোচনা হতে পারে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ড. কামাল হোসেন দেশে আসার পর নেয়া হবে।
সুব্রত জানান, ড. কামাল হোসেনের সোমবার দেশে ফেরার কথা ছিল, তবে অনিবার্য কারণবশত এই তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘স্যার (কামাল) দুই-এক দিন পর দেশে ফিরবেন।’
তিনি বলেন, সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। ‘জোট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও তারা কীভাবে সংসদে যোগ দেয়ার কথা বলেন জিজ্ঞাসা করা হবে।’
গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম পথিক জানান, সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে তাদের দল কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সুলতান মনসুর দাবি করেন, গণফোরামের দুই এমপির সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে তাদের দলের নেতারা ইতিবাচক। ‘আমাদের দলের নেতা কামাল হোসেন এর আগেই বলেছেন, সংসদে যোগ দেয়ার ব্যাপারে আমাদের দল ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, জনগণের পক্ষে ভূমিকা রাখতে শেষ পর্যন্ত দল আমাদের সংসদে পাঠাবে।’
‘প্রতিকূল পরিবেশেও সাহসিকতার সাথে জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছেন। তাদের পক্ষে কাজ করা আমাদের কর্তব্য,’ যোগ করেন গণফোরামের নির্বাচিত এমপি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের দল শপথ নেয়ার অনুমতি না দিলে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনসুর বলেন, ‘নেতিবাচক কোনো চিন্তা করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি এ বিষয়ে দল ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবে।’
এদিকে গণফোরামের আরেক নেতা মোকাব্বির খান জানান, তাদের দল শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
তবে দল যে সিদ্ধান্তই নেবে তা তিনি মেনে নেবেন বলে জানান।
বিএনপি, গণফোরাম এবং আরও কয়েকটি দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে বিএনপি ৬টি এবং গণফোরাম ২টি আসনে জয় পায়।
‘ব্যাপক ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে।