সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) কবির হোসেন বাদী হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে শুক্রবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে প্রাণসায়ের খাল সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসানের বাড়ির সামনে ৭০/৮০ জন বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র নেতাকর্মী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার অভিপ্রায়ে জড়ো হয়। তারা সমবেত হয়ে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করে। পুলিশ সেখানে হাজির হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এসআই কবির বলেন, এসময় সেখান থেকে সদর থানার ভোমরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাও. ওবায়দুল্লাহ, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর মধ্যপাড়ার রজব আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান ও আলিপুর বাজার এলাকার মাহাবুবর রহমানের ছেলে মোহাম্মাদ আলীকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরকার বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশ বলেন, আমি ঈদের আগে থেকেই ঢাকাতে অবস্থান করছি। অথচ সাতক্ষীরাতে আমার নামে মামলা হয়েছে। যেটা হাস্যকর ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোনঠাসা করার পাঁয়তারা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে চলমান আন্দোলন স্তিমিত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহারে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।