বুধবার মামলার ৪৫তম আসামি বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম।
বাবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য ও অযৌক্তিক উল্লেখ করে মামলা থেকে তার বেকসুর খালাস দাবি করেন আইনজীবী নজরুল।
তবে রাষ্ট্র পক্ষের দাবি, বাবর রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দিয়ে অপরাধীদের পালাতে ও আড়াল করতে সহায়তা করেছেন এবং হাওয়া ভবন ও ধানমণ্ডিতে আবদুস সালাম পিন্টুর সরকারি বাসভবনে তারেক রহমানসহ অন্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন।
আদালত আইনি পয়েন্টে সমাপনী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছে।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে মামলার বিচার কাজ চলছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল।
বর্তমানে বিচার চলা ৪৯ আসামির মধ্যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক আছেন। আর লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং আটজন জামিনে রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।