‘আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকরা এখানে নিজেদের অধিকার নিয়ে বাস করবেন। এই মাটি আপনাদেরও...এখানে আমি ও আপনি বলার কিছু নেই। বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিজেদের সম-অধিকার রয়েছে,’ বলেন তিনি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র...আর্থসামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ধর্মীয় রীতি...সবার সম-অধিকার রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সবার সম-অধিকার নিশ্চিত করা সরকার প্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব। ‘এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।’
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’- সরকারের এই নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করার জন্য সব ধর্মের মানুষ ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে এবং শহিদ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য তাদের রক্ত উৎসর্গ করেছে। ‘মানুষ রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছে...তাই এই দেশ সব ধর্মের মানুষের।’
সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ধর্মই শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয় এবং ধর্মের দৃষ্টিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের এই মাটির সন্তান আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত বাংলাদেশ গড়তে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।