শনিবার অনলাইন সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ হাটের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করে বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এটি বিশাল একটি ‘কালেক্টিভ এফার্টের’ ব্যাপার।
‘আমরা এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক ভুলত্রুটি হতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আল্টিমেট গোল হচ্ছে, যত্রতত্র গরু বেচাকেনা এবং কোরবানি না দিয়ে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনা। ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কেনাবেচা করা যাবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা ও কোরবানি দেয়া হলে পশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেগুলো আমরা ফেলে দিই, সেগুলো রপ্তানি করার জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। চামড়া সংরক্ষণ করা আগের চেয়ে সহজ হবে। এটি একটি কম্পোজিট প্রক্রিয়া।’
আতিকুল বলেন, ‘যারা অনলাইন থেকে গরু কিনবেন তাদের হাসিল দিতে হবে না। অনলাইন কোরবানির হাট থেকে কোরবানি দিন ৪০০ গরু, পরের দিন ১ হাজার গরু এবং তার পরের দিন ৬০০ গরু বিক্রয় করা হবে।’
আতিকুল ইসলাম বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের কোরবানি হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। যারা কোরবানি হাটে যাবেন তাদেরকে তিনি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।