জেলার ভাঙ্গায় ৫২০, সদরে ২ হাজার ৯৮৬, সদরপুরে ২৬৪, বোয়ালমারীতে ৪৭১, চরভদ্রাসনে ২০১, মধুখালীতে ৩০৭, আলফাডাঙ্গায় ১৬৮, সালথায় ১১৯ ও নগরকান্দায় ৩১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদুপরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৩ এপ্রিল।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে প্রথম দুই মাস পরিস্থিতি বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু রোজার ঈদের পরেই অতিরিক্ত হারে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫০ জন।’
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৪ জন। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪৪০ জন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর ইসলাম জানান, কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২০ হাজার ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আরও ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি গঠন করেছি। আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সুস্থতার সংখ্যাও কম নয়। আশা করি সবার সহযোগিতায় দ্রুতই এ মহামারি থেকে মুক্ত হতে পারব।’