শুক্রবার দুপুরে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেতী প্রু কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে সিরাজগঞ্জে কনের মা-চাচার কারাদণ্ড
জানা যায়, উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার কন্যা ও কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী কানিজ ফাতিমার সাথে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ মীরের (৩২) বিয়ের দিন ধার্য ছিল শুক্রবার।
কনের বাড়িতে বর চলে এসেছে। খাওয়া দাওয়া চলছে। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।
আরও পড়ুন: শেরপুরে সহকারী কমিশনারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
সিরাজগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই ছাত্রী
এ সময় বর সাজ্জাদ মীরকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক জেতী প্রু। বর সাজ্জাদ মীর উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের রাশেদ মীরের ছেলে। কনের পিতা আবুল কালাম মোল্যাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, ‘শিক্ষকের সাথে অপ্রাপ্তবয়সী ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বর শিক্ষক সাজ্জাদ মীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া কনের পিতাকে জরিমানা করা হয়।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে এক রাতে ৫ স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা
লালমনিরহাটে বাল্যবিয়ের দায়ে কাজির ৬ মাসের জেল, বরের অর্থদণ্ড
তিনি বলেন, একজন শিক্ষক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার বদলে নিজেই বাল্যবিয়ে করছেন, এ কারণে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।