ভ্রাম্যমাণ আদালত
শরীয়তপুরে ১০০ কেজি জাটকা জব্দ, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
শরীয়তপুরের পালং ও আঙ্গারিয়া বাজার থেকে ১০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে। এসময় জাটকা বিক্রির অভিযোগে পাঁচ ব্যবসায়ীকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সদর উপজেলার পালং বাজারে এবং আঙ্গারিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে ওই জাটকা মাছগুলো জব্দ করা করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে সদরের পালং বাজার ও আংগারিয়া বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রির খবর পেয়ে অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। এসময় পালং বাজার ও আংগারিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিক্রি করা অবস্থায় ১০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, জাটকা মজুত ও বিক্রির অভিযোগে বাজারের পাঁচ ব্যবসায়ীকে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫ ধারায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানা, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎতেও আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
নড়াইলে ৫ ইটভাটায় অভিযান, ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনুমোদনহীন সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান।
এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আতাউর রহমান, র্যাব, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ইট ভাটায় ড্রাম চিমনির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ভাটা মালিক অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে
বাকি ব্রিকস, সাগর ব্রিকস, সৈনিক ব্রিকস, জহুরা ব্রিকস, সিফাত ব্রিকস, এসআরবি- ২ ও এসআরবি- ৩ নামের সাতটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও জানা গেছে, অভিযানে সাতটি ভাটার প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ইট ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান চলমান রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানের সরেজমিন থেকে দেখা গেছে, এক্সেভেটর দিয়ে ভাটার চারিদিকের দেয়াল ও ড্রামনি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কাঁচা ইটগুলো ট্রাক্টর ও পোড়ানো ইটগুলো এক্সেভেটর দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জ্বলন্ত ভাঙা ভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে অবৈধ ড্রাম চিমনি ব্যবহৃত ভাটাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ভাটায় অভিযান চালানো হবে। যদুবয়রাতে সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক ইট।'
এদিকে অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সময়োপযোগী অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মুহূর্তেই শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমান অভিযান দেখতে। এমন অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
ঝিনাইদহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে এক ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. নুরুন্নবী নজরুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
এস.এম. নুরুন্নবী জানান, শহরের নতুন হাটখোলায় খান ডেন্টালে ভুয়া এক দন্ত চিকিৎসক দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালায়। এসময় আটক করা হয় নজরুল ইসলামকে।
তিনি বলেন, নিজের দোষ স্বীকার করায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, সে এসএসসি পাশ ও আগে একটি কারখানার স্টোর কিপারের কাজ করতো।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের মোবাইল কোর্ট (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় এ নির্দেশ দেয় আদালত।
জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসককে ( ডিসি) এ নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদেরকে কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন না ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দেয়ার দাবিতে ২৩ অক্টোবর রিট করা হয়।
আইনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সাজা দেয়ার বিধান থাকলেও ওই ইউএনও তার কার্যালয়ে বসেই সাজা দেন। রিটে ওই দুই দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবুল কালাম ও রুহুল আমিন এ রিট দায়ের করেন।
৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ:কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধে জড়িত না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে।
১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন।
এ সময় তিনি দিনমজুর দুজনকে পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
বরিশালে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বন্ধ করে দেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- রয়েল সিটি সেন্টার, বরিশাল সিটি সেন্টার ও সাইন্স ল্যাব।
অভিযানের প্রথম দিনে বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাগজপত্র বিহীন দুটি সিটি স্ক্যান সেন্টারসহ তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় আটশ’র মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আমরা বরিশাল নগরীতে অভিযান করছি। এছাড়া জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স নেই, খুলনার ২৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের মোট পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র সঠিক থাকায় সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রয়েল সিটি স্ক্যান নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোন কাগজপত্রই নেই।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টার নামের যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেটির লাইসেন্স আছে ‘সি’ ক্যাটাগরির। কিন্তু সেখানে সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যানের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টারে অভিযানকালে দেখা গেছে, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে সিটি স্ক্যান করার জন্য বরিশাল সিটি সেন্টারে পাঠিয়েচেন চিকিৎসক। স্লিপে চিকিৎসকের সিল ও সই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
অপরদিকে, সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ‘সি’ ক্যাটাগরির হলেও সেখানে হরমন টেস্ট করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী হরমন পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা না থাকায় সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের পূর্ব পাশে সাইন্স ল্যাব নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির কোন কাগজপত্রই নেই। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা
মাগুরায় নিবন্ধনবিহীন ৭ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
খুলনায় এলপি গ্যাস ক্রস ফিলিং চক্রের ৩ সদস্য আটক
খুলনা নগরীর হরিণটানা এলাকায় অটো গ্যাস পাম্পের আড়ালে এলপি গ্যাসে অবৈধ ক্রস ফিলিংয়ে জড়িত তিন সদস্যকে আটক এবং এদের মধ্যে একজনকে জরিমানা করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাসমিম হাসান মিলন নামে ওই ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার খালিশপুর থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আটক অপর ব্যক্তিরা হলেন-মিনি ট্রাক চালক মোহাম্মদ উল্লাহ ও পরিবহন শ্রমিক শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার খালিশপুরে বিভিন্ন ব্রান্ডের ঝুকিপূর্ণ ৬৩টি এলপিজি সিলিন্ডারসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে ওমেরা গ্যাস কোম্পানির ৪৪টি সিলিন্ডার, লাফসের ১৫টি ও যমুনা কোম্পানির ৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। পরে শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে ফিলিং করা এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ করায় তাসমিম হাসান মিলনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন এই দণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
বিশ্লেষকরা বলছেন, অটো গ্যাস পাম্পে এ ধরনের ফিলিং প্রক্রিয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ। ভোক্তাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যক্তিরা এ ধরনের বিপদজনক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ২ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে অতিরিক্ত ধান মজুদের দায়ে এক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেরপুর উপজেলার আলাল গ্রুপের উত্তরবঙ্গ এগ্রো ফুড লিমিটেডকে এই জরিমানা করেন। আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল ও পলাশ চন্দ্র সরকার।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলার উত্তরবঙ্গ এগ্রো ফুড লিমিটেডের গোডাউনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অতিরিক্ত ধান মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই উপজেলায় ধান মজুদের দায়ে হাশে রাইচ মিলকে দুই হাজার টাকা এবং সাজ্জাদ নামের এক ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ৭ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার জানান, ‘বাজার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অসাধুভাবে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে আরও তিনটি গুদামে ধান মজুদের দায়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর ফলে বাজার দর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা।’
উল্লেখ্য, একই এলাকায় মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মজুমদার এগ্রো লিমিটেডকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: মজুদ ১৭ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ, বগুড়ায় গুদাম সিলগালা
বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ৭ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে অতিরিক্ত ধান মজুদের দায়ে এক প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শেরপুরের মজুমদার এগ্রো লিমিটেডকে এই জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার। এসময় উপজেলার বাজার ও খাদ্য পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও এপিবিএন পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেছে।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলার মজুমদার এগ্রো লিমিটেডে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অতিরিক্ত ধান মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স শর্ত মোতাবেক পাক্ষিক দুই হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন ধান মজুদ করতে পারবে। কিন্তু তারা ৮ হাজার মেট্রিক টন ধান মজুদ করেছে।
আরও পড়ুন: মজুদ ১৭ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ, বগুড়ায় গুদাম সিলগালা
পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলায় হঠাৎ চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে একই উপজেলার আলাল এগ্রোকে অতিরিক্ত চাল মজুদের দায়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বংশালে ফ্যানের দোকানে বাড়তি দাম রাখায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা
রাজধানীর বংশাল রোডের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক দোকানে চার্জার ফ্যানসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির বাড়তি দামে বিক্রি করায় শনিবার অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (এনসিআরপি) দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এই সময় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
এর মধ্যে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অবস্থিত বেলাল ট্রেডিং হাউসকে ২০ হাজার টাকা এবং ওই এলাকায় বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্রধান আমদানিকারক খান ট্রেডিং হাউসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ।
পদ্মা সেতুতে নিয়ম ভঙ্গ করায় যুবকের জরিমানা
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার দ্বিতীয় দিনে সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ম ভঙ্গ করায় এক যুবককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকালে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্রিজের ওপর গাড়ি পার্কিং করে টিকটক ভিডিও করার অপরাধে ফখরুল আলম নামে এক প্রাইভেটকার চালকসহ সাত থেকে আট জনের একটি দলকে জরিমানা করেন।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচজন যানবাহন চালককে সতর্ক করে নিয়ম লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবির বলেন, ‘সেতুটি উদ্বোধনের প্রথম দিনেই অনেক ঘটনার পর পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার রাতে প্রেস ইনফরমেশন বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আনন্দ র্যালি
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ, বিরোধীরা জাতির শত্রু: হাইকোর্ট