রবিবার দুপুরে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ১৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।
রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশুর (২২) পাটগ্রাম উপজেলার জুম্মাপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তার রাসেল রাজকে আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, সাহিদুন্নবী জুয়েল হত্যা মামলায় দায়ের করা তিন মামলার অজ্ঞাত নামীয় আসামি রাসেল রাজকে বৃহস্পতিবার রাতে পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দায়ের করা তিনটি মামলায় তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল এলাকার পরমদ্দিনের ছেলে আবু কালাম ওরফে গামছা কালামকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত এ ঘটনার ৩ মামলায় মোট ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
যার মধ্যে ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ওসি ওমর ফারুক।
গত ২৯ অক্টোবর বিকালে পাটগ্রাম উপজেলায় কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
নিহত শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।
হত্যার ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাত ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।