জেলায় নতুন করে এক নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সচিবসহ আরও ৬ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জোন ভিত্তিক যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে শেরপুর জেলাকে ‘রেড জোন’ দেখানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, করোনায় মারা যাওয়া সুফিয়া বেগম সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেয়ার তিন ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। শনিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার ‘কভিড-১৯ পজেটিভ’ রিপোর্ট আসে।
এছাড়া এদিন জেলার ১৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে শেরপুর সদরে একজন, ঝিনাইগাতীর এক নারী ইউপি সচিব, নালিতাবাড়ীতে একজন ও নকলা উপজেলায় তিনজনসহ মোট ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা দুজন সুস্থ হওয়ায় তাদের করোনামুক্ত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু ও ৭০ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত সংগৃহিত ২ হাজার ৪৫৪টি নমুনার মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে ২ হাজার ২৬৩টি। এখনো পরীক্ষার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৯১টি নমুনা।
এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন (পুরোপুরি লকডাইন), ইয়েলো জোন (আংশিক লকডাউন) এবং গ্রিন জোন (লকডাউন নয়) চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর আলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শেরপুরসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা এ ‘রেড জোনে’ আছে।