রেড জোন
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু: ৭ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত
চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঝুঁকিতে রয়েছে মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা।
এদিকে ৭ এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ এলাকাকে হলুদ, ৭ এলাকাকে নীল ও ৪ এলাকাকে সবুজ জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে এক মাসের অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী, দেড়মাসে আক্রান্ত ৩৬২
গত এক মাসে কোতোয়ালি এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬, বাকলিয়ায় ১০৩, বায়েজিদে ৭৬, বন্দরে ৩৩, পাহাড়তলীতে ৩২, খুলশিতে ২৩ ও চকবাজারে ২০ জন। এসব এলাকা রয়েছে রেডজোনের তালিকায়।
এছাড়াও পাঁচলাইশে ১৯, হালিশহরে ১৮, পতেঙ্গায় ১৫, চান্দগাঁওয়ে ১১ ও ডবলমুরিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকা রয়েছে হলুদ জোনে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ ৭ ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনঅধ্যুষিত। এসব এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করা উচিত।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই চিহ্নিত ৭ ওয়ার্ডের।
এ বছর ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ১১ জন।
গত বছরের মতো এ রোগের প্রকট না হলেও অক্টোবরে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মতে, এবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শরৎকালে। তাই বর্ষা মৌসুমে এবার ডেঙ্গুর হানা ছিল না। কিন্তু সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে, এজন্য মশাবাহিত এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। তবে ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগ নয় এর প্রকোপ সারাবছর। অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়নে ১০ টিম গঠন
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রমতে, ৭টি ওয়ার্ডকেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে পাঁচলাইশ, হালিশহর, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং এলাকাও। যেসব এলাকা কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব এলাকায়ও মশার তীব্র উৎপাত রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেসব এলাকায় বেশি ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি, সেগুলোকে রেড জোন চিহ্নিত করছি। সেই তালিকা সিটি করপোরেশনে দিয়ে এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ নজর দিতে বলেছি।
জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই তালিকা আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তালিকার ভিত্তিতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, ওষুধ ছিটানো এবং মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে। আমরা গত মাসের জরিপে দেখতে পেয়েছি, যেখানে মশা বেশি সেখানে রোগীর সংখ্যাও বেশি। এসব বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ১ হাজার ৮৬৭ জনে। যার মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৯০৭ জন। চলতি মাসের ৭ দিনে আক্রান্ত ৩৬২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
২ মাস আগে
বাংলাদেশের আর্থিক খাত রেড জোনে: অলি আহমেদ
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাত এখন রেড জোনে প্রবেশ করেছে।
শনিবার (১৮ মে) বিকালে রাজধানীর মগবাজারে নিজ দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কর্নেল অলি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এটি দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় মুদ্রার তারল্য সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকের রিজার্ভ এখন আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় ব্যবসায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। গত দুই বছরে স্থানীয় মুদ্রার ৩৮-৫১ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদ প্রবাহও কমেছে। বাংলাদেশের আর্থিক খাত রেড জোনে প্রবেশ করেছে- যা উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।’
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। ‘আমরা মনে করি, এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে দেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা অনিবার্য বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হবে। এমনকি এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও এলডিপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, এলডিপি মহাসচিব আটক
দেশ পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতার জন্যও দেশের বর্তমান অবস্থাকে দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার গত ১৫ বছর ধরে বাকশালী নীতিতে দেশ শাসন করছে। আমি তাদের বলব, আল্লাহর ওয়াস্তে, এটা বন্ধ করুন এবং জনগণকে তাদের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের সুযোগ দিন।’
তাকে ছাড়া দেশ চলবে না- এমন ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান এলডিপি নেতা।
সাবেক মন্ত্রী কর্নেল অলি ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হার, বৈদেশিক ঋণ, খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি, অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য, মাদকের বিস্তার, রাস্তাঘাটের অব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানো ও মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানোর মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করে দেশের করুণ অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন ও দমন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার ইচ্ছামতো নতুন আইন প্রণয়ন করছে। ‘দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে দেশে আর কখনো শান্তি ফিরে আসবে না, অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কখনো শেষ হবে না।’
আরও পড়ুন: গুলির ঘটনায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ানের জামিন নামঞ্জুর
এমতাবস্থায় তিনি কৃষক, শ্রমিক, যুবক, ছাত্রসহ সর্বস্তরের জনগণকে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন উদ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
কর্নেল অলি বলেন, বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দল শিগগিরই বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই বাকশাল সরকারকে উৎখাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস এবং দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী।
অলি বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো নেতিবাচক মনোভাব নেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ ও ভারতের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেবে। ভারত সরকার কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে মেলামেশা করা থেকে বিরত থাকবে।’
আরও পড়ুন: কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা ?
৭ মাস আগে
ডিএসসিসির ২টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ড দুটিতে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঘোষিত রেড জোন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলা ১১টায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে ৯০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ সিটির ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
১ বছর আগে
করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে যশোরসহ সীমান্তবর্তী ছয় জেলাকে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো-রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে। আর রেড জোনে থাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
ক্ষীণ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদাহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নড়াইল।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ-এই তিন ভাগে ভাগ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
২ বছর আগে
বাঘাইছড়িতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৭৮, সাজেক রেড জোন
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা সাজেকে করোনার পাশাপাশি হঠাৎ করে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭৮ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আর সাজেক ইউনিয়নকে ম্যালেরিয়ার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি সেবা সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে, সাজেকের ৯নং ওয়ার্ডের ত্রিপুরা পাড়া, বড়ইতলী পাড়া, শিব পাড়া, দেবাছড়া, নরেন্দ্র পাড়া, ১নং ওয়ার্ডের মন্দির ছড়া, শিয়ালদহ, তুইচুই, বেটলিং, অরুন কার্বারী পাড়াসহ আশপাশের সব এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
সাজেকের ৭নং ওয়ার্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় একই পরিবারের তিনজন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা (নয়ন)।
আরও পড়ুন: সাজেকে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস খাদে, আহত ৮
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশতেখার আহমদ জানান, গত বছরের তুলনায় এই বছরে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর লকডাউনের কারণে বাঁশ কর্তন ও জুম চাষ বন্ধ ছিল। এ বছর তা বন্ধ না থাকায় ও বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল সৃষ্টি হওয়ায় মশার উপদ্রুব বেড়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।
এনজিও সেবা সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে, এই বছর জুন মাস পর্যন্ত দশ হাজার সন্দেহজনক রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ৬৭ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জুন মাসেই ৪৯ জনের রক্তে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাসে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯ জন।
ডা. ইশতেখার আহম্মেদ জানান, হিসাব মতে উপজেলায় মোট ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৭৮ জন। দুর্গম সাজেক ইউনিয়নকে আমরা ম্যালেরিয়ার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। যেখানে ২০১৯ সালে ২৮ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ১,৩০৬ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। এছাড়া গত বছর ২৮, ৬৬৭ জন মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮৯ জনই ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্রাকের হিসাব মতে।
তিনি জানান, সাজেকে আমাদের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সাজেকসহ আশপাশের জনগণকে খুব সহজে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে। তবে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারের রামুসহ ম্যালেরিয়া প্রবণ জেলাগুলোতে ‘মাইক্রো প্ল্যান’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্রাকের রাঙ্গামাটির কো-অরডিনেটর হাবিউর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাজেক সড়কে পর্যটকদের গাড়িতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের হামলা, আটক ৩
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর একটানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার প্রজনন বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি ও ছড়ায় পানি জমে মশার প্রজননে সুবিধা হয়। এ ছাড়া ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেখান থেকেও ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি সন্ধ্যা থেকে মশারি ব্যবহার, আশপাশের ঝোপঝাড় ও নর্দমা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন এবং তিনি আরো আশঙ্কা করছেন, পর্যটন এলাকা হওয়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকলে এক সময় পর্যটকদের মাধ্যমে সারা দেশে ম্যারেরিয়ার জীবানু ছড়াতে পারে। তাই ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য সকলে সচেতন হয়ে আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনায় আরও ১১ মৃত্যু
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এরমধ্যে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য সাতজন করোনায় এবং করোনা উপসর্গে নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৪ জন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রেড জোনে ১১০ জন, ইয়ালো জোনে ৫৪জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে আছে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু, বাড়ছে শনাক্ত
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যশোরের মনিরামপুরের একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০৯ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় ৪০ লাখ
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৩ জন মহিলা।
তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই
খুলনায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। যে কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অতিরিক্ত রোগী থাকায় নতুন বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত রোগী ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১২৬ জন রোগী। যার মধ্যে ৫৫ জন আছেন রেড জোনে, ২৯ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ১২ জন এবং এইচডিইউতে ৩০ জন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন রোগী। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন। দুপুর ১ টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
১০০ শয্যার হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে ১৩০ জন রোগী ভর্তি থাকায় যেমন চিকিৎসক ও নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে, তেমনই রোগীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় আরও অন্তত ৩০টি বেড বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী চেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ১২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ শনাক্ত হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। বেড খালি না হলে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগীর চাপ বেড়েছে। এর আগে কখনো এতো সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়নি। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি চলছে। ভর্তি বন্ধ হয়নি। আগামীকাল করোনার জেলা কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিং-এ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: রাজধানীর ওয়ারী থেকে লকডাউন প্রত্যাহার
কার্যকর হওয়ার ২১ দিন পর শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর ওয়ারী থেকে লকডাউন তুলে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
৪ বছর আগে
কোভিড-১৯: শনিবার থেকে ওয়ারীতে ২১ দিনের লকডাউন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ওয়ারী এলাকায় শনিবার সকাল থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন কার্য়কর করা হচ্ছে।
৪ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘রেড জোন’ হিসেবে লকডাউনকৃত পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের অসহায় ৪০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া।
৪ বছর আগে