চাকরি
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ-বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
বয়সসীমা বর্তমান ৩০ থেকে ৩৫-এ উন্নীতসহ বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীরা ‘চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’-এর ব্যানারে অবস্থান করলে পুলিশ তাদের চলে যেতে বলে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধে পুলিশের বাধা
চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
চট্টগ্রামে তিন হাজারের বেশি সেলসম্যান নিয়োগের লক্ষ্যে সেলস্ চাকরি মেলা, চট্টগ্রাম’ আয়োজন করেছে বিডিজবস ডটকম। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্রগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী এ মেলা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বিডিজবস ডটকমের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠানটির শোয়েব হাসান সবুজ এবং মেলার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ফিরোজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ক্রমবর্ধমান রিটেইল সেক্টর, ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে ফিল্ড সেলসম্যান, শো-রুম সেলসম্যানের বিপুল চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে বিডিজবস ডটকম মেলার আয়োজন করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী এবং রিটেইল প্রতিষ্ঠান সমূহ তিন হাজার সেলসম্যান নিয়োগের লক্ষ্যে মেলায় অংশগ্রহণ করছে। কোম্পানিগুলো আগ্রহী প্রার্থীর বায়োডাটা সংগ্রহের পাশাপাশি তাদেরকে সরাসরি ইন্টারভিউ করবে। মেলায় অংশগ্রহণ করতে চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে (www.bdjobs.com/jobfair) ঠিকানায়।
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কয়েক লাখ লোক সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছে। দেশে ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং রিটেইল সেক্টর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ফিল্ড সেলস ফোর্সের চাহিদা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশে প্রচুর বেকার থাকা সত্ত্বেও এই খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের সংখ্যা কম। এই খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর সংযোগ তৈরি করতে বিডিজবস এই মেলার আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, সেলস্ চাকরি মেলায় মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, সুপার স্টার গ্রুপ, পারটেক্স স্টার গ্রুপ, নিটল-নিলয় গ্রুপ, বিএসআরএম, এসএ গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, দি পেনিনসুলা চট্রগ্রাম, ডেলিভারি টাইগারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম এটুআই এবং ব্রাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এই চাকরি মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন:রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
পঞ্চগড় সদরে চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতারকের বাড়িতে লাশ রেখে অনশন করছে এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্তসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদরাসার তৎকালীন সভাপতি হোটেল ব্যবসায়ী জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
২৫ দিন আগে জাকিরুলের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধান আবারও জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে নিজের বাড়ি গিয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ৭ আগস্ট দবিরুল আবারও স্ট্রোক করলে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাসায় গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে থাকা গুগলে চাকরি পাওয়াটা সবার কাছে স্বপ্নের মতো। শুধুমাত্র শিক্ষানবীশদেরই বেতন বছরে প্রায় ৮০ হাজার ডলারের মত। ছয় অঙ্কের বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরকে, যে সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ডলারের সমান। গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশিরাও এই বিশাল প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে তারা উতড়ে যাচ্ছে গুগলের পরীক্ষায়। শামিল হতে পারছে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় চার হাজার জনশক্তির মধ্যে, যাদেরকে প্রতিবছর খুঁজে বের করা হয় প্রায় ২৫ লাখ আবেদনকারীর মধ্য থেকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে তারা এই সৌভাগ্যের অধিকারী হচ্ছে।
গুগলে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
প্রোগ্রামিং-এর দক্ষতা
প্রযুক্তিগত দক্ষতার ভেতর শীর্ষস্থানীয় হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা। গুগলের মত টেক জায়ান্টরা জাভা অথবা পিএইচপি, সিপ্লাসপ্লাস, পাইথন-এর মত ভাষাগুলোর সঙ্গে জাভাস্ক্রিপ্ট বা গো ল্যাঙ-এর সন্নিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এর সঙ্গে দরকার হয় ডেটা স্ট্রাকচার ও ইলেক্ট্রিক্যালের ব্যবহারিক জ্ঞান। ওয়েব সকেট বা ওয়েব এসেমব্লি’র ব্যাপারে প্রয়োজন হবে যথেষ্ট অনুশীলনের অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো, শুধু শিখলেই হবে না, সময়ের সঙ্গে সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণের সঙ্গেও অভ্যস্ত থাকতে হবে। কেননা এই বৃহৎকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদাই নতুন প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গুগলের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ হলো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোডিং তথা প্রোগ্রামিং জানা বাধ্যতামূলক।
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের ইন্টারফেস পরিচালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে আছে স্মার্টফোনে চলা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, পিসিতে চলা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ। অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর জন্য তাদের আছে আইওএস। গুগলের কাজ যেহেতু মানুষের হাতে হাতে ঘুরে ফেরা এই ডিভাইসগুলো নিয়ে, তাই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর কনফিগার করা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
অ্যালগরিদম এবং ডেটা সোর্স
প্রতিটি সফটওয়্যারের কার্যপ্রণালীর পেছনে কাজ করে অ্যালগরিদম। যেমন- স্টক, কিউই সহ কুইকসার্ট, ব্যাগ, হিপসর্ট এবং মার্জসর্ট। এগুলো কীভাবে সাজাতে হয়, কীভাবে কাজ করতে ডেটা সোর্স নিয়ে, এ সবকিছুর ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
কম্পাইলার্স গঠন শেখা
কম্পিউটারের ভাষাকে ব্যবহারকারিদের বোধগম্যতার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষাগুলোকে কম্পাইল করার। এখানেই উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করার কথা আসে। যেমন- এইচএইচভিএম বা পিএইচপি এবং বাইনারি কম্পাইলের ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। যন্ত্রের ভাষাটি যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ হয়ে উঠবে, ইঞ্জিনিয়ারের দক্ষতাও সে সঙ্গে প্রমাণিত হয়। এর জন্য ভাষাগুলোর পদ্ধতিগত গঠনের নিমিত্তে কম্পাইলারের অবকাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
গাণিতিক বিদ্যা
যারা স্কুল-কলেজে গাণিতিক হিসাব-নিকাশে পটু তাদের জন্য সুসংবাদ। গাণিতিক গবেষণায়; সোজা কথায় যারা খুব নিক্ষুতভাবে অঙ্ক কষতে পারেন তাদের দক্ষতাকে গুগল সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে। যারা ইতোমধ্যে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন এবং গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করেছেন, তাদের গুগলের চাকরির জন্য প্রাথমিক অভিজ্ঞতা নেয়া হয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা
প্রযুক্তি উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র এখন রোবোটিক্সের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই টেক জায়ান্টদেরও সার্বক্ষণিক দৃষ্টিপাত এইএআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ওপর। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও বেশ কয়েক বছর ধরে রোবোটিক্সের প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করে আসছে। শুধু প্রাথমিক ধারণা নয়, গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের জ্ঞানও থাকা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সাইবার সিকিউরিটি
শুধু অতিবেগুনী রশ্মি নয়, পুরো পৃথিবী এখন আরও একটি বলয় দিয়ে ঘেরা। আর তার নাম হচ্ছে সাইবার অ্যাক্টিভিটি। প্রতিমুহূর্তে ইমেইল, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট-এর মত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্যাবলী হ্যাক হচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি সৃষ্টি করেছে সাইবার নিরাপত্তার চাহিদা। এক মালিকানা থেকে বহুজাতি মাল্টিপার্পাস প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ ব্যয় করছে সাইবার সিকিউরিটির পেছনে।
শুধু গুগল-ই নয়; সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা এখন সারা বিশ্ব জুড়ে। এছাড়া অতি দ্রুত পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মুদ্রাহীন ডিজিটাল লেনদেনের দিকে। এরকম ব্যবস্থায় সাইবার সিকিউরিটির কোনো বিকল্প নেই।
টিমওয়ার্ক
সফট স্কিলের মধ্যে গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি চাওয়া হচ্ছে সেটি হলো- দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার দক্ষতা। এটি অনেক ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মানসিকতার সঙ্গে জড়িত থাকে, কেননা অনেক প্রযুক্তিবিদই একা কাজ করতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কিন্তু গুগল এই অনুশীলনকে নিরুৎসাহিত করে। কারণ একজনের মস্তিষ্ক একটি প্রোজেক্টের জন্য সমুদয় ধারণা সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। সেখানে যদি দুই বা ততোধিক মস্তিষ্ক যুক্ত হয় তখন শুধু লক্ষ্য অর্জনের ধারণাই পাওয়া যায় না, কাজটি দ্রুত গতিতে কম সময়ে সমাধানও করা যায়। গুগল কোয়ালিটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও নিশ্চিত করতে চায়। আর তাই তারা আশা করে একাধিক মস্তিষ্কের সম্মিলিত প্রচেষ্টার।
দ্রুত শেখার সক্ষমতা
একজন মানুষ সব বিষয়ে জানবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অজানা সেই কাজটি চালানোর জন্য সঠিক জ্ঞান অর্জন একটি কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা। আর এটি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় গুগলের সাক্ষাৎকারের সময়। অতিরিক্ত ঝামেলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝে শুনে কাজ করাটা একজন ব্যক্তি মানসিক দক্ষতার পরিচয় দেয়।
দ্রুত শিখে নেয়ার সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টিকে একত্রে বলা যেতে পারে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা। এটি শুধু মানুষ নিয়ে কারবার করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই প্রয়োজন নয়, একটি সফটওয়্যারের হাজার পৃষ্ঠার কোডিং ঝামেলা শামলানোর জন্যও খাপ খাইয়ে নেয়াটা দরকার।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
গুগলের বিভিন্ন পদে নতুন লোক নেয়াটা বলা যায় নিয়মিতই ঘটতে থাকে। এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের পর সামনাসামনি ইন্টারভিউ হয় আর এভাবেই কাঙ্ক্ষিত কর্মীটির যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ইন্টার্নশিপ এবং সরাসরি চাকরি দুইভাবে গুগল লোক নিয়ে থাকে। এই সময় গুগলে চাকরির আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমান সময়ে আবেদনের জন্য উন্মুক্ত থাকা চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে।
চাকরির আবেদন ফর্ম পূরন
প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চাকরির জন্য আলাদা আবেদনের স্ক্রিণ আসবে। সেই স্ক্রিণে যেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং অভিজ্ঞতার তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। এক্ষেত্রে চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়ে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়াটা জরুরি।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
রেজুমি/সিভি আপলোড
যে কোন চাকরির জন্য রেজুমি বা সিভির গুরুত্ব অপরিসীম। গুগলের জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে একটি অসাধারণ সিভি তৈরি করতে হবে। সিভিতে থাকা প্রতিটি শব্দ গুগলের নির্বাচিত চাকরিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়া আবশ্যক। সিভি চূড়ান্ত করে পিডিএফ ফরমেটে এখানে আপলোড করে দেয়া যেতে পারে।
গুগলে চাকরির ইন্টারভিউ পদ্ধতি
অনলাইন ফর্মে প্রদত্ত পূর্ণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ইন্টারভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাক্ষাতকার গুগলে চাকরির আবেদনের সর্বশেষ ধাপ হলেও এই সাক্ষাতকার কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ধাপসংখ্যা সাধারণত পাঁচ রাউন্ড।
এখানে প্রধানত দুটি জিনিস মূল্যায়ন করা হয়। এক- যে কাজের জন্য আবেদন করা হচ্ছে সেই কাজে প্রার্থীর জ্ঞান কতটুকু এবং দুই- প্রার্থীর সফট স্কিলগুলো কতটুকু নির্ভরযোগ্য। যুক্তিবিদ্যার এই অংশটিতে প্রশ্নগুলো ধাঁধাঁর মত মনে হতে পারে। আর প্রথম অংশে প্রার্থীর প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞানসমূহ যাচাই করা হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রায় ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতেই নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিশেষে
সবশেষে বলা যায়, গুগলে চাকরি পাওয়ার উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণের ক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে যে গুগলে চাকরি হয়ত অনেক উঁচুমানের সার্টিফিকেট দাবি করে। কিন্তু আসল ব্যাপারটি তা নয়, বরঞ্চ এখানে প্রার্থীর পারদর্শিতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এমনও দেখা গেছে যে জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী গুগলে চাকরি পেয়েছে। এমনকি তথাকথিত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েটদের চাকরি হয়ে গেছে। মোদ্দা কথা হলো- উপরোক্ত দক্ষতা যদি কোন স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থীরও থেকে থাকে, সে গুগলে কাজ করার সুযোগ পাবে।
কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাওয়াটাই দুষ্কর। শত কষ্টের পর একটা ইন্টারভিউয়ের ডাক পাওয়ার পরই সব কাজ শেষ নয়। সেই ইন্টারভিউ সফল করতেও ইন্টারভিউয়ের ইমেইল পাওয়ার পর থেকে চূড়ান্ত ভাইভা পর্যন্ত প্রতিটি ক্রিয়াকলাপে যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে হয়। চাকরি দাতাদের সঙ্গে অতিবাহিত ১০-১৫ মিনিট সময়ই নির্ধারণ করে দিতে পারে একজন চাকরিপ্রার্থীর বাকি জীবনকে। তাই এই ক্ষুদ্র সময়টুকু প্রত্যেকের জন্যই বেশ কঠিন সময়। তবে কিছু বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি এই জটিলতাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। আজকের ফিচারে সফল ইন্টারভিউয়ের কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার ১০টি টিপস
প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে যথেষ্ট ধারণা নেয়া
ইন্টারভিউয়ের সময় প্রত্যেক নিয়োগকর্তাই তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে থাকেন। নতুনগুলোর ক্ষেত্রে নিদেনপক্ষে প্রাসঙ্গিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তাই একজন চাকরিপ্রার্থীর প্রথম কাজ হলো প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করা। অনেক সময় সরাসরি প্রশ্ন না করে পরোক্ষভাবে জেনে নেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রার্থী কতটুকু জানেন। তাই যে কোনো অবস্থায় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদর্শন করা উচিত। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে তার ইতিহাস, মিশন-ভিশন, কর্মী, সংস্কৃতি এবং সাম্প্রতিক সাফল্যের তথ্যগুলো খুঁজতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, গ্রুপ এবং ব্লগ নিয়ে পড়াশোনা করা একটি সময়োপযোগী বিষয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি , লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৩৬,০০০
চাকরি বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নেয়া
ইন্টারভিউ দিতে আসার সময় প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থী চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়েন না। আবেদনকারীরা তাদের জীবনবৃত্তান্তসহ আবেদন জমা দেয়ার আগে বিবরণগুলো পড়তে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড বা তার কম সময় ব্যয় করেন। শুধুমাত্র শিরোনাম এবং কয়েকটি বুলেট পয়েন্ট দেখেই তারা চাকরিতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ফলে একটি চাকরিতে অনেক অনপোযুক্ত আবেদন পড়ে। এতে কোনভাবে ইন্টারভিউ মেলাতে পারলেও তাতে ভালো পারফরমেন্স করা যায় না।
চাকরিতে আসলে কী কাজ করতে হবে, আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন কোন নির্দেশাবলী আছে কিনা এই বিষয়গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিজ্ঞপ্তি থেকে বের করতে হবে। এর জন্য পুরো বিজ্ঞপ্তিটি মনোযোগ দিয়ে একাধিকার পড়তে হবে। যাচাই করে দেখতে হবে যে, প্রার্থীর পারদর্শীতার সঙ্গে চাকরির বিবরণ একীভূত কিনা।
ইন্টারভিউয়ের জন্য দরকারি জিনিস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা
ইন্টরভিউয়ের জন্য উপযুক্ত পোশাক, জীবনবৃত্তান্তের অতিরিক্ত কপি, একটি নোটপ্যাড এবং একটি কলম আগেভাগেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। সাক্ষাৎকারের দিন যেন এসব জিনিস নিয়ে বেশি সময় নিয়ে ভাবতে না হয়। এর জন্য তিন দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রাখতে হবে। একটি পলিশ করা জুতা, মার্জিতভাবে চুল আঁচড়ানো, ক্লিন শেভ অথবা দাড়ি থাকলে তা ট্রিম করে নেয়া, কোন যানবাহন ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো এই পরিকল্পনার অন্তভুর্ক্ত।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
ইন্টারভিউ বোর্ডে রিজুমি ছাড়াও আরও কিছু নিয়ে যাবার নির্দেশাবলী আছে কিনা তার জন্য বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নিতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেহেতু ফোন কলের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের খবর জানানো হয়, তাই তখনই ইন্টারভিউ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নেয়া উচিত। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, ওয়েবক্যাম, হেডফোন, ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপসহ যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ঠিক আছে কিনা তা ভালো করে চেক করে নিতে হবে।
প্রথম দৃষ্টেই নিজের ব্যাপারে একটি ভালো ধারণা দেয়া
সময়ানুবর্তীতা, পরিপাটি-পরিচ্ছন্ন পোশাক এবং চেহারায় সৌন্দর্য্য ও প্রাণবন্ত ভাব প্রথম দৃষ্টেই ভালো ধারণা দিতে পারে। এতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির তৈরি হবে যেখানে নিয়োগকর্তা ভাববেন যে এই প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাসহ কাস্টমারদের সামনে হাজির করা যাবে। সম্বোধনের মুহূর্তে উষ্ণ করমর্দন এবং বিনয়ী ভাব প্রদর্শন করতে হবে। শুভেচ্ছা জানানোর সময় চোখের দিকে তাকানো জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে আত্মবিশ্বাস যেন অহংকারে পরিণত না হয়।
সাক্ষাৎকারের ঠিক আগে ধূমপান বা কোনো কিছু খাওয়া পরিহার করা উচিত। তার বদলে মুখে মিন্ট ক্যান্ডি বা চুইঙ্গাম রাখা যেতে পারে এবং তা যেন অবশ্যই ইন্টারভিউয়ের প্রবেশের আগে মুখ থেকে ফেলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
ইন্টারভিউয়ের কতিপয় সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখা
নিজের জন্য উপযুক্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। এর জন্য গুগল বা ইউটিউবে পড়াশোনা করা যেতে পারে। নিজের পরিচয়, কেন চাকরিতে নেয়া হবে, কয়েকটি দুর্বলতা এবং শক্তি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর কৌশলপূর্ণ উত্তর রেডি করতে হবে।
তাছাড়া যে কাজগুলো করতে হবে অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নগুলো নেট থেকে বের করে তার ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে। অতঃপর টেপ রেকর্ডার চালিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর বলার অনুশীলন করে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে। এই কাজটি ইন্টারভিউ বোর্ডে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
কথা বলায় শান্তভাব, সুনির্দিষ্টতা ও ইতিবাচকতা বজায় রাখা
ইন্টারভিউ চলাকালীন উত্তর দেয়ার মান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যখন কী ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে সে বিষয়ে প্রার্থী অন্ধকারে থাকে তখন তার উত্তরগুলোতে অশান্ত ভাব বিরাজ করে। এই সময় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ হতাশা বিবর্জিত হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই আগে থেকেই হতাশা থেকে মনকে দূরে রাখার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আশেপাশের চাকরিপ্রার্থীদের অতিরঞ্জিত কোন কথায় কান দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
যানযটের কথা ভেবে হাতে বেশ সময় নিয়েই বাসা থেকে রওনা দিতে হবে। নতুবা যানযটের কারণে ইন্টারভিউতে পৌঁছতে দেরি হলে কথা বলাতে অস্থিরতা চলে আসবে। উত্তরগুলো সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। স্বল্প কথার মধ্যেই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করতে হবে। প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান বা তার সহকর্মীদের সম্পর্কে কোন ধরনের নেতিবাচক কথা বলা যাবে না। অতিরিক্ত চাপের কাজগুলোর ক্ষেত্রে বা করপোরেট পরিবেশের নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে উপসংহারে পৌঁছা যাবে না।
অঙ্গভঙ্গিতে আত্মবিশ্বাসী ও মার্জিত ভাব বজায় রাখা
এই কার্যকলাপের ভেতর সোজা হয়ে দাঁড়ানো, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা, উষ্ণ করমর্দন, সোজা হয়ে বসা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। দ্রুত ঘাড় বা হাত নাড়ানো অস্থিরতার পরিচয় দেয়। তাই বাচনভঙ্গির জন্য যতটুকু মানানসই ঠিক ততটুকুই নড়াচড়া করা উচিত।
অনেক সময় মুখে আত্মবিশ্বাসী কথা বললেও শরীরের ভাষায় তা প্রকাশ পায় না। এদিকেও সতর্ক খেয়াল রাখা উচিত, নতুবা ইন্টারভিউ কক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। চুলে হাত দেয়া, বসে থাকার সময় চেয়ার বা পা নাড়ানো ইত্যাদি ক্রিয়াকলাপ নেতিবাচক ধারণার সঞ্চার করে। মুলত শরীরের কোন ভঙ্গিমায় যেন উদাসীন্য প্রকাশ না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
অতিরিক্ত কথা না বলা
যা প্রশ্ন করা হয়েছে উত্তরে নিজের দখল বোঝানোর জন্য বিশদ বিবরণ দেয়া ভালো লক্ষণ নয়। এতে অনেক জ্ঞানীর পরিচয় প্রকাশ হয় না, বরঞ্চ নিয়োগকর্তারা বিরক্ত হয়ে পড়েন। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলা একটি মারাত্মক ভুল। তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কথাগুলো প্রসঙ্গের বাইরে চলে যায়।
ফলশ্রুতিতে, এখানে চাকরিপ্রার্থীর কথা বলার দক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর যারা ভাবছেন কথা বলা মানেই পারদর্শিতা দেখানো তারা ভুলের স্বর্গে আছেন। যদি কোনো কিছুর ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকে তা গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপন করাও একটি দারুণ স্কিল। তাই কথা বলায় পরিমিতি বোধ বজায় রাখা আবশ্যক।
বুদ্ধিদ্বীপ্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা
চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার জন্য এটি একটি সেরা কৌশল। ভাইভার শেষে অনেকেই আপনার কোন প্রশ্ন আছে কিনা জিজ্ঞাসার প্রত্যুত্তরে মাথা নাড়িয়ে না বলে দেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়, বরং এতে নিয়োগকর্তাদের মনে হয় প্রতিষ্ঠান বা এই চাকরির ব্যাপারে হয়ত প্রার্থীর তেমন আগ্রহ নেই। তাই এই অংশে নিজের কৌতূহল প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কতটুকু গবেষণা করা হয়েছে সেটাও প্রদর্শিত হয় এ অংশে। এ সময় প্রার্থীর একটি বুদ্ধিদ্বীপ্ত প্রশ্ন তাকে চাকরিটি পাইয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
ভাইভা বোর্ডে থাকা মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা অধিকাংশ সময় শুরুতেই প্রতিষ্ঠান ও চাকরির ব্যাপারে ধারণা দেন। সেই কথাগুলো কতটুকু মনযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে তাও বোঝা যায় প্রার্থীর প্রশ্ন শুনে। এই কাজটি করার সেরা উপায় হলো ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রস্তুতির সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্নেরও তালিকা তৈরি করে রাখা প্রয়োজন।
ইন্টারভিউয়ের ফলো-আপ
সাক্ষাৎকারের পর ধন্যবাদ জানিয়ে ইমেল পাঠানো করপোরেট সংস্কৃতির একটি অংশ। এই কাজের ফলে নিয়োগকর্তা চাকরিপ্রার্থীর সেই সংস্কৃতি জ্ঞান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ভাইভা শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজটি করার চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট সেবা বা কাজের ব্যাপারে নিজের আগ্রহের ব্যাপারে জোর দেয়া যেতে পারে। একটি সুন্দর ফলো-আপ ইমেইলের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের দ্বিতীয় সুযোগও চলে আসতে পারে।
পরিশেষে
সবশেষে যা বলা হচ্ছে,তাহলো- চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণে যে কেউ তার ইন্টারভিউ পূর্ববর্তী জটিলতাকে পাশ কাটাতে পারে। জীবনের প্রথম ইন্টারভিউয়ের সময় স্বভাবতই বিভ্রান্তি এবং অস্থিরতা আসতে পারে। কিন্তু প্রস্তুতিসুলভ কার্যকলাপগুলো বার বার করার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে ওঠা যায়। ফলশ্রুতিতে নিজের বলা কথাগুলো আরও মসৃণ এবং আরও স্পষ্ট শোনাবে। এর জন্য ইন্টারভিউয়ের মহড়ার আয়োজন করা যায়, যেখানে কাছের কোন বন্ধুকে নিয়োগকর্তা বানানো যেতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলাটা এক্ষেত্রে বেশ পুরনো একটি উপায়। এই কার্যকলাপগুলোর অডিও এমনকি ভিডিও রেকর্ড রাখলে পুরো সাক্ষাৎকারের পর্যবেক্ষণে অনেক ভুল-ত্রুটি বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়
কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি বিভাগে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির দরুণ স্থায়ী চাকরির পাশাপাশি খণ্ডকালীন বা চুক্তি ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের তাগিদও বেড়ে চলেছে। শুধুমাত্র একটি চাকরি দিয়ে জীবনযাত্রার নিত্য প্রয়োজনীয় মৌলিক পণ্য বা সেবার মূল্যের উর্ধ্বগতির চাপ সামলানো প্রতিদিনি কঠিনতর হচ্ছে। এমতাবস্থায় অনলাইনে আয়ের উপায়গুলো যেন আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছে। এতে শুধু সংসারের বাড়তি খরচে যে সহায়তা হচ্ছে তা নয়, যাবতীয় খরচ মিটিয়ে সঞ্চয়ের জন্যও ব্যবস্থা হচ্ছে। এমনকি স্থায়ী চাকরিটির বদলে অনলাইন কাজটিকে গ্রহণ করা যাচ্ছে স্থায়ীভাবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক- অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়গুলো সম্পর্কে।
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়
একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা
এক সময় সাইড জব হিসেবে সেরা উপায় হলেও ইউটিউবিং এখন ক্যারিয়ারে পরিণত হয়েছে। প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার দরুণ এখন দিনের প্রায় পুরোটা সময় দিতে হয় একটি ইউটিউব চ্যানেলের পেছনে। তবে ভ্লগ শুরুর মাধ্যমে দিনের একটি ছোট অংশ অতিবাহিত করে এখনো ইউটিউবে সফল হওয়া যায়। ভ্লগ ভিডিওগুলো মুলত কন্টেন্ট নির্মাতার নিত্যদিনের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে জড়িত থাকে। তাই শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন থাকলেই নিজের কর্মকান্ডগুলো রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে দেয়া যায়।
পোস্ট প্রোডাকশন এবং ভিডিও ইডিটের কাজ কম থাকায় এধরণের ভিডিওগুলো কম সময়ে বেশি পরিমাণে বানানো যায়। তাই টার্গেট কীওয়ার্ডগুলোও তুলনামুলক কম সময়ের মধ্যে ভিডিওগুলোকে দর্শকদের নিকট জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। গুগল অ্যাডসের রেভেনিউ শেয়ারিং পদ্ধতি ছাড়াও এরকম ভ্লগাররা এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের মাধ্যমেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে।
আরও পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
অনলাইন রিসেলিং
খুব সহজ করে বলতে গেলে অপেক্ষাকৃত কম দামে কোন কিছু কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করাটাই রিসেলিং। এটা কোন নতুন বিষয় নয়, বরঞ্চ নেট দুনিয়ায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে ব্যবসায়ের এই পুরনো উপায়টি অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখানে শুরুতেই মার্কেট রিসার্চ করে দুটো বিষয়ে সম্যক ধারণা নিতে হবে।
প্রথমটি হলো কোথায় কম দামি জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং দ্বিতীয়টি হলো অনলাইন মার্কেটে সেই জিনিসগুলোর সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য কেমন। ইবে, অ্যামাজন, ইটসি, র্যাকুটেন হলো বর্তমানে রিসেলিং-এর জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বেশ পুরনো এই ব্যবসায়িক পদ্ধতিটির জন্য অর্থ ও কৌশলের সঠিকভাবে প্রয়োগ করা দরকার। ডিজিটাল ব্যবসার জগতে এই লিঙ্ক শেয়ারিং ভিত্তিক ধারণাটি ব্যবসার চিরাচরিত সূত্র মেনে চলে। স্বল্প মূল্যের পণ্যের উপর লাভ পেতে হলে বেশি গ্রাহক পেতে হবে। আর বেশি দামের পণ্যের জন্য সীমিত কিছু গ্রাহক হলেই চলবে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করবেন যেভাবে
এখানে মার্কেটাররা পণ্য তৈরিকারকদের নিকট থেকে পণ্যের লিঙ্ক নিয়ে পুরো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্যটি কেনার সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে মার্কেটাররা লিঙ্কটির ডিজিটাল মার্কেটিং-এর উপর অর্থ বিনিয়োগ করেন। অতঃপর চূড়ান্ত ভাবে পণ্য বিক্রি হলে তারা পূর্ব নির্ধারিত স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অনুযায়ী তার একটা নির্দিষ্ট শতাংশ লাভ করেন। এই শতাংশ লাভের চুক্তিটি এককালীন অথবা প্রতি মাসে পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
উভয় ক্ষেত্রেই পণ্যের লিঙ্ক শেয়ারের সিস্টেমটি একবার চালু করে দিলেই পরবর্তীতে আর কাজ করার প্রয়োজন হয় না। গভীর রাতে মার্কেটার যখন ঘুমিয়ে তখন পৃথিবীর কোন না কেনা প্রান্তে কেউ একজন পণ্যটির লিঙ্কে ক্লিক করে তা কিনে ফেলে।
অনলাইনে ফটো বিক্রি
ইন্টারনেট ফটোগ্রাফারদের ছবি শেয়ারের জন্য পুরো জগৎটাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। এর জন্য যে শুধু ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকতে হবে তা নয়। মোবাইল ফটোগ্রাফিকেও এখানে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। ছবি তুলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপলোড করার পর শুরু হয় তার প্রচারণার কাজ। এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
অবশ্য এক যুগ আগে মার্কেটিং-এর প্রয়োজন হতো না। ওয়েবসাইটে আপলোড করার পরেই ক্রেতারা ছবি কেনার জন্য ভিড় জমাতো। এখনো জমায় বৈকি; কিন্তু ফটোগ্রাফারদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় নতুনদের জন্য মার্কেটিং অবধারিত হয়ে পড়ে। অ্যাডোবি, শাটারস্টক, বিগস্টকফটোর মত সাইটগুলো ছবি বিক্রির জন্য প্রথম সারির মার্কেটপ্লেস।
চাকরির দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে চাকরির দক্ষতাটিই হতে পারে মুল হাতিয়ার। এক্ষেত্রে কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি এবং আইটি(ইনফরমেশন টেকনোলজি) সেক্টরের কর্মচারিরা সবার থেকে এগিয়ে থাকেন। কেননা এই সেক্টরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলোই অনলাইনে বেশ চওড়া দাম উঠে। ছোট একটা মোবাইল অ্যাপ বানিয়েই বেশ ভালো পরিমাণ আয় করতে পারেন সফ্টওয়্যার ডেভেলপাররা।
অ-প্রযুক্তিগত বিভাগেও স্পেশালিস্টরা পিছিয়ে থাকেন না। হিসাব রক্ষক, আইন বিষয়ক কন্সালটেন্ট, অনুবাদক, ভয়েস-ওভার-আর্টিস্ট, কন্টেন্ট রাইটাররা তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে উপার্জন করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, এমনকি ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও আনাগোনা হয় ফ্রিল্যান্সারদের।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পডকাস্ট শুরু করা
বিস্ময়কর হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অডিওবুক প্রকাশ করা পডকাস্ট সাইটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি পডকাস্টের জন্য প্রয়োজন হয় ভালো কন্ঠ, মাইক্রোফোন এবং কম্পিউটার। কি বলা হচ্ছে তা কতটুকু সাড়া ফেলবে তা নির্ভর করছে অডিও কন্টেন্ট এবং কথকের কন্ঠের মাধুর্যতার উপর।
পডকাস্টগুলো অর্থ উপার্জন করে বিজ্ঞাপন থেকে, তাই শ্রোতা সংখ্যা যত বাড়বে অর্থ উপার্জনও তত বেশি হবে। আর ঠিক এই জায়গাতেই আসে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর চাহিদা। বিখ্যাত পডকাস্টাররা সব সময় অ্যাপলের আইটিউনকে নির্বাচন করে থাকে। এছাড়াও শীর্ষস্থানীয় পডকাস্ট প্রকাশনার মধ্যে আছে বাযস্প্রাউট, ক্যাপটিভেট, এবং ট্রানজিস্টর-এর মত সাইটগুলো।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
যেহেতু গোটা বিশ্বই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জ্বরে আক্রান্ত, তাই এই রোগীদের দিকেই সব সময় দৃষ্টি থাকে সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর। ব্যবহারকারিদের সব সময় নিজেদের কন্টেন্টের প্রতি আকৃষ্ট রাখতে বিপুল বিনিয়োগ করে থাকে অনলাইন ব্যবসাগুলো। আর এই আকৃষ্ট রাখার কাজগুলোর ব্যবস্থা করেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে শুরু করে পেজ, গ্রুপ, পোস্ট পরিচালনার পাশাপশি গ্রাহকদের সাথে রিয়েল টাইম চ্যাটে অংশ নেয়ার কাজগুলো করে থাকে এই ম্যানেজাররা। ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ এটি। শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেসগুলো ছাড়াও এই কাজগুলোর দেখা মেলে ইন্ডিড, লিঙ্ক্ডইন, মডস্কোয়াড, এমনকি স্বয়ং ফেসবুকেও।
ডিজিটাল পণ্য বিক্রি
যে কোন ভিডিও, অডিও, গেম, অ্যাপ্স, ওয়েব টেমপ্লেট, প্লাগ-ইন্স এবং যে কোন বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ ডিজিটাল পণ্যের অন্তর্ভূক্ত। প্রায় সময় তৈরিকারকরা তাদের বানানো ডিজিটাল পণ্যটি প্রচারের জন্য মার্কেটারদের সরণাপন্ন হন। প্রতি বিক্রিতে স্বল্প শতাংশ প্রদানের ভিত্তিতে পণ্য নির্মাতা ও মার্কেটারদের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি হয়।
অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে এই বিক্রির কাজ হয়ে থাকে। আর যারা কিনে থাকেন তারা ব্যবহার করেন পণ্য রিসেলিং পদ্ধতি। এ ধরণের পণ্যের জন্য শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে আছে ইটসি, শপিফাই, ইনভাটোর মত সাইটগুলো।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ পরীক্ষা করুন
বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসাগুলো তাদের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট উন্নত করতে তাদের টার্গেটকৃত অডিয়েন্সের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে থাকে। এই প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারটি সাইট বা অ্যাপটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই কাজের জন্য টেস্টারের একটি কম্পিউটার, একটি ওয়েবক্যাম, একটি মাইক্রোফোন এবং একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্ল্যাটফর্ম-প্রদত্ত সফ্টওয়্যারগুলো ব্যবহার করে স্ক্রিন রেকর্ড দেখাতে হয়। ওয়েবসাইট বা অ্যাপটি চালানোটা সহজ কিনা তা পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে পরিবেশন করতে হয়। ইউজার-টেস্টিং, ইউজারফিল, ইউজারলিটিক্স প্রভৃতি সাইটগুলো এ ধরনের কাজ সরবরাহ করে থাকে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা
মুল ধারণাটি হলো ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করা। কিন্তু এখানে সুক্ষ্ম দুটি পার্থক্য আছে। প্রথমটি হলো এই ওয়েবসাইট এক পেজের হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত এখানে হাজার হাজার কন্টেন্টের প্রয়োজন হয় না। শুধু দরকার হয় নির্দিষ্ট কিছু অডিয়েন্সকে একটি সুনির্দিষ্ট সেবা প্রদান। যেমন গুগলে সার্চ করলে এমন অনেক এক পেজের সাইট পাওয়া যাবে যেগুলোর কোনটা শুধু বড় ছবিকে ছোট করছে, অথবা কোন ওয়েব পেজের লিঙ্ককে ছোট করছে।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
এধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভিউ পাওয়া যায়। এগুলোর কীওয়ার্ড সীমিত কিন্তু সুনির্দিষ্ট থাকে বিধায় গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো পরিমাণ আয় করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন একজন ওয়েব ডেভেলপার এবং একজন ডিজিটাল মার্কেটার। নিয়মিত আয়ের একটি ধারা তৈরি করতে এটি একটি সেরা বিনিয়োগ হতে পারে।
পরিশিষ্ট
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের এই উপায়গুলো মানুষের জীবনে অভাবনীয়ভাবে স্বচ্ছলতা এনে দিচ্ছে। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিড় বাড়ার সাথে সাথে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা পূর্বাপেক্ষা জটিলতর হয়ে উঠছে। এছাড়াও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রসর হওয়ার কারণে আগের চেয়ে অধিক হারে অনেক কাজের চাহিদা কমে যাচ্ছে। তবে ভালো দিক হলো- অনেক নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোতে প্রয়োজন পড়ছে যথেষ্ট ব্যবহারিক দক্ষতার। মুলত অনলাইন টুল্সগুলো জীবনকে সহজ করলেও অফলাইনের মত এ জায়গাগুলোতেও সফলতা কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। অর্থের পরিমাণ কম লাগলেও অনলাইনে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য যথেষ্ট মেধা, শ্রম এবং সময় বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
দ্রুত বেগে ধাবমান প্রযুক্তির বিশ্বে গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তির সাথে সখ্যতা থাকা জরুরি। কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়ে এখন আর প্রাথমিক নয়; প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যারের অ্যাডভান্স্ড ব্যবহারিক জ্ঞান চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। এই সফ্টওয়্যারগুলো অধিকাংশই মানুষের জীবন ধারার সাথে ওতপ্রোতভাবে জাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিটি অনুষদে যথেষ্ট উপযোগিতা থাকায় সফ্টওয়্যারগুলোর নিয়মিত আপডেটও রাখা হচ্ছে। এজন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য অকারিগরি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকেও অর্জন করতে হচ্ছে প্রযুক্তির দক্ষতা। একজন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীর চাকরির সুবিধার্থে তেমনি প্রয়োজনীয় ১০টি সফ্টওয়্যারকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই ফিচারে।
চাকরির জন্য যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকা জরুরি
ডকুমেন্টেশন সফ্টওয়্যার
সব ধরনের ব্যাবসায়িক পত্রের জন্য মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড একটি পরিচিত নাম। আট ঘন্টা অফিস সময়ের মধ্যে এই ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনটিতে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাতে হয় কর্মচারিদের। এই নামটি এখন এক অলিখিত দক্ষতা হয়ে গেছে, যেটা একজন চাকরিপ্রার্থীর ভেতর থাকবে তা ধরেই নেয়া হয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে শুধু ওয়ার্ড ওপেন করে টাইপ করতে জানলেই হবে। অবশ্য এক সময় টাইপ জানার দক্ষতাকে আলাদা করে গুরুত্ব দেয়া হতো।
কিন্তু এখন দ্রুত টাইপের পাশাপাশি গুরুত্ব পায় লিখিত কন্টেন্টটি। সৃজনশীল নির্ভুল লেখার সাথে থাকতে হবে মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে হেডার ম্যানেজমেন্ট, টেবিল অব কন্টেন্ট তৈরি, প্যারাগ্রাফ স্টাইলিং, সাইটেশন প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। বিগত কয়েক বছর যাবত ওয়ার্ডের জায়গা দখল করে নিয়েছে গুগল ডক। তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ার এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ থাকায় বর্তমানে ওয়ার্ড প্রসেসিং মানেই গুগল ডক।
পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
স্প্রেডশীট ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার
যে কোন সাংখ্যিক তথ্যকে নিমেষেই দৃশ্যমান করতে পারে মাইক্রোসফ্ট এক্সেল। তাই অফিসের বড় বড় মিটিংগুলোতে বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট মানেই এক্সেলের ফাইল। মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের পাশাপাশি এই এক্সেলকেও আলাদা করে সিভিতে উল্লেখ করার যুগ পেরিয়ে গেছে।
এক্সেলের পেশাগত দক্ষতা বলতে বুঝায় এক্সেলের কাস্টম ফাংশন তৈরি করতে পারা, পিভট টেবিল সাজাতে পারা, সেল রেফারেন্স, ফিল্টার ও ডাটা ভ্যালিডেশনের কাজ। এক্সেলের বরাবর গুগলের সেবাটির নাম হচ্ছে গুগল শীট। এটি এক্সেলের জটিলতা কমিয়ে আনার মাধ্যমে দিন দিন জনপ্রিয় সফ্টওয়্যারে পরিণত হচ্ছে। অনেকে ডকের কাজও এখন গুগল শীটে করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
প্রেজেন্টেশন সফ্টওয়্যার
করপোরেট জগতের অবিচ্ছেদ্য ক্রিয়াকলাপ হচ্ছে প্রেজেন্টেশন। ওয়ার্ড বা ডকে যা লেখা হচ্ছে, এক্সেল বা শীটে যা হিসাব করা হচ্ছে তারই সারবস্তু আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয় প্রেজেন্টেশনে। এই কাজে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফ্টওয়্যারটি হচ্ছে মাইক্রোসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট। এর সমতূল্য হচ্ছে গুগল স্লাইড।
পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
প্রেজেন্টেশনকে প্রতিনিয়ত সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার তাগিদে এখন আরো কিছু সফ্টওয়্যার অফিসগুলোর পিসি বা ল্যাপটপে শোভা পাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে প্রেজি ও ভিসমি বহুল ব্যবহৃত। কেউ কেউ প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে ক্যানভাও ব্যবহার করে থাকেন।
ফাইল শেয়ারিং সফ্টওয়্যার
কন্ফারেন্স বা সেমিনারের মত বড় বড় ইভেন্টে যাবার আগে পেনড্রাইভে করে ফাইলপত্র নিয়ে যাবার দিন শেষ। এখন আগামী দিন সিভি নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও ইয়ত্তা নেই। ছবি তোলার সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের শেয়ারইট অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই ফটো স্থানান্তর করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা যায়। সবধরনের ডিভাইসের জন্য আছে গুগল ড্রাইভ ও ড্রপবক্সের মত ওয়েব অ্যাপগুলো।
পৃথিবীর যে কোন স্থানে যে কেউ কোন ফাইল চাইলে সাথে সাথেই ইন্টারনেটের সহায়তায় দেখানো এবং শেয়ার দুটোই করা যেতে পারে এই টুলগুলোর মাধ্যমে। কম্পিউটারের ড্রাইভগুলোর মতই খুব সহজে ম্যানেজ করা যায় এগুলো। সম্প্রতি গুগল ড্রাইভে কপি-পেস্ট করারও কী-বোর্ড শর্টকাট সংযোজন করা হয়েছে।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
ইমেইল ম্যানেজমেন্ট টুল্স
একজন চাকরিপ্রার্থীর সিভির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ধরে রাখে এই টুল ব্যবহারটি। মুল ব্যাপার হচ্ছে আসলে ইমেইল ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা। এর পরিস্ফুটন ঘটে এই টুলগুলোর মাধ্যমে। ইন্টারনেট জুড়ে অনেক টুল থাকলেও সহজলভ্যতার জন্য অদ্বিতীয়ভাবে নিজের স্থানটি ধরে রেখেছেন জিমেইল।
ইমেইল এটিকেটে নিজের পারদর্শিতা দেখাতে হলে জিমেইলে অ্যাডভান্স্ড দখল নিতে হবে চাকরিপ্রার্থীকে। প্রাপক, বিষয়বস্তু, সিগনেচারের সাথে মুল বার্তাটি কম্পোজ করে পাঠিয়ে দেয়াটাই সবকিছু নয়। জানতে হবে ইমেইল সিসি(কার্বন-কপি) ও বিসিসি(ব্লাইন্ড-কার্বন-কপি)-এর ব্যবহার। কিভাবে ইমেইল ফিল্টার করতে হয়, লেবেল দিতে হয়, ক্যাটাগরি ভিত্তিক ইমেইল টেমপ্লেট বানাতে হয় সে ব্যাপারে বিশদ জ্ঞান থাকতে হবে।
ভিডিও কন্ফারেন্স টুল্স
পূর্বে এই টুলগুলোর ব্যবহার থাকলেও করোনা মহামারির পর ফুলে ফেঁপে উঠেছে এগুলোর মার্কেট। সাধারণ আড্ডা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মিটিংগুলোতে সরবে বিরাজ করেছে এই সফ্টওয়্যারগুলো। এখন মহামারির ধাক্কা হ্রাস পেলেও রেশ রয়ে গেছে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধার। নিত্যদিন ছোট ছোট ফিচার সংযোজনের মাধ্যমে এখনো জীবনকে সহজ করে যাচ্ছে সফ্টওয়্যারগুলো।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
স্কাইপের ব্যবহারটা আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু অংশগ্রহনকারিদের সংখ্যা এবং মিটিং-এর সময় সীমার উপর বিপ্লব ঘটিয়েছে জুম, মাইক্রোসফ্ট টিম এবং গুগল হ্যাঙআউটের মত ওয়েব অ্যাপগুলো। তাই চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া না হলেও এগুলোর ব্যাপারে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক।
ডিজিটাল শিডিউল প্ল্যানার
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সহ এর কাজগুলো সুষ্ঠভাবে পরিচালনার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট টিম পরিকল্পনা প্রস্তুত করে দেন। সে পরিকল্পনা মতে প্রত্যেক অনুষদের কর্মচারিদের জন্য নির্ধারিত হয় সুনির্দিষ্ট কাজ। এই কাজগুলো তদারক করার মাধ্যমে যাচাই করা হয় কর্মচারির কাজের অবস্থা। একই সাথে পরিমাপ করা হয় প্রতিষ্ঠানের সফলতা। স্বয়ংক্রিয় না হলেও অনেক আগে থেকেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এই কাজের জন্য মাইক্রোসফ্ট আউটলুক ব্যবহার করে আসছেন।
ইমেইলের সাথে টাস্ক ম্যানেজমেন্টের সংযোজন হওয়াতে অনুষদের প্রধান আউটলুকের মাধ্যমে তার অধীনস্থ কর্মচারিদের কাজ দেখাশোনা করতে পারেন। বর্তমানে এই পরিচালনাকে আরো সহজতর করেছে গুগল ক্যালেন্ডার। গুগল হ্যাঙআউট বা মীট, মিটিং মিনিটের সংযোজনের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে পেপার-ওয়ার্ক প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বললেই চলে।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সোশ্যাল মিডিয়া
আপাত দৃষ্টে ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট-এর ব্যবহারে শেখার কিছু নেই মনে হলেও বর্তমান পরিস্থিতির চাকরিগুলো সেই জ্ঞানের দাবি রাখে। বিশেষ করে লিঙ্ক্ডইন প্রোফাইলকে এখন পোর্টফোলিওর জায়গায় বিবেচনা করা হয়। অনেক ইন্টারভিউতে চাকরিপ্রার্থীকে যাচাইয়ের জন্য তার ফেসবুক প্রোফাইল চেক করা হয়।
এছাড়াও শুধু টাইমলাইন সাজানো পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই, এর গুরুত্ব ছাড়িয়ে গেছে বিজনেস পেজ তৈরি থেকে শুরু করে গ্রুপ তৈরি করে তা ম্যানেজ করা পর্যন্ত। যারা ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ফিচারগুলো বেশ আয়ত্ত্ব করে নিয়েছে তাদের জন্য অফিসের এই কাজগুলো প্রায় প্রতিদিনকার জীবন যাপনের মত।
ফটো ইডিটিং টুল্স
নানা ব্যাবসায়িক নথি তৈরির সময় তথ্যাদির প্রমাণ ও যৌক্তিকতা বাড়াতে প্রয়োজন হয় কন্টেন্ট বৈচিত্র্যের। আর এখানে আসে ছবি সম্পাদনার বিষয়টি। এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনে খুব পটু হতে হবে তা নয়। গুগল ডক বা শীটে তথ্যগুলো তৈরি জন্য দরকারি চাহিদা পূরণ করলেই হবে।
পড়ুন: এসআই পদে নিয়োগ: বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিকের মাসব্যাপী পরীক্ষা শুরু ৯ মে
এক্ষেত্রে জনপ্রিয় ডিজাইনল টুল্স এডবি ইলাস্ট্রেটর ও ফটোশপ জানাটা ভালো। অন্তত বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়া একটি ফটোকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আজকাল অনেকে ক্যানভা ব্যবহার করছেন মুলধারার ডিজাইন সফ্টওয়্যারের বিকল্প হিসেবে।
ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট
একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অফিস যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি বর্তমানে তার ডিজিটাল উপস্থিতির জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকাটাও জরুরি। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো শুধু অনলাইন স্টোরের মাধ্যমেই তাদের কর্মচারি ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ফলশ্রুতিতে চাহিদা তৈরি হয়েছে সেই ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত ম্যানেজারের।
প্রতিটি ওয়েবসাইটকে পরিচালনার জন্য এর পেছনে থাকে একটি সিএমএস(কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)। এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যগুলো দেখা যায়। এই সিএমএস চালানোর জন্য কোন প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। সিএমএসের ফাংশনগুলো ওয়েব ডেভেলপাররা সব আগে থেকেই ঠিক করে রাখবেন। আর ওয়েবসাইট ম্যানেজাররা সে অনুযায়ী শুধু তথ্য ইনপুট দিবেন। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিএমএসের মধ্যে আছে ওয়ার্ডপ্রেস।
পড়ুন: ব্যাংকে চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি , লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৩৬,০০০
শেষাংশ
এই ১০টি সফ্টওয়্যার জানা থাকলে চাকরির প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কর্মজীবনে প্রতিক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। সেজন্য প্রয়োজন হালনাগাদকৃত অথবা নতুন নতুন জ্ঞান। যারা প্রযুক্তির সর্বশেষ উন্নয়নের সাথে নিজেদেরও আপডেট করে রাখতে পারেন তাদের অবস্থান স্বভাবতই অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে যায়। তাছাড়া সহজে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে প্রযুক্তিময় পরিবেশের প্রতি অনেকেরই বিশেষ করে বায়োজ্যেষ্ঠ কর্মচারিদের বেশ ভয় থাকে। তাই যুবকদের বিশেষ করে টেক স্যাভিদের উপর রীতিমত অন্ধভাবে নির্ভর করতে শুরু করে গোটা প্রতিষ্ঠান।
টঙ্গীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে রেলওয়ে শ্রমিকদের একটি অংশ বিক্ষোভ ও রেললাইন অবরোধ করায় সোমবার ঢাকা ও অন্যান্য জেলার মধ্যে এক ঘণ্টার জন্য রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এই সময়ে ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা প্রবেশ করে নি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩০ জুন অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৮ হাজার শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। এর প্রতিবাদে টঙ্গী সেকশনের শতাধিক শ্রমিক বেলা ১১টা থেকে রেললাইন অবরোধ করেন।তাদের দাবি, অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ছিল, তারা সেভাবেই থাকতে চায়। আউটসোর্সিং প্রত্যাহারের দাবি করেন।
আজ (সোমবার) বিকাল ৫টার মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চাকরি ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি ফিরে না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা: পলক
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক ওই এলাকার তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এটি চালু হলে এলাকার তরুণদের চাকরির জন্য ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী হতে হবে না।
বুধবার (২২ জুন) ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় কিসমত রহমতপুরে ‘ময়মনসিংহ আইটি/ হাইটেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় অগ্রসরমান প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে দেশের ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি /হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহে এ হাইটেক পার্কটি ৭ একর জায়গার ওপর ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
এতে প্রতি তলায় ১৫ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট ৭তলা ভবন এবং সিনেপ্লেক্স নির্মিত হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর ১ হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রত্যক্ষ ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক ব্যক্তি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমন আলী (২৬) নিমতলা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
গ্রেপ্তার সানাউল্লাহ (৪৫) একই এলাকার মৃত মহসিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, উপজেলার কলাদিয়ার এলাকায় একটি আম বাগানে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে; এমন খবর পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবক সুমন লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে সানাউল্লাহ একটি বিশেষ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সুমন আলীর কাছ থেকে আট লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। এরপর চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চায় সুমন। কিন্তু সানাউল্লাহ টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকায় হতাশায় সুমন আলী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।