মামলা
অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রিভিউ খারিজ, ২ আসামির ফাঁসি বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের পর এখন তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে এই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর এক আসামি আব্দুস সালামের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তার ওই সাজা বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
রায় ঘোষণার সময় সর্বোচ্চ আদালতে অধ্যাপক তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ ও আইনজীবী কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রিভিউ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অবন্তী নুরুল। আর আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
সে মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে খালাস দেন। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল আলম বাদে অপর তিন দণ্ডিত আপিল বিভাগে (রিভিউ) আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা: আপিলে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দণ্ডিত আসামি চুমকিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাকে জামিন না দিয়ে ২১ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে তার করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক।
পরে আসিফ হাসান জানান, দণ্ডের পর চুমকি আপিল করলে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এর মধ্যে জামিন আবেদন করে। শুনানি শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য আজকের দিন (সোমবার) রাখেন। আজকে আদালত মৌখিকভাবে জামিন না দেয়ার কথা বলে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে বলেছেন।
গত বছরের ২৭ জুলাই এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত করা ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুনানি ২০ জুন
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় চুমকিকে ১ বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ড, ২৭ (১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ৮ বছর কারাদণ্ড, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও চার কোটি টাকা জরিমানা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
প্রত্যেক কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে।
গত বছরের ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ মামলায় দুদকপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর বিচারক ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের পর টাকার অংকে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।
২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার শুরু থেকে চুমকি পলাতক থাকলেও গত বছরের ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে কারাবন্দি চুমকি কারন।
এদিকে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
এই হত্যা মামলায় গত বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
বাগেরহাটে বিএনপির ৪৮ জনের নামে মামলা
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামের শহরের মুনিগঞ্জ বাসভবন থেকে শনিবার সাতটি ককটেল এবং কয়েকটি ধারালো অস্ত্র জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির ৪৮ জন নেতাকর্মীর নামে একটি মামলা করেছে সদর থানা পুলিশ। ওই মামলায় পুলিশ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু নির্যাতনের মামলায় গোপালদী পৌর মেয়রের আগাম জামিন
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, পদযাত্রার নামে নাশকতা চালানো হতে পারে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামের বাসভবন থেকে সাতটি ককটেল এবং কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৪৮ জনের নাম উল্লেথ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক শিশু নিহতের ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ এদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার চরকাসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল হোসেন (১৪) ওই গ্রামের মনির হোসেন ভুট্টুর ছেলে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাহুল, সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সোহাগ, রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত ইউসুফ কারীর ছেলে ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ১০
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া ঘটনার সত্যথা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার রায়পুরা উপজেলার চরকাসিয়া গ্রামে আধিপত্য প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাসেল হোসেন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। ওইদিন রাতে নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শাহজালালসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যা: আটক ২
চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশ থেকে পালানোর চেষ্টাকালে পাসপোর্ট ও বিমানের টিকেটসহ বাচুইন্যাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি। মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন এবং আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে আরেকটি অপহরণ মামলায়ও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর সদস্যরা সোমবার রাউজানের চৌধুরীহাট এলাকায় অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার: র্যাব
সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
ফরিদপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নারী (৩৩) এ অভিযোগ এনে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. সজল মাহমুদ (৪০)। তিনি ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরিদপুর ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এ মামলাটি ব্লাস্ট পরিচালনা করবে।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মা ও বাবা মারা গেছেন। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
গত ২০ অক্টোবর বাড়িতে চুরি হলে থানায় জানাই। গত ২৪ অক্টোবর এএসআই মো. সজল রাতে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার ছলে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন ও গুম করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে তাকে বিয়ের কথা বলে ৩০ জানুয়ারি ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে ওসিকে সব খুলে বলেন। ওসি মুঠোফোনের সজলকে ডেকে আনেন। তখন সজল তাকে পুলিশ কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে কিছু কাগজপত্র ও সাদা কাগজে সই করতে বলেন।
তিনি সই করার পর সজল বলে ‘তুমি আমাকে বিয়ে করেছো এবং এরপর তালাকও দিয়েছো।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বাড়ি এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গায় মামলা করতে গেলে থানা মামলাটি গ্রহণ না করে আদালতে করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তার কাছে কাবিননামাও আছে।
তিনি বলেন, তার আগের স্ত্রী আছে। বড় স্ত্রীর সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাকে তিনি তালাক দেননি। ওই নারী এখন তার স্ত্রী।
বিস্ময় প্রকাশ করে সজল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে ওই নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে কেন মামলা দিলেন-তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুইয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এএসআই সজলকে গত ১০ দিন আগে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা তারা এখনও পাননি। তবে শুনেছেন এই জাতীয় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
শিশু নির্যাতনের মামলায় গোপালদী পৌর মেয়রের আগাম জামিন
চুরির অভিযোগে তিন শিশুকে হাত বেঁধে গ্রাম ঘুরিয়ে মাথার চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
জামিনের বিষয়টি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূইয়া।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চুরির অপবাদ দিয়ে গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে তিন শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে গোপালদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামচন্দ্রদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ও গোপালদী মাদসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ (১০)। হাসানের ছেলে ও রামচন্দ্রদী মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৮)। আর জজ মিয়ার ছেলে একই মাদরাসার শিক্ষার্থী আফরীদ (৮)।
তারা সকালে মক্তব থেকে যাওয়ার পথে গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে থেকে পড়ে থাকা কয়েকটি নাটবল্টু নিয়ে খেলছিল। এ সময় মেয়র তার লোকজন দিয়ে তাদের ধরে এনে হাত বেঁধে দুই ঘণ্টা আটক রেখে মারধর করেন।
পরে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে এনে তাদের মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
যুবকের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
নড়াইলের কালিয়ায় যুবকের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
কবজি হারানো আবদুর রহমানের বড় ভাই লায়েক শেখ বাদী হয়ে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌরুত মোল্যাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কলেজ শিক্ষকের ডান হাতের কবজি কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা
এদের মধ্যে মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগের সাবেক নেতা তৌরুত মোল্যা ও তার সহযোগী কাতেবার মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা তৌরুত মোল্যা তার সহযোগী কাতেবার মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্রের কোপে সাফায়েত শেখ ওরফে সারাফ শেখ (৪২) নামে একজনের বাম হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে প্রতিপক্ষরা।
একই সঙ্গে ডান হাতের কবজি ও দুই পা কেটে শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করেছে হামলাকারীরা।
এ সময় সারাফের সহোদর ফুল মিয়া শেখ (৫০), শামীম শেখ (২৭), লোকমান হোসেন (৩৫) ও পলাশ (২৭) নামে আরও চারজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চন্দ্রপুর গ্রামে মহাসীন মোল্যা ও রবিউল মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে আতাউর মৃধা ও লায়েক শেখ গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হাতের কবজি ও পা বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই যুবক উপজেলার চাঁচুড়ী বাজারের একটি পরিবহন কাউন্টাররম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি চন্দ্রপুর গ্রামের মরহুম ছলেমান শেখের ছেলে।
আহত সারাফ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ও গুরুতর আহত শামীম শেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্যদেরকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, আমাদের কাছে অপরাধীদের একটাই পরিচয়, সে অপরাধী।
এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের কেটে নেয়া কবজি সফলভাবে প্রতিস্থাপিত
স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় রংপুরের সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভূঁইয়া।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল।
রংপুরের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানিয়েছিলেন, গত বছরের ২২ এপ্রিল ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন।
মামলাটি আদালতের আদেশে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তবে বাদী প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন।
রফিক হাসনাইন বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইসঙ্গে বাদীর নারাজির আবেদন আংশিক মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ফখরুল ও আব্বাস
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির এই দুই নেতার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
মামলাটিতে এক মাস কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
বুধবার আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।
পরে আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, মামলাটিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আগে কারামুক্তি পান।
বুধবার হাইকোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করেছেন। ফলে এই মামলায় দুজন স্থায়ী জামিন পেলেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
পরে তাঁদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে চতুর্থ দফায় তাদের জামিন না-মঞ্জুর হওয়ার পর গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
গত ৩ জানুয়ারি তারা হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান। একই সঙ্গে এ মামলায় তাদেরকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে ৪ জানুয়ারি সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।
এরপর তারা কারামুক্তি পান। বুধবার হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন