ব্যবসা-বাণিজ্য
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীতে আইপি নীতি পূর্নবিবেচনার দাবি আমদানিকদের
দেশের বাজারে পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ বজায় রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রুপ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রুপের এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
এ সময় আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, সম্প্রতি সরকার এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানীর জন্য সীমিত পরিমাণে কয়েকজনকে আইপি দিয়েছে। যার পরিমাণ ৩০ মেট্রিক টন ও ৫০ মেট্রিক টন। অথচ ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাক সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ফলে ৩০ মেট্রিক টনের আইপি দিলে এলসি, শুল্ক, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবে। এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে এবং দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
তারা আরও বলেন, আগের মতো উন্মুক্তভাবে আইপি দেওয়া হলে আমদানিকারকরা সবাই সুবিধা পাবেন। এতে সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
অন্যদিকে সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে অরাজকতা তৈরি হবে। কেউ আইপি পাবে, কেউ পাবে না। ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চারটি ট্রাক ১০০ টন পেঁয়াজ নিয়ে দেশে প্রবেশ করে।
১২০ দিন আগে
সূচকের বড় উত্থান ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। বেড়েছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৯ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৫ কোম্পানির, কমেছে ১৩৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, কমেছে জেড ক্যাটাগরিতে।
সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ১৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে ফাইন ফুডস।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। সারাদিনে ডিএসইতে ৮০১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৭০৩ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে দেশ গার্মেন্টস এবং ৬ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ৩,৩৯৬ কোটি টাকা
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২৪ পয়েন্ট।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ১৭৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮, কমেছে ৬৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড।
১২০ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো ৩,৩৯৬ কোটি টাকা
সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে চারদিনই পতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই); বাজার মূলধন কমেছে ৩,৩৯৬ কোটি টাকা।
ডিএসই'র সাপ্তাহিক পুঁজিবাজারের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে সপ্তাহ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকায়।
পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে মোট মূলধন কমেছে ৩,৩৯৬ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মূলধন হ্রাসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক গড় লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। ৯০০ কোটি টাকার ঘরে থাকা গড় লেনদেন কমে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে মোট লেনদেন কমেছে ২৪ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সারা সপ্তাহের লেনদেনে সব সূচক কমেছে; প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৭ পয়েন্ট, বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ২৩ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৭ পয়েন্ট।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ডিএসইতে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির; ৯৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭৪ কোম্পানির এবং ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
খাতভিত্তিক শেয়ার
ডিএসই'র তালিকাভুক্ত কোম্পানির ২১ খাতে দাম বেড়েছে মাত্র পাঁচটিতে, বাকি সব খাতে শেয়ারের দাম নিম্নমুখী।
বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে রীতিমতো ধস নেমেছে। ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৫৫ শতাংশ, লেনদেন কমেছে ৫২ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ২৮ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দাম কমেছে ৫৩ শতাংশ, লেনদেন কমেছে ৫১ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ১৯ প্রতিষ্ঠানের।
বীমাখাতে সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমার দাম কমেছে যথাক্রমে ৩২ এবং ৭ শতাংশ।
পতনের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চামড়াশিল্প খাতে, দর বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ। ভালো অবস্থানে আছে পাটখাত, দাম বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ। এছাড়া উত্থান হয়েছে পর্যটন খাত, কাগজ ও প্রিন্টিং এবং করপোরেট বন্ডে।
উত্থানে শীর্ষ কোম্পানি
ডিএসইতে উত্থানের ধারায় শীর্ষে আছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ৭১ টাকায় লেনদেন শুরু করে শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭ টাকা।
পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ ছয় বছর পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক, রিটার্ন বেড়েছে ২০ শতাংশ। সপ্তাহব্যাপী কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
বেক্সিমকোর পরেই শীর্ষ তালিকায় আছে ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, রিটার্ন বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের রিটার্ন বেড়েছে ১৮ শতাংশ; ৩৮৮ টাকা প্রতি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫৯ টাকা।
উত্থানের শীর্ষ তালিকায় আছে সামাতা লেদার কমপ্লেক্স, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড।
পতনে শীর্ষ কোম্পানি
ঢাকার বাজারে ১৪ শতাংশ রিটার্ন কমে পতনের শীর্ষে আছে এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। ১২ শতাংশ রিটার্ন কমে দ্বিতীয় অবস্থানে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
দাম কমেছে সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের; ১১ শতাংশ কম রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে। গত ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লাভ (ইপিএস) কমেছে ৪ শতাংশ।
পতনের শীর্ষ তালিকায় আছে ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতন হয়েছে সব সূচকের; দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসইর সার্বিক সূচক (সিএএসপিআই) কমেছে ২২১ পয়েন্ট। শরীয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই কমেছে ১১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক সিএসই-৩০ ও সিএসই-৫০ কমেছে যথাক্রমে ২০০ এবং ২১ পয়েন্ট।
সারা সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৩ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে; দাম কমেছে বেশিরভাগের। ৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৯ কোম্পানির এবং ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এবং দরবৃদ্ধিতেও শীর্ষে আছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। গত সপ্তাহে ওরিয়নের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
সিএসইতে দর পতনের শীর্ষে আছে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড; সপ্তাহব্যাপী দাম কমেছে ২৩ শতাংশ।
এদিকে, টানা এক সপ্তাহ পতন হলেও বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহে নতুন বেনিফিসিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৯৩৯টি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্থান-পতনের সাম্যবস্থা রক্ষা করা সম্ভব হলে বাজারে বড় বিনিয়োগ আসবে। এছাড়া ভালো কোম্পানির নতুন আইপিও আসতে শুরু করলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
১২১ দিন আগে
বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ঊর্ধ্বমুখী প্রতিটি পণ্যের দাম
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির; ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে, বাড়তি দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। সরেজমিনে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের গোল বেগুন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম দ্বিগুণ, বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে। লম্বা জাতের বেগুনের দাম ১৬০-১৮০ টাকা এবং সাদা জাতের বেগুন কেজিপ্রতি ১২০-১৪০ টাকা।
ঝিঙা, ধুন্দল, শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে; ঢেঁড়স, পটল, কাকরোল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে শুধু পেঁপে—৪০ টাকা কেজি। প্রতি পিস জালি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, লাউ ১০০-১৫০ টাকা।
বাজারে বরবটি প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুমুখী ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচামরিচেও—কেজিপ্রতি ২২০-২৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সবজির এমন নাগালবিহীন দামে খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খরচের ধাক্কা সামলাতে পরিমাণ কমিয়ে কিনতে হচ্ছে সবজি।
উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে স্কুলশিক্ষিকা ইয়াসমিন আরা বলেন, ‘বেগুনের দাম শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লাম। এক সপ্তাহে বেগুনের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কী করে বাড়ে! বেগুন না কিনে পেঁপে কিনে বাসায় যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা আবদুল গফফার বলেন, ‘সাধারণত এক কেজির নিচে কোনো সবজি কেনা হয় না। আজকে তিন রকমের সবজি আধা কেজি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সবজির দাম শুনে মানতেই পারছি না। গত এক বছরের মধ্যে এবারই সবজির দাম এত বেশি।’
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এতে করে অনেক ক্রেতাই সবজি না কিনে ফিরে যাচ্ছেন, অনেকে কিনছেন আধা কেজি বা ২৫০ গ্রাম করে। সব মিলিয়ে তাদেরও মুনাফা কম হচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ভোরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির প্রতিটির দাম ছিল বাড়তি। মৌসুমের এ সময়ে ফলন কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বিক্রেতারা।
কাওরান বাজার সবজির আড়তের বিক্রেতা নূর ইসলাম জানান, পাল্লাপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা। এতে করে প্রতি কেজি সবজিতে খরচ বাড়ছে। অক্টোবর মাস আসলে সবজির দাম আবার কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, মার্চ থেকে মাঠে সবজির পরিমাণ কমতে থাকলেও চাহিদা আগের মতোই থাকে। তাই সবজির দাম বাড়ে এ সময়ে। এ ছাড়া রাস্তায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বাড়তি খরচ বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পড়ুন: সোনামসজিদ দিয়ে দেশে ঢুকল ১০০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ
শুধু সবজি নয়, উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও। গত সপ্তাহের ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। পাইকারি বাজারে পাল্লাপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪০০-৪৩০ টাকা।
এর বাইরে দাম বেড়েছে ডিমের। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩০-১৩৫ টাকা।
স্থানভেদে সোনালি এবং ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকায়, ফার্ম ১৭০-১৮৫ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস—কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা; খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১১০০-১২০০ টাকা।
বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি মাছের; কেজিতে ৫০-২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। কাঁচকি মাছের দাম গত সপ্তাহে ৫০০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ৬০০ টাকা। চাপিলা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা। পোয়া মাছ সাইজভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়। শিং-মাগুর কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা।
বড় মাছের মধ্যে রুই কেজিপ্রতি ৩৮০-৪২০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৮০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২৫০ টাকা, নদীর পাঙাশ ৮০০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৮০০-১২০০ টাকা, আঁড় মাছ ১ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ইলিশ মাছেরও। এক কেজির নিচে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়, ছোট সাইজের ইলিশ ১২০০-১৬০০ টাকা। এক কেজির ওপরে ইলিশের দাম ২০০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজি এবং পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারের প্রতিটি পণ্যের দামে। দাম কমাতে সিন্ডিকেটের কারসাজি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন তারা।
১২২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
টানা ৬ দিনের মতো পতনের ধারা অব্যাহত আছে পুঁজিবাজারে। সোমবারের (১১ আগস্ট) পতন শেষে আজও (মঙ্গলবার) সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসইতে কমেছে প্রধান সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির দাম।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইসি ৯ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫ কোম্পানির, কমেছে ২২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড— তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ২২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
সারাদিনে ডিএসইতে ৬৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৬১০ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস এবং ৬ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই পতনের ধাক্কা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ২২৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮, কমেছে ১২৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ২২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ১২ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মিঠুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১২৫ দিন আগে
সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ: প্রাণ ডেইরিকে নিম্নমানের দুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে সংঘবদ্ধ চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে
পাবনার চাটমোহরে প্রাণ ডেইরির একটি গ্রামীণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে ভেজাল দুধ সরবরাহের ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাণ ডেইরির বক্তব্যে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার স্থানীয় ভেজাল দুধ সরবরাহকারী সংঘবদ্ধ চক্র প্রাণ ডেইরিকে নিম্নমানের দুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে কৌশলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মীকে হাত করে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত দুধ মিশিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করে যেন প্রাণ ডেইরির সুনাম নষ্ট হয়।
সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রাণ ডেইরির নিজস্ব তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ ডেইরির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাণ ডেইরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা।
তিনি বলেন, ‘ছাইকোলা ইউনিয়নের ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টারে স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে ডিটারজেন্ট মেশানো দুধ ধরা পড়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। ঘটনাটি তদন্তে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং চারজন স্থানীয় দুধ সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রাণ ডেইরির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, কিছু সরবরাহকারীর দুধে বারবার গুণগত সমস্যা ধরা পড়ায় তাদের কোড স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা প্রাণ ডেইরির সুনাম নষ্টের চেষ্টা চালায়। এমনকি গত ৭ মার্চ প্রাণ ডেইরির এক কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়, যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা নিবন্ধিত সরবরাহকারীর কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করি এবং চার ধাপে গুণগত পরীক্ষা সম্পন্ন করি। সাম্প্রতিক ঘটনাটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটেছে, যা পরবর্তী ধাপে ধরা পড়লে নষ্ট করা হতো।’
তিনি আরও জানান, ভোক্তার কাছে নিরাপদ দুধ পৌঁছাতে প্রতিষ্ঠানটি দুগ্ধ সংগ্রহ ও পরীক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, সম্প্রতি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সারাদেশে অগণিত ক্রেতা ও ভোক্তা মানসিক বিড়ম্বনার যে শিকার হচ্ছেন তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বস্ত করছি যে, প্রাণ দুধ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। পরিবারের সবাই মিলে নিশ্চিন্তে প্রাণ দুধ পান করুন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ প্রধান তৌহিদুজ্জামান, প্রাণ ডেইরির হেড অব মার্কেটিং সৈয়দ মুস্তায়িন কাদেরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২৭ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তী বাজেট দেওয়া: আমীর খসরু
জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেট অব্যাহত রাখার প্রয়োজন ছিল না বলে মত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বাজেট চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া উচিত ছিল।’
কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকলে আপনা–আপনিই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন বুঝতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি টিকতে পারবে না।
পাশাপাশি, সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকেও সবাইকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বক্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যজনের কথা শুনে সহ্য করা, তার মতকে সম্মান দেওয়া।
‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে সংস্কার অসম্ভব। বিপ্লবোত্তর যে দেশ দ্রুত নির্বাচন করেছে, তারা ভালো করেছে; যারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে, সেখানে অন্তঃকোন্দল বেড়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে। এটা একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব যেখান থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, ঐকমত্যের প্রচেষ্টা একটি ভালো উদ্যোগ। আলাদা দর্শন থাকবে, কিন্তু সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে—এটা বাকশালের আদর্শ। চাপিয়ে দেওয়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। অর্থনৈতিক উন্নতি করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
এই সরকারের সময় বিনিয়োগ আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই। বিনিয়োগে বাংলাদেশ অনেক নিচে। সিরিয়াস ডিরেগুলেশন ও সিরিয়াল লিবারেলিজম ছাড়া দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
‘সরকারের অনেক দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। ট্রেড বডিগুলোর হাতে অনেক কার্যক্রম তুলে দিয়ে সরকারকে নির্ভার হতে হবে। ফিজিক্যাল কন্ট্রাক্ট না কমালে দুর্নীতি কমানো যাবে না। দেশে যত নিয়ন্ত্রণ (রেগুলেশন) থাকবে, তত দুর্নীতি বাড়বে। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, সবার অংশগ্রহণ লাগবে,’ যোগ করেন তিনি।
১২৭ দিন আগে
আগামীকাল থেকে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় শুরু
নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম আগামীকাল রবিবার (১০ আগস্ট) থেকে শুরু হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবির উপপরিচালক মো: শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তদুপরি, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি, ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি এবং বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা হবে।
পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলার যান চলাচল বন্ধ
অন্যদিকে, ১০ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) এই জেলা ও মহানগরীগুলোতে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ৫০০ জন সাধারণ ভোক্তার নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভোক্তা প্রতি ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩0 টাকা, চিনি ১ কেজি ৮0 টাকা এবং মশুর ডাল ২ কেজি ১৪0 টাকায় বিক্রি করা হবে।
স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে বিক্রয় মূল্য আগের মতোই বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
১২৮ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সকাল থেকে পতনের মুখে পড়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজার, যার রেশ ছিল লেনদেনের শেষ অবধি।
রবিবার (৪ আগস্ট) সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কমেছে সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১২২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২০৭ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৬৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯ কোম্পানির। অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ২৪ কোম্পানির ১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গ্লোবাল পেন সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনে ডিএসইতে ৯১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়ে ঢাকার বাজারে শীর্ষে আছে তিতাস গ্যাস এবং ৮ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ট্রাস্ট ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৭ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬ কোম্পানির, কমেছে ১১২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২০ কোটি টাকা।
৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে কাশেম ইন্ডাস্ট্রি এবং ৯ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে খান ব্রাদার্স।
১৩৩ দিন আগে
পোশাক কারখানায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা
আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে সব তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
রবিবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, সরকার ঘোষিত জাতীয় ছুটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, যদিও সরকার ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে, আইন অনুযায়ী তৈরি পোশাক কারখানার জন্য তা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, পোশাক কারখানাগুলোকে বছরে ১১ দিন উৎসবের ছুটি দিতে হয়। এর বাইরে অতিরিক্ত সাধারণ ছুটি পালনের বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে সংগঠনটি ৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে ও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে সব সদস্য কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
১৩৪ দিন আগে