ক্রিকেট
আন্দোলনে নিহতদের জয় উৎসর্গ করলেন শান্ত
দেশের রাজনৈতিক সংকটের মাঝে বাংলাদেশের এই টেস্ট সফর নিয়ে তেমন কারও মাথাব্যথা ছিল না। তার ওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেশের মানুষের ওপর চেপেছে ভয়াবহ বন্যা। এরই মাঝে পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে এক চিলতে হাসির উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে টাইগাররা।
এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে সম্প্রতি সরকার পতন আন্দোলনে নিহতদের কথা ভুললেন না টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক বাজিদ খানের আহ্বানে এগিয়ে এলেন শান্ত। মাইক্রোফোন হাতে এগিয়ে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি কি কিছু বলতে পারি?’ এরপর সঞ্চালকের সম্মতি নিয়ে তিনি বাংলায় বলে উঠলেন-
‘সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমাদের এই জয়টা তাদের উৎসর্গ করছি। তাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
শান্তর ২৬তম জন্মদিন আজ। নিজের জন্মদিনে এমন স্মরণীয় জয় পেলেও শান্তর কাছে যে তা বিশেষ কিছু নয়, তা নিজেই জানালেন তিনি। গতকাল রাতেই নাকি তার স্ত্রী ফোন করে বলেছিলেন, ‘কাল যদি তোমরা জিততে পার, দারুণ ব্যাপার হবে তোমার জন্য।’
জয়টি তিনি আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের প্রতি উৎসর্গ করে বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই জয়টা বিশাল আমাদের জন্য।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪টি টেস্ট খেলে এই প্রথম জিতল বাংলাদেশ। এর আগের ১৩ টেস্টের মাত্র একটিতে ড্র করতে পেরেছিল তারা, বাকিগুলোতে হার। অবশেষে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম জয়টি পেল স্বাগিতকদের মাটিতেই।
ঐতিহাসিক এই জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ক নিঃসন্দেহে মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে তার ১৯১ রানের ইনিংসটিই ম্যাচের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। দুর্দান্ত পারফর্ম করে তিনি হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এসময় মুশফিকের জন্য প্রশংসাও ঝরল শান্তর কণ্ঠে।
‘মুশি ভাই অসাধারণ। যেভাবে তিনি ১৫-১৭ বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন, প্রতিদিন নিজেকে তৈরি করছেন, এটা অবিশ্বাস্য। এই কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ের জন্য যেভাবে তিনি নিজেকে তৈরি করেছেন, আমি খুব খুশি।’
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
তবে শুধু মুশফিক নয়, দলের সবাই যে এই জয় পেতে ভূমিকা রেখেছেন, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
‘তবে আমি শুধু মুশি ভাইকে সব কৃতিত্ব দেব না। এই জয় দলের ১৫ জনের কঠোর পরিশ্রমের ফল। এই কৃতিত্ব সবারই পাওনা।’
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
৪৭৭ দিন আগে
ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
বল হাতে বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিনে জ্বলে উঠলেন তিনি। আর তাতেই উঠে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ইতিহাসের সেরা বাঁহাতি স্পিনার এখন এই অলরাউন্ডার।
এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক স্পিনার ড্যানিয়েল ভেটোরির। তবে তার চেয়ে মাত্র দুই উইকেট পেছনে থেকে পিন্ডি টেস্ট খেলতে নামেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে মাত্র একটি উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভেটোরিকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
৪৪২ ম্যাচের ৪৯৮ ইনিংসে বোলিং করে ৭০৫ উইকেট ছিল ভেটোরির, ৪৪৪ ম্যাচের ৪৮২ ইনিংসেই তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেটের সংখ্যা এখন ৭০৭। এর মধ্যে টেস্টে ২৪১, ওয়ানডেতে ৩১৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সাকিব। মোট ২৭ ওভার বোলিং করে ১০০ রানের বিনিময়ে তার প্রাপ্তি ছিল কেবল আগা সালমানের উইকেটটি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে চেনা রূপে ফেরেন তিনি। পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁটিয়ে দেওয়ার পথে ১৭ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
দ্বিতীয় ইনিংসে সম্প্রতি পাকিস্তানের রান মেশিন হয়ে ওঠা সৌদ শাকিলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ভেটোরিকে স্পর্শ করেন সাকিব। এরপর আব্দুল্লাহ শাফিকের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার বনে যান তিনি। পরে নাসিম শাহকে আউট করে নিজেকে তোলেন আরেকটু উচ্চতায়।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সাকিব ও ভেটোরি ছাড়া ৭০০ উইকেট তো দূরের কথা, ৬০০ উইকেটও নেই আর কারও। ৫৬৮ উইকেট নিয়ে তিনে রয়েছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা এবং ৫২৫ উইকেট নিয়ে চারে শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। পাঁচে থাকা আরেক লঙ্কান সনৎ জয়সুরিয়ার নামের পাশে রয়েছে ৪৪০ উইকেট।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
তবে পেসার-স্পিনার মিলিয়ে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে সাকিবের অবস্থান তৃতীয়। ৪৬০ ম্যাচের ৫৩২ ইনিংসে ৯১৬ উইকেট নিয়ে অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। ৪৩৯ ম্যাচের ৫২০ ইনিংসে ৭৬১ উইকেট নিয়ে দুইয়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস।
৪৭৭ দিন আগে
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে বাংলাদেশ দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
রবিবার (২৫ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে ঐতিহাসিক মুহূর্ত সৃষ্টি করলো বাংলাদেশ।
এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এবং সব মিলিয়ে ২০তম জয়।
এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ জয় থেকে মাত্র এক উইকেটের দূরত্বে থেকে শেষ পর্যন্ত ইনজামাম-উল-হকের দুর্দান্ত ইনিংসে জয় থেকে বঞ্চিত হয়।
২১ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩টি টেস্ট খেলে ১২টি হেরেছে আর একটি ড্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: ম্যাচের লাগাম হাতে রেখেই দিন শেষ টাইগারদের
৪৭৭ দিন আগে
পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ হলো, বাংলাদেশের হার এড়ানোর সম্ভাবনার কথা উঠলেও তখন কে ভেবেছিল যে, এই দলটিই শেষ দিনে ম্যাচের মোড় পুরোপুরি নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে? অথচ রাওয়ালপিন্ডিতে সেটিই করে দেখালেন শান্ত অ্যান্ড কোং।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের স্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
এর আগে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২০ ম্যাচ খেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় অধরা ছিল টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত তা এলো, তাও ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন সংস্করণে, আবার স্বাগতিকদের মাটিতেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে, তাদের মাটিতে বাংলাদেশের এটি প্রথম টেস্ট জয় হলেও বিদেশের মাটিতে এটি সপ্তম জয়।
শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান করে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। এরপর পঞ্চম দিনে বাংলাদেশি স্পিনারদের তাণ্ডবে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। আর সেই কাজটা অনায়াসেই সেরেছেন দুই টাইগার ওপেনার।
আরও পড়ুন: ম্যাচের লাগাম হাতে রেখেই দিন শেষ টাইগারদের
চতুর্থ দিন পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে সিয়াম আইয়ুবের উইকেট তুলে নিলেও দিনের বাকি অংশটুকু সচ্ছন্দেই খেলে গেছেন অধিনায়ক শান মাসুদ (৯) ও আব্দুল্লাহ শফিক (১২)। তবে পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শান মাসুদকে সাজঘরে পাঠানোর মাধ্যমে সেই যে শুরু, তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উদযাপন করে গেছে বাংলাদেশ।
এদিন জীবন পেলেও বাংলাদেশকে ভোগাতে পারেননি বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ান অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন, তবে অন্যপ্রান্ত থেকে তাকে যোগ্য সমর্থন জোগাতে পারেননি তেমন কেউ। অবশেষে তিনি ৫১ রান করে ফিরে গেলে আর বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি বাকি দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে স্বাগিতকদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেলে ৩০ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে আর কাউকে ক্রিজে আসতে দেননি জাকির হাসান (১৫) ও সাদমান ইসলাম (৯)। ফলে ১০ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
টেস্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটের জয়।
দেশের রাজনৈতিক সংকটের মাঝে বাংলাদেশের এই টেস্ট সফর নিয়ে তেমন কারও মাথাব্যথা ছিল না। তার ওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেশের মানুষের ওপর চেপেছে ভয়াবহ বন্যা। এরই মাঝে এক চিলতে হাসির উপলক্ষ্য এনে দিল টাইগাররা।
৪৭৭ দিন আগে
ম্যাচের লাগাম হাতে রেখেই দিন শেষ টাইগারদের
প্রথম ইনিংসে বড় পুঁজি গড়েই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে যোগ্য জবাব দিয়েছে বাংলাদেশও। ১১৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট ভেঙে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ খানিকটা বাংলাদেশের পক্ষেই রয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৯৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর অন্তত ২০ ওভার বাকি থাকলেও দিনের শেষভাগে আলোকস্বল্পতার কারণে ১০ ওভার পরই দিন শেষ করা হয়।
অবশ্য আগেভাগে শেষ হওয়ায় সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশই। শুরুতে উইকেট পড়লেও ক্রিজে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে রানের চাকা সচল করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার শান মাসুদ (৯) ও আব্দুল্লাহ শফিক (১২)।
দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সফলতা পায় বাংলাদেশ। ২.২ ওভারে শরিফুলের বলে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সিয়াম আইয়ুব (১)।
এর আগে, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ১৭১ এবং সৌদ শাকিলের ১৪১ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রেকর্ড জুটির পর ১১৭ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ
টাইগারদের বিশাল এই সংগ্রহে মুশফিক ছাড়াও অবদান আছে আরও চার ব্যাটারের। এদের মধ্যে ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ৯৩ রান। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭, লিটন দাস ৫৬ ও মুমিনুল হক ৫০ রান করেন।
৫ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করলেও শনিবার চতুর্থ দিনে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। এরপর দলীয় ৩৩২ রানে নাসিম শাহ লিটনকে ফেরালে ১১৪ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।
এরপর সপ্তম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে উইকেটের সামনে দেওয়াল তোলেন মুশফিক। এই জুটি থেকে স্কোরবোর্ডে টাইগারদের সপ্তম উইকেটের রেকর্ড ১৯৬ রান যোগ করেন মুশফিক ও মিরাজ। এর মাঝে অর্ধশতক পূরণ করেন মিরাজ আর দেড়শ পেরিয়ে ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগাতে থাকেন মুশফিক।
তবে দলীয় ৫২৮ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরে গেলে পরে ইনিংস আর বেশি বড় করতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটাররা। ফেরার আগে ১৯১ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক, যেটি ২২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর শূন্য রানে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর ব্যক্তিগত ৭৭ রানে মিরাজ ফিরে গেলে লিড আরেকটু বড় করার চেষ্টা করেন শরিফুল ইসলাম। তবে ১৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান করে শরিফুল আউট হলে ৫৬৫ রানে শেষ হয় বাংলোদেশের প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংস থেকে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। এছাড়া দুটি করে উইকেট গিয়েছে শাহীন আফ্রিদি, খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর ঝুলিতে। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন সিয়াম আইয়ুব।
৪৭৮ দিন আগে
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শিখর ধাওয়ানের বিদায়
দুই বছর ধরে থেমে ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ঘরোয়া ক্রিকেট, এমনকি আইপিএলেও হাসছিল না ব্যাট, আর সঙ্গে চোটের ছোবল তো ছিলই। সব মিলিয়ে এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দিলেন ভারতীয় ব্যাটার শিখর ধাওয়ান।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বিদায়ের কথা জানান ধাওয়ান।
এসময় আবেগ জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার সবসময়ই একটিই লক্ষ্য ছিল, ভারতের হয়ে খেলা; সেটি হয়েছেও। এজন্য অনেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমত আমার পরিবার ও বাল্যকালের কোচ, যাদের কাছ থেকে ক্রিকেট শিখেছি; তারপর ধন্যবাদ জানাই বিসিসিআই ও ডিডিসিএকে (দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) যারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। এছাড়া আমার সব সতীর্থদের, যাদের সঙ্গে আমি অনেক বছর খেলেছি।’
হাসিমাখা মুখে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ক্যারিয়ারে আমি সবার ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। গল্পের বই পড়তে পড়তে যেভাবে পাতা ওল্টাতে হয়, আমিও সেটাই করছি। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
‘নিজেকে আমি বুঝিয়েছি যে, ভারতের হয়ে আর খেলতে পারব না বলে দুঃখ পাওয়া যাবে না। বরং দেশের হয়ে খেলেছি, এটা ভেবেই সুখী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
প্রায় ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোট ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওয়ানডে এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধাওয়ান। সব সংস্করণ মিলিয়ে তিনি করেছেন ১০ হাজার ৮৬৭ রান, সেঞ্চুরি করেছেন মোট ২৪টি।
২০১০ সালে বিশাখাপাটনামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ধাওয়ানের। জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচটিও খেলেছেন এই সংস্করণেই। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে থাকল তার।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পথচলা শুরু হয় ২০০৪ সালে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৫০৫ রান করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে সবার নজরে আসেন তিনি। এরপর রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে অভিষেক হয় এই ব্যাটারের।
২০১৯ বিশ্বকাপে পাওয়া চোটই তার ক্যারিয়ারে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে ১০৯ বলে ১১৭ রানের ইনিংসের পর চোট পান তিনি। এরপর মাঠে ফিরলেও সেভাবে আর ধারাবাহিক হতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সী এই ওপেনার। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরিটিই ওয়ানডে ক্রিকেটে তার শেষ সেঞ্চুরি। পরে আরও ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন, এর মধ্যে তিনটি ইনিংসে ৯৬, ৯৭ ও ৯৮ রানে আউট হলেও মাইলফলক স্পর্শ করা হয়নি আর।
সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে তিন ওয়ানডেতে ৭, ৮ ও ৩ রানে আউট হওয়ার পর আর সুযোগ পাননি দলে।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ক্রিকেট থেকে সরাতে আইনি নোটিশ
অবশ্য জাতীয় দলে অনিয়িমিত হলেও আইপিএলে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। তবে আইপিএলের গত আসরে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফের চোটের কারণে ছিটকে যান। এরপর সবকিছুর সমাপ্তি।
দারুণ খেলোয়াড় ছাড়াও ব্যক্তি হিসেবে অসাধারণ ছিলেন শিখর ধাওয়ান। সেঞ্চুরির পর তার রাজস্থানি গোঁফে মোচড় দেওয়া কিংবা ক্যাচ ধরে পালোয়ানের ভঙ্গিমায় এক হাত শূন্যে তুলে অপর হাতে উরুতে থাপ্পড় দেওয়া উদযাপন ক্রিকেটভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
৪৭৮ দিন আগে
রেকর্ড জুটির পর ১১৭ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ
চতুর্থ ডবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হলেও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করেই পাকিস্তানের বড় সংগ্রহ পেরিয়ে ১১৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ১৭১ এবং সৌদ শাকিলের ১৪১ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
বিশাল এই সংগ্রহে মুশফিক ছাড়াও অবদান আছে আরও চার ব্যাটারের। এদের মধ্যে ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ৯৩ রান। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭, লিটন দাস ৫৬ ও মুমিনুল হক ৫০ রান করেন।
এর আগে, ৫ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করলেও চতুর্থ দিনে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। এরপর দলীয় ৩৩২ রানে নাসিম শাহ লিটনকে ফেরালে ১১৪ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।
এরপর সপ্তম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে উইকেটের সামনে দেওয়াল তোলেন মুশফিক। এই জুটি থেকে স্কোরবোর্ডে টাইগারদের সপ্তম উইকেটের রেকর্ড ১৯৬ রান যোগ করেন মুশফিক ও মিরাজ। এর মাঝে অর্ধশতক পূরণ করেন মিরাজ আর দেড়শ পেরিয়ে ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগাতে থাকেন মুশফিক।
তবে দলীয় ৫২৮ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরে গেলে পরে ইনিংস আর বেশি বড় করতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটাররা। ফেরার আগে ১৯১ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক, যেটি ২২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর শূন্য রানে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর ব্যক্তিগত ৭৭ রানে মিরাজ ফিরে গেলে লিড আরেকটু বড় করার চেষ্টা করেন শরিফুল ইসলাম। তবে ১৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান করে শরিফুল আউট হলে ৫৬৫ রানে শেষ হয় বাংলোদেশের প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংস থেকে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। এছাড়া দুটি করে উইকেট গিয়েছে শাহীন আফ্রিদি, খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর ঝুলিতে। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন সিয়াম আইয়ুব।
টাইগারদের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিনের আরও প্রায় ২০ ওভারের খেলা বাকি ছিল। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করেছে পাকিস্তান।
৬ ওভার শেষে ১০ রানে এক উইকেট হারিয়েছে তারা। ২.২ ওভারে শরিফুলের বলে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সিয়াম আইয়ুব।
৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন আব্দুল্লাহ শফিক (৫) ও শান মাসুদ (২)।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ক্রিকেট থেকে সরাতে আইনি নোটিশ
৪৭৮ দিন আগে
প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
ব্যাট হাতে পাকিস্তানের ব্যাটাররা যা করে দেখালেন, সেই ধারাই অব্যাহত রেখে ব্যাট চালাল বাংলাদেশ। শুরুর দিকে নিয়মিত উইকেট পড়লেও চারটি পঞ্চাশ পার করা ইনিংসের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের দেওয়া বড় লক্ষ্য টপকে গেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করার পর চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে আট উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭১ রানে এবং শরিফুল ইসলাম ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ উপহার দিয়েছেন মুশফিক। এই জুটিতে ভর করেই পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য পার করে এখন প্রায় একশ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে নিজের দুইশ রান আর ছোঁয়া হয়নি মুশফিকের। ৩৪১ বল মোকাবিলা করে ২২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৯১ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ক্রিকেট থেকে সরাতে আইনি নোটিশ
দলীয় ৫২৮ রানের মাথায় মোহাম্মদ আলীর অফ স্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরের ডেলিভারিতে স্কয়ার কাট করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। তবে বলে বাড়তি বাউন্স থাকায় ঠিকমতো তা করতে পারেননি তিনি। ফলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে বল চলে গেলে ১৯৬ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।
সপ্তম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে ১৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান।
আউট হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের লিটল মাস্টার।
এই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। পাকিস্তানের মাঠে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূর্ণ করেছেন মুশফিক। তার আগে এই তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছেন কেবল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৩৯১ ম্যাচ খেলে ১৫ হাজার ২৪৯ রান করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করতে মুশফিকের লাগল ৪৬১ ম্যাচ।
দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। এতে তামিমের আরেকটি রেকর্ড ছাড়িয়ে যান তিনি। দেশের বাইরে এখন সর্বোচ্চ (৫) সেঞ্চুরির মালিক তিনি। চারটি করে সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন তামিমের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি।
এছাড়া দেশের বাইরে টাইগারদের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রানের রেকর্ডও এখন মুশফিকের। এখানেও তিনি ছাড়িয়েছেন বন্ধু তামিমকে। ৫৯ ইনিংসে ২ হাজার ৩২৯ রান করে রেকর্ডটি এতদিন ছিল তামিমের। তবে আজ ১৯১ রানে আউট হওয়ার পর ৬৭ ইনিংসে মুশফিকের রান ২ হাজার ৩৮১।
উল্লেখ্য, দেশের বাইরে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারের দুই হাজার রান নেই। ৫৫ ইনিংসে ১ হাজার ৬৩৭ রান নিয়ে এই দুজনের পরেই আছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ৪৩ ইনিংসে ১ হাজার ৫২৬ রান করে সাকিব চারে এবং ৬৫ ইনিংসে ১ হাজার ৫১৮ রান করে পঞ্চম স্থানে মোহাম্মদ আশরাফুল।
৪৭৮ দিন আগে
সাকিবকে ক্রিকেট থেকে সরাতে আইনি নোটিশ
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরইমধ্যে তাকে ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি হয়েছেন সাকিব আল হাসানও।
গত ২২ অগাস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের আদাবর থানায় করা মামলায় আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার আইনি কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে সাকিবকে দেশে ফেরাতে শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সজীব মাহমুদ আলম।
আরও পড়ুন: সংস্কার ও জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতি দিলেন নতুন বিসিবি সভাপতি
নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে, তাই আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলে থাকতে পারবেন না। তাকে অবিলম্বে ক্রিকেট দল থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। এরপর জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলে চলেছেন তিনি।
তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এর ফলে সংসদ সদস্য পদ হারান সাকিব।
৪৭৮ দিন আগে
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বিসিবির
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি জেলায় ৪৪ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের এমন সংকটকালে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটারদের অনেকে। এবার সাংগঠিনকভাবে বন্যার্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে বিসিবি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলছেন, ‘বর্তমানে বন্যা কবলিত মানুষদের নিয়ে আমরা ভাবছি। তাদের এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহায্য ও ত্রাণ দেওয়ার বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি। এই সংকটাপন্ন অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য যে ধরনের সহযোগিতাই প্রয়োজন হবে, তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে আমরা প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বিসিবি সহায়তার হাত বাড়াতে নিবেদিত থাকবে এবং এই সংক্রান্ত কাজে প্রয়োজনীয় যোগান দিতে আমরা সমন্বয় অব্যাহত রাখব। এ কাজে আমরা সবাইকে আহবান করছি, যেন তারাও নিজেদের জায়গা থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
৪৭৯ দিন আগে