ক্রিকেট
টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টিগায় চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম সুপার এইটে ডিএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রিশাদ হোসেন কিছুটা ধীরগতির পিচে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে জ্বলে উঠলেও বাংলাদেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যর্থতায় জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের ইনিংসে কিছু ভালো মুহূর্তও ছিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিডল অর্ডারের শক্ত ভিত তৈরি করে সুসংগঠিত ইনিংস খেলেন। আক্রমণাত্মক হিটিংয়ের জন্য পরিচিত তৌহিদ হৃদয় ইনিংসের শেষ দিকে দুটি শক্তিশালী ছক্কা মেরে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করেছিলেন।
তবে অ্যাডাম জাম্পার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা বাংলাদেশি ব্যাটারদের আটকে রাখেন। জাম্পার শৃঙ্খলাবদ্ধ স্পেল, ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের এমন একটি ইনিংস থামিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে সত্যিকার অর্থে আর কখনই গতি সঞ্চার করতে পারেনি।
প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের শেষ দিকের আগ্রাসন রুখে দেন তিনি। হ্যাটট্রিকের প্রথম দুই উইকেট আসে ১৮তম ওভারে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসানকে আউট করে। শেষ ওভারে ধীর বলে বিপজ্জনক তৌহিদ হৃদয়কে আউট করে হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করেন কামিন্স।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
এটি টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগেরটি ছিল ব্রেট লির।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে শেষ করে বাংলাদেশের ইনিংস।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের গল্পটা ছিল ভিন্ন। ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণ করে প্রথম চার ওভারে ৩৬ রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান অল্পের জন্য নিয়ন্ত্রণ পেলেও জয়ের শক্ত মঞ্চ আগেই তৈরি করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি করলেও হেডকে সমান ভয়ংকর দেখাচ্ছিল। বৃষ্টি তাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে, যখন তারা ডিএলএস পার স্কোরের চেয়ে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল। আর এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে বেশি রানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয়েছে, আমাদের ১৭০ রান করা উচিত ছিল। তিনি টুর্নামেন্ট জুড়ে বোলারদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তারা তাদের পারফরম্যান্স বজায় রাখবে।
সুপার এইটে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। দলটি ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
৫৪২ দিন আগে
ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে চেনাই গেল না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে বল-ব্যাট দুপাশেই সমান সামর্থ্য দেখানো আফগানিস্তানকে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৪ রানে হারার পর এবার ভারতের বিপক্ষে তারা হারল ৪৭ রানে।
বৃহস্পতিবার বার্বাডোজের কিংস্টন ওভালে সুপার এইটের ‘গ্রুপ ১’ এর ম্যাচে টস জেতে ভারত। এরপর শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।
আফগানিস্তানের আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ২৬ রানের স্কোরটিই দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আর কোনো ব্যাটার ২০ ছুঁতে পারেনি।
অন্যদিকে, বরাবরের মতোই বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৪-১-৭-৩ হচ্ছে তার বোলিং ফিগার। এছাড়া সিরাজের পরিবর্তে একাদশে ফেরা কুলদীপ যাদব এবং আর্শদীপ সিং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে দলের নিয়মিত উইকেট পতন ঠেকিয়ে ২৮ বলে ৫৩ রান করা সূর্যকুমার যাদবকে দেয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই আফগানদের উইকেটের খাতা খোলেন বুমরাহ। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে কট বিহাইন্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি।
১৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ১০ রান সংগ্রহ করতে না করতেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে ২৩ রানের মাথায়ই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফেরার বুমরাহ। এরপর গুলবাদিন নায়েব ও আজমাতউল্লাহ ওমরজাই একটি বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিলেও ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দেন কুলদীপ।
এই সময়ে ভারতের স্পিনাররা ভেলকি দেখান। ২১ বলে ১৭ রান করা গুলবাদিনকে কুলদীপ ফেরানোর পরের ওভারে ওমরজাইকে আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ফলে ৬৭ ও ৭১ রানে পড়ে আফগানিস্তানের যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট।
এরপর ৩১ রানের একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধের আশা জাগান নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বুমরাহর শেষ ওভারটি সামলাতে করতে পারেননি জাদরান। ১৭ বলে ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলে পরের ওভারে নবীকে ফেরার কুলদীপ। ফলে ১০২ ও ১১৪ রানে ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
এরপর ১৭.৪তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন আর্শদীপ। দলীয় ১২১ রানের মাথায় তরুণ এই ভারতীয় পেসারের তোপের শিকার হয়ে ফেরেন রশীদ খান ও নবীন-উল-হক। এরপর ইনিংসের শেষ বলে আর্শদীপের বলেই রোহিতের তালুবন্দি হন নূর আহমদ। ফলে ২০ ওভারে ১৩৪ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
এই জয়ে সেমি ফাইনালে কার্যত এক পা দিয়ে রাখল ভারত। এখন তাদের সামনে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেও সেমির টিকিট কাটতে পারবে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
শুক্রবার ভোরে গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
৫৪৩ দিন আগে
সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আফগানিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৬০ রানের জুটিতে আট উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছে রোহিত শর্মার দল।
১৮১ রান সংগ্রহে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন সূর্যকুমার। মাত্র ২৮ বলে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক।
আফগানদের হয়ে অধিনায়ক রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি যথাক্রমে ২৬ ও ৩৩ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে ভারতের সাবধানী শুরুর পরও তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেয় আফগানিস্তান। ফারুকির ফুলার লেংথ ডেলিভারিটি মিড-অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বলটি সোজা উপরে উঠে গেলে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
এরপর ঋভষ পান্ত এসেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন। তবে ৫.৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় জীবন পান তিনি। মোহাম্মদ নবীর ডেলিভারিটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের দিকে ঘুরিয়ে দিতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। তবে সীমান্তে সজহ কাচটি ধরতে ব্যর্থ হন নবীন-উল-হক, উল্টো প্রতিপক্ষকে একটি চার উপহার দেন তিনি।
এর ফলে পাওয়ার প্লে শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান তোলে ভারত। এসময় ঋষভ হাত চালিয়ে খেললেও অপর প্রান্তে ধরে খেলছিলেন বিরাট কোহলি।
আরও পড়ুন: সেমির মিশনে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভারত
তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই ফিরতে হয় ঋভকে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বাঁচতে পারেননি। ফলে ১১ বলে চারটি চারে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
নবম ওভারে রশিদের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট সাজঘরে ফেরেন কোহলিও। রশিদের ফুল লেংথ ডেলিভারিটি ওয়াইড লং-অফ অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বলটি বেশি উচ্চতা পায়নি, ফলে সোজা নবীর হাতে গিয়ে পড়ে। ফেরার আগে একটি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ২৪ রান করেন কোহলি।
এরপর সূর্যকুমারের সঙ্গে দলকে পথ দেখাতে থাকেন শিবম দুবে। তবে অদূরেই তাকে থামান রশিদ।
তারপর দলকে বড় সংগ্রহের দিকে চালিত করেন সূর্যকুমার ও হার্দিক। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সূর্যকুমার ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৬০ রানের জুটি। ৬ বল পর ফিরে যান হার্দিকও।
শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা (৭), অক্ষর প্যাটেল (১২) ও আর্শদীপ সিং স্কোরবোর্ডে কিছু রান যোগ করলে ১৮১ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে ভারত।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
৫৪৩ দিন আগে
এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
সেমিফাইনালে খেলতেই হবে- এমন চাপ নিয়ে টাইগাররা রাতের ঘুম হারাম করছে না বলে জানিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেছেন, কঠিন গ্রুপে পড়েও সুপার এইটে আসতে পেরে আমরা খুশি।
খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে বরং স্বাধীনভাবে খেলতে দিতে চান তিনি। বলেছেন, এই পর্যায়ে এসে এখন যেটুকু অর্জন করতে পারি, সেটাই আমাদের জন্য বোনাস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের সঙ্গে এক গ্রুপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে আরও ছিল সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে আলো ছড়ানো এশিয়ার রাইজিং স্টার নেপাল এবং ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে টক্কর দেওয়া নেদারল্যান্ডস। এমন প্রতিযোগিতার মাঝেও দ্বিতীয় সেরা দল হওয়ায় শিষ্যদের তারিফ করতে ভুললেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অভিজ্ঞ এই কোচ বলেন, ‘সুপার এইটে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই আমরা (বিশ্বকাপে) খেলতে এসেছিলাম। সেই লক্ষ্য আমরা দারুণভাবে অর্জন করেছি। বোলাররাই আমাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে।’
‘আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং কন্ডিশনের সদ্ব্যবহারও করেছি ঠিকঠাক।’
আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
সুপার এইটে প্রতিপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলক শক্তিশালী। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি আছে এশিয়ার আরেক দল আফগানিস্তানও। টি-টোয়েন্টিতে তারা সবাই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই দলকে প্রত্যাশার চাপ না দিয়ে নির্ভার রাখতে চান কোচ হাথুরুসিংহে।
‘এখানে আসতে পেরেছি, এতেই আমরা খুশি। এখন যতটা পারি এগিয়ে যেতে হবে। এখান থেকে যতটুকু পাব, তা-ই আমাদের জন্য বোনাস। তাই আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিনটি দলকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’
তবে পরক্ষণেই স্বাধীনতার বিষয়টি খোলাসা করেন তিনি, ‘স্বাধীনতা নিয়ে খেলার মানে এই নয় যে, খেলোয়াড়রা দলে নিজেদের ভূমিকা থেকে, দায়িত্ব থেকে সরে যাবে।’
‘তবে আমরা খেলি তো মূলত খেলাটাকে উপভোগ করার জন্য, তাই না? ছেলেদের কাছ থেকে এটি কেড়ে নিতে চাই না। তার মানে এই না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে; দলের প্রতি প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা স্বাধীনভাবে খেলে উপভোগ করবে, তা সে দেশ, ক্লাব বা পার্ক ক্রিকেট যেখানেই খেলুক। এজন্যই তো আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। উপভোগের বিষয়টি সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছে টাইগাররা
টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সম্পর্কে ধারণা রয়েছে লঙ্কান এই কোচের। এ বিষয়টি শুক্রবার সকালের ম্যাচে কাজে লাগবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে উল্টো সায় দেন তিনি।
‘বছরখানেক আগে তাদের সঙ্গে ছিলাম আমি। তাদের অনেকের সম্পর্কেই জানি। তারা অসাধারণ খেলোয়াড় এবং নিজেদের খেলা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা জানি, তবে সেসব কালকের খেলায় প্রভাব ফেলবে না বলে আমার মনে হয়।’
‘ম্যাচের দিনের কন্ডিশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কন্ডিশনকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
৫৪৩ দিন আগে
সেমির মিশনে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভারত
অপরাজিত থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করার পর এবার সেমিফাইনালের মিশনে মাঠে নেমেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতেছেন রোহিত শর্মা।
বৃহস্পতিবার বার্বাডোজের কিংস্টন ওভালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ফলে শুরুতে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে আফগানরা।
আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে রোহিত শর্মা বলেন, ‘উইকেটে ঘাস রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে তা স্লো হয়ে যাবে। তাই আগে ব্যাটিং করতে চাই।’
আফগানদের বিপক্ষে পেসার মোহাম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দিয়ে একজন অতিরিক্ত স্পিনার নিয়েছে ভারত। তার পরিবর্তে কুলদীপ যাদব মাঠে নামছেন বলে জানিয়েছেন রোহিত।
আরও পড়ুন: অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও হারল যুক্তরাষ্ট্র
অন্যদিকে, টস জিতলে আগে ব্যাটিং নিতেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও।
তিনি বলেন, ‘যাইহোক, এখন আমাদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। (সুপার এইটে) দারুণ সব প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। আজকের ম্যাচে আবেগ ধরে রাখাটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে আশা করছি।’
একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে আফগানিস্তানও। বোলিং অলরাউন্ডার করিম জানাতের পরিবর্তে ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাইকে দলে ডাকা হয়েছে।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
আফগান একাদশ: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, হজরতউল্লাহ জাজাই, গুলবাদিন নায়েব, নাজিবউল্লাহ জাদরান, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, নূর আহমদ, নবীন-উল-হক ও ফজলহক ফারুকি।
আরও পড়ুন: ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
৫৪৩ দিন আগে
সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছে টাইগাররা
দুই টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফর করবে টাইগাররা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর তৃতীয় টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে সফর শেষ হবে।
২০২৪-২৫ মৌসুমের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ক্রিকবাজে প্রকাশিত সময়সূচিতে বাংলাদেশের ভারত সফরের কথাও বলা হয়েছে।
সূচি অনুযায়ী, টাইগারদের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট ম্যাচ এবং কানপুরে দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এর পরে ধর্মশালা, দিল্লি ও হায়দ্রাবাদে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
টেস্ট ম্যাচ দুটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে ভারত। কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবেন রোহিত শর্মারা।
এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ আছে তাদের। ইংলিশদের বিপক্ষে ৫টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে ভারত। ২২ জানুয়ারি শুরু হওয়া সিরিজটি শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
সিরিজ শেষে পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবে রোহিত-কোহলিরা।
বাংলাদেশের ভারত সফরের সূচি:
ম্যাচ
ভেন্যু
তারিখ
সময় (বাংলাদেশ)
প্রথম টেস্ট
চেন্নাই
১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর
সকাল ১০টা
দ্বিতীয় টেস্ট
কানপুর
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর
সকাল ১০টা
প্রথম টি-টোয়েন্টি
ধর্মশালা
৬ অক্টোবর
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
দিল্লি
৯ অক্টোবর
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
হায়দারাবাদ
১২ অক্টোবর
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা
৫৪৩ দিন আগে
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
গ্রুপ পর্বে ভুগলেও দুর্দান্ত জয়ে সুপার এইট যাত্রা শুরু করল টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে জস বাটলার অ্যান্ড কোং।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জস বাটলার। শুরুতে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের হয়ে ৪৭ বলে ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৮৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার ফিলিপ সল্ট। অন্যপ্রান্তে ২৬ বলে ২ ছক্কা ও ৫টি চারে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন জনি বেয়ারস্টো।
এছাড়া, ২২ বলে ২৫ রান করা বাটলারকে এলবিডব্লিউ করেন রোস্টন চেস এবং আন্দ্রে রাসেলের বলে জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১০ বলে ১৩ রান করা মঈন আলী।
আরও পড়ুন: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারটি দেখেশুনে খেললেও পরের ওভার থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন দুই ইংলিশ ওপেনার বাটলার ও সল্ট। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৮ রান তোলেন তারা। অষ্টম ওভারে বাটলার আউট হয়ে গেলে মঈন আলী এসেও রান তোলা অব্যাহত রাখেন। এর ফলে প্রথম ১০ ওভারে ৮৩ রান তোলে ইংল্যান্ড।
তবে এর পরপরই মঈন আউট হয়ে গেলে উইকেটে আসেন জনি। এরপর দুপাশ থেকে শুরু হয় ব্যাটিং তাণ্ডব। একে অপরের সঙ্গে রান তোলার প্রতিযোগিতা শুরু হয় দুজনের। এর মাঝে পড়ে পিষ্ট হন ক্যারিবীয় বোলাররা। শেষ পর্যন্ত আর উইকেট নিতে না পেরে ১৭.৩তম ওভারে আত্মসমর্পণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে, দুর্দান্ত শুরুর পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রানের চাকা কিছুটা শ্লথ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুতে ব্রেন্ডন কিং (১৩ বলে ২৩ রান) মেরে খেলা শুরু করলেও জনসন চার্লস (৩৪ বলে ৩৮ রান) একটু ধরে খেলেন।
জনসন আউট হয়ে গেলে ক্রিজে এসে তার ভূমিকা পালন করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান (৩২ বলে ৩৬ রান)। তবে রোভমান পাউয়েল (১৭ বলে ৩৬) ও শেরফেন রাদারফোর্ডের (১৫ বলে ২৮) ক্যামিও ইনিংসে ১৮০ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাঝে আন্দ্রে রাসেল ২ বলে ১ রান করে আদিল রশিদের শিকার হলে মূলত উইন্ডিজের রান রেট শেষের দিকে তুলনামূলক কমে যায়।
এই জয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষস্থানে বসল ইংল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমি ফাইনালে অবস্থান মজবুত করতে ২১ জুন মুখোমুখি হবে এই দুই দল। অন্যদিকে, সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে একদিন পর মাঠে নামবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন: অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও হারল যুক্তরাষ্ট্র
৫৪৩ দিন আগে
অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও হারল যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়েই ছিল সংশয়। শুরুতে থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মাঝে ৯১ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে জয়ের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কাগিসো রাবাদা। ফলে তীরে গিয়ে তরী ডুবল যুক্তরাষ্ট্রের।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ রানে হেরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
৬ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে গিয়ে ওপেনার অ্যান্ড্রিস গাউস করেন অপরাজিত ৮০ রান। ৪৭ বলে তার এই ইনিংসটি ছিল পাঁচটি করে ছক্কা ও চারের মারে সাজানো। এছাড়া সপ্তম ব্যাটার হারমিত সিং করেন ২২ বলে ৩৮ রান।
নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন রাবাদা। তবে ব্যাট হাতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়া এবং উইকেটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন কুইন্টন ডি কক।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই রান তোলায় মনোযোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি ওভারে বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারিতে ইনিংসের শুরুতেই রানের ঘোড়া ছুটিয়ে দেন স্টিভেন টেইলর ও অ্যান্ড্রিস গাউস।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাবাদার হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। বোলিংয়ে এসে তৃতীয় বলেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। ওভারের প্রথম বলটি চার মেরে শুরু করে পরের বলে সিঙ্গেল নেন গাউস। তবে তৃতীয় ওভারে রাবাদাকে মোকাবিলা করতে গিয়েই আউট হয়ে যান টেইলর। ১৪ বলে ১ ছক্কা ও চারটি চারে ২৪ রান করে দলীয় ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পরের ওভারে দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৭ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে দলীয় ৫০ পার করে তারা। তবে এর পরের ওভারে রাবাদা এসে ফের উইকেট নেন। আবারও ওভারের তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার নিতীশ কুমারের উইকেটটি তুলে নেন তিনি।
সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট তুলে নেন কেশব মহারাজ। মহারাজের প্রথম ওভারেই এজ হয়ে ডি ককের গ্লাভসে কট বিহাইন্ড হয়ে যান তিনি।
ফলে ৭ ওভার শেষে ৫৭ রানে তিন উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। এক পাশ থেকে যখন ব্যাটারদের নিয়মিত ক্রিজে আসা-যাওয়া চলছিল, তখন অপর প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন গাউস। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সে প্রচেষ্টা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে আনরিখ নর্টিকিয়াকে ছক্কা হাঁকান কোরি অ্যান্ডারসন। কিন্তু তার পরের বলেই উইকেট উপড়ে দেন নর্টকিয়া। ফলে ১২ বলে ১২ রান করে ফেরেন অ্যান্ডারসন।
১০ ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রর স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান।
এরপর দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলেই সায়ান জাহাঙ্গীরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাবরাইজ শামসি।
৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরপরই মনোভাব বদলে ফেলেন গাউস ও নতুন ক্রিজে আসা ব্যাটার হারমিত সিং। উইকেটের দুইপাশ থেকেই সমানে ব্যাট চালাতে শুরু করেন তারা। এতে সফলও হন। ১১.১তম ওভারে ৭৬ রান থেকে ৬ ওভারের ব্যবধানে দলীয় সংগ্রহ ১৪৬ রানে নিয়ে যান এ দুজন।
আরও পড়ুন: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
রানের এ ধারা অব্যাহত রাখায় শেষ দুই ওভারে ২৮ রানের সমীকরণে চলে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস। তার আগের ওভারেই ২২ রান নেন এই দুই ব্যাটার।
তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই রাবাদাকে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমান্তে ধরা পড়েন হারমিত সিং। ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে হারমিত বিদায় নিলে বড় ধাক্কা খায় যুক্তরাষ্ট্র। এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তার। ২২ বলে ৩৮ রান করা হারমিত তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন।
এরপর নতুন ব্যাটার জেসি সিং পরের দুই বল ডট খেলে চতুর্থ বলে গাউসকে স্ট্রাইক দেন। বাকি দুই বলে এক রান হলে শেষ ওভারে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
তবে নর্টকিয়ার ওই ওভারে ৭ রান সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে শেষ পর্যন্ত ১৮ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে, হেরেও গর্বের সঙ্গে মাঠ ছাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত যুক্তরাষ্ট্র।
এই জয়ে সুপার এইটে নিজেদের তিন ম্যাচের প্রথমটি জিতে সেমিফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর যুক্তরাষ্ট্রের সেমি ফাইনাল খেলা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল। গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।
২১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করল দক্ষিণ আফ্রিকা
৫৪৪ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করল দক্ষিণ আফ্রিকা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট খেলতে নেমেই স্বরূপে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আইডেন মার্করামের দল।
বুধবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক অ্যারন জোনস। শুরুতে ব্যাটিং করে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। তার ব্যাট থেকেই দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে। ৪০ বল মোকাবিলায় ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া মার্করাম ৩২ বলে ৪৬, হাইনরিখ ক্লাসেন ২২ বলে অপরাজিত ৩৬ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সৌরভ নেত্রভালকার ও হারমিত সিং দুটি করে উইকেট নেন। বড় স্কোরের দিনও এই দুই বোলার ছিলেন যথেষ্ঠ ইকোনোমিক। সৌরভ চার ওভারে ২১ ও হারমিত ২৪ রান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই চালিয়ে খেলতে থাকা রিজা হেন্ড্রিকসকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২.৪তম ওভারে মিড-অফ অঞ্চলে কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়েন হেন্ড্রিকস। তিনি ১১ রান করে ফিরে গেলে দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে হারমিতের বলে ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন ডি কক। ১২.২তম ওভারে হারমিতের করা ফুল টস ডেলিভারিটি উড়িয়ে মেরেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার। তবে বল দূরত্ব না পাওয়ায় ডিপ মিড-উইকেটে সায়ান জাহাঙ্গীরের তালুবন্দি হন তিনি। পরের বলেই নতুন ব্যাটার ডেভিড মিলারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন হারমিত। এর ফলে ১২৬ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
এরপর ১৫তম ওভারের শেষ বলে সৌরভের দ্বিতীয় শিকার হন আরেক সেট ব্যাটার মার্করাম। ফলে ১৪১ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এরপর ম্যাচের বাকি কাজটুকু শেষ করেন ক্লাসেন ও স্টাবস।
গ্রুপপর্বের প্রতিটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের স্লো উইকেটে খেলার কারণে কোনো ম্যাচেই বড় সংগ্রহ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েই ব্যাটিং ঝলক দেখা গেল দলটির ব্যাটারদের কাছ থেকে। সেমি ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে যেতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেক্ষেত্রে তারাও প্রথমবারের মতো নিজ দেশের মাটি, দর্শক ছেড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে খেলতে গিয়েছে। প্রথমবার অংশ নিয়েই সেমি ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করতে চাইবে আন্তর্জিাতিক ক্রিকেটে নবাগত এই দলটিও। তাই প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে তাদের ব্যাটাররা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে, তার ওপরই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য।
৫৪৪ দিন আগে
অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার পর এবার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন কেইন উইলিয়ামসন। শুধু তাই নয়, ২০২৪-২৫ মৌসুমের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
বুধাবার (১৯ জুন) তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিদেশি লিগ খেলতেই মূলত তিনি জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী গ্রীষ্মে বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ খুঁজছেন তিনি। তাই জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি করতে চান না। তবে কিউইদের জার্সিতে খেলতে তিনি সবসময় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
‘বিভিন্ন ফরম্যাটে আমি দলকে এগিয়ে নিতে উৎসাহী এবং এমন কিছুতে আমি সবসময় অবদান রাখতে চাই। তবে, গ্রীষ্মে একটি বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ রয়েছে আমার। সেকারণে নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বোল্টকে!
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার কাছে সবসময়ই মূল্যবান। দলকে প্রতিদান দেওয়ার ইচ্ছা আমার সবসময় আছে। তবে, ক্রিকেটের বাইরে আমার জীবনে পরিবর্তন এসেছে। এখন পরিবারকে সময় দিতে চাই। এর জন্য পরিবারের সঙ্গে দেশ-বিদেশে সময় কাটানো আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তাকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্কট ওয়েনিঙ্ক।
তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের সবসময় (একাদশ নির্বাচনে) অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও উইলিয়ামসন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বিশেষ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠের জন্য আমরা এটুকু ব্যতিক্রম হতেই পারি। সে নিজেও দলের প্রতি অনুগত।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যাতে সে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সহযোগিতা করতে পারে, সে কারণে তাকে শুধু বর্তমানেই নয়, আগামীতেও এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে।’
‘জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সূচি একেবারেই খালি। তবে এর পরও তাকে দলে পাবো বলে আশা করছি।’
উইলিয়ামসনের অধিনায়কত্বে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসদের।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
২০২২ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন উইলিয়ামসন। তার নেতৃত্বে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুঃখজনকভাবে ইংল্যান্ডের কাছে হারে নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারে তার দল। তবে ২০২১ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তোলে নিউজিল্যান্ড।
উইলিয়ামসনের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া লকি ফার্গুসনও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে হবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে। আগামী মাসে নতুন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করতে পারে তারা।
৫৪৪ দিন আগে