মধ্যপ্রাচ্য
গাজার রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ২২
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হামলায় হতাহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাফাহতে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যেখানে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে সংযমের আহ্বান সত্ত্বেও মিশর সীমান্তবর্তী শহরটিতে স্বাধীনতাকামী হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা হামাসের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়াবো, কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও বিজয় অর্জনের এটাই একমাত্র পথ। শিগগিরই আমরা হামাসের ওপর আরও ও বেদনাদায়ক আঘাত হানব।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যায় ওমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
নিকটবর্তী কুয়েতি হাসপাতাল জানিয়েছে, রাফাহতে প্রথম ইসরায়েলি হামলায় এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও তাদের তিন বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচিয়েছেন। দ্বিতীয় হামলায় একটি বড় পরিবারের ১৭ শিশু ও দুই নারী নিহত হন।
উম্মে করিম নামে এক আত্মীয় প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল। কী করলেন তাঁরা? তাদের কী দোষ ছিল?’
মোহাম্মদ আল-বেহেইরি বলেন, নিহতদের মধ্যে তার মেয়ে রাশা ও ১৮ মাস বয়সী শিশুসহ তার ছয় সন্তানও রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো এক নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ শিশু ও নারী। এতে গাজার দুটি বড় শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬ শিশুসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬ শিশুসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬টি শিশুও রয়েছে। শনিবার বিষয়টি জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আল-নাজ্জার হাসপাতালে শিশুদের কাফনে মোড়ানো মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন স্বজনরা। শোকাহত এক দাদি বলেন, ‘আমার প্রিয়তম হামজা, তোমার চুল খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।’
নিহতদের মধ্যে আবদেল ফাত্তাহ সোভি রাদওয়ান, তার স্ত্রী নাজলা আহমেদ আওয়েদাহ এবং তাদের ৩ সন্তান রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার (আবদেল ফাত্তাহ) শ্যালক আহমেদ বারহুম। বারহুম তার স্ত্রী রাওয়ান রাদওয়ান এবং তাদের ৫ বছর বয়সী মেয়ে আলাকে হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাহায্যে সম্মত জাতিসংঘ সংস্থা: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সরে যাওয়ার সতর্কতা পাওয়ার পর শনিবার কিছু ফিলিস্তিনি মিশর সীমান্তের নিকটবর্তী রাফাহ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। একজন বলেন, ‘বন্ধুরা, তারা ৩টা ৪০ এ আঘাত করবে। যা এখন ঘটছে। এখন কটা বাজে?’
এর মিনিট খানেক পরেই আঘাত হানে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের মতে, যেখানে একজন এপি সাংবাদিক হতাহতদের দেখেছেন- এছাড়া শনিবার মধ্য গাজার বুরেজির শহুরে শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম সরাসরি সামরিক হামলা ইরানের
আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যায় ওমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
ওমানে ভারী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এ ছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। এর মধ্যেই ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রধান মহাসড়কের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। দুবাইয়ে অনেক রাস্তায় যানবাহন পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
সারারাত ধরে চলা বৃষ্টিতে সড়কগুলোতে পানি জমে জলাশয়ের মতো তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাতাসের কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকালেও আলোস্বল্পতার কারণে হেড জ্বালিয়ে গাড়িগুলো চলাচল করছিল। এছাড়া রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়ি ধীরে ধরে চলছিল। মাঝে মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চূড়া ছুঁয়ে যাচ্ছিল বজ্রপাত।
ঝড়ের আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অধিকাংশ সরকারি কর্মচারীরা বাসা থেকে কাজ করছিলেন। তবে এ দুর্যোগের মধ্যেও অনেক কর্মজীবী বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন আর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে যায়।
রাস্তা ও মহাসড়কগুলো থেকে পাম্প দিয়ে পানি সরিয়ে নিতে ট্যাংকার ট্রাক পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
আরব উপদ্বীপের শুষ্ক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক, তবে শীতকালে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি দেখা যায়। নিয়মিত বৃষ্টিপাতের দেশ না হওয়ায় অনেক রাস্তাঘাট ও এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সেকারণেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে দুবাইয়ে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিন ধরে ১২৮ মিমি (৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ওমানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রায় ১০ জন স্কুলছাত্রসহ একটি গাড়ি ভেসে গিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে অঞ্চলটির প্রশাসন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম সরাসরি সামরিক হামলা ইরানের
শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো সরাসরি সামরিক হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক বোমা বহনকারী ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরান জানায়, তারা আরও অনেক ধ্বংসাত্মক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ২ এলিট জেনারেলসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর দেশটি ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
রবিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের 'অধিকাংশ' ইসরায়েলের সীমান্তের বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ৬ মাসের যুদ্ধে ইসরায়েল ও ইরান সংঘর্ষের পথে রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জন অপহৃত হন। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে এবং ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী বিমান হামলার প্রতিশোধ নিলে তারা আত্মরক্ষা করতে এবং পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইরানি কনুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তেহরান। ওই হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন সামরিক বাহিনীও। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গাজায় ছয় মাসের যুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: রুশ নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সামান্থা পাওয়ার বুধবার আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে যে 'বিশ্বাসযোগ্য' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি সপ্তাহে বলেছেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবাহ বাড়াতে ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা ও স্থল হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৪ হাজার ৯৯৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে কতজন বেসামরিক ও কতজন যোদ্ধা রয়েছে তা আলাদা করে জানাতে না পারলেও নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তারা দেশটিকে রক্ষা করতে এবং পাল্টা হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইরান গত সপ্তাহে দামেস্কে বিমান হামলায় নিহত তার দুই জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরান বা ওই অঞ্চলে সমর্থিত বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট প্রস্তুত রেখেছে এবং অন্যান্য সেনাদের সক্রিয় করেছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরানি ভূখণ্ড থেকে হামলা হলে এটি স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজিত করতেই ইরান হামলা চালাবে। ’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েল আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত করেছে। 'যেখানে প্রয়োজন সেখানে কীভাবে কাজ করতে হবে তা আমরা জানব।’
হাগারি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল এরিক কুরিলা ইসরায়েলি সামরিক নেতাদের সঙ্গে কৌশলগত মূল্যায়নের জন্য ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এখনো আগের মতোই দৃঢ়।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বিক্ষোভ, জিম্মি মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং গাজায় হামাসের হাতে আটক কয়েক ডজন জিম্মির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের বড় বড় ছবি এবং ইংরেজি ও হিব্রু ভাষায় লেখা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।
অক্টোবরে দেশটিতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে চলতি মাসের শুরুতে হাজার হাজার ইসরায়েলি জেরুজালেমে জড়ো হয়, যা সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রায় ছয় মাসের যুদ্ধ নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে বিভক্তি তৈরি করেছে, যদিও দেশটির অধিকাংশই মূলত যুদ্ধের পক্ষে রয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আগাম নির্বাচন ইসরায়েলকে ছয় থেকে আট মাসের জন্য অচল করে দেবে এবং জিম্মি আলোচনাকে থামিয়ে দেবে। তিনি হামাসকে ধ্বংস করার এবং সমস্ত জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে সেই লক্ষ্যগুলো অধরা রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বৃহস্পতিবার বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি "আসন্ন", ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ারকে নরম করে বলেছেন, সেখানে এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে তা "বিশ্বাসযোগ্য"।
জিন-পিয়েরে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে গাজায় আরও বেশি সহায়তা পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়াতে ইসরাইলকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে গাজায় সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে বলেছে যে তারা আরও একটি কার্গো ক্রসিং খুলবে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে আগের চেয়ে আরও বেশি ট্রাক পাঠাবে। কিন্তু কয়েকদিন পরও এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা বলছেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর গাজায় বিপুল সংখ্যক লোক অনাহারে রয়েছে।
যদিও ইসরায়েল বলছে, তারা এই অঞ্চলে প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা কেবল সামান্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
ইরান যদি তাদের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালায় তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরণে ইরানি জেনারেলদের হত্যার পর প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফার্সি ও হিব্রু উভয় ভাষায় এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘ইরান যদি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।’
চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে সৌদি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বুধবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য এলো।
তেহরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে, যাতে ভবনটি ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। যদিও তারা এই হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, যা তাদের দীর্ঘকালীন স্নায়ু যুদ্ধের সম্প্রসারণ।
মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শেষে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, বিমান হামলা ছিল 'অন্যায়' এবং ইরানি ভূখণ্ডে হামলার অনুরূপ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে খামেনি বলেন, ‘আমাদের কনস্যুলেট এলাকায় হামলা চালানোর মানে আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালানো। দুষ্ট শাসকদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাবে।'
কাৎজ বা আয়াতুল্লাহ কেউই কীভাবে প্রতিশোধ নেবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
১ এপ্রিলের ওই বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য, চারজন সিরীয় ও হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্য রয়েছেন।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেরও সমালোচনা করেন খামেনি।
তিনি বলেন, 'আশা করা হচ্ছিল তারা (ইসরায়েল) এই দুর্যোগে প্রতিরোধ করবে। তারা তা করেনি। পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।’
ইরান ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।
আফগানিস্তানের গ্রামে পুরনো ‘মাইন’ বিস্ফোরণে ৯ শিশু নিহত
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি শিশু খেলার সময় পুরনো ল্যান্ড মাইন খুঁজে পায় এবং সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ৯টি শিশু মারা গেছে।
সোমবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গজনিতে তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হামিদুল্লাহ নিসার বলেন, গজনি প্রদেশের গেরো জেলায় নিজেদের গ্রামের কাছে শিশুরা যে মাইন খুঁজে পেয়েছিল তা কয়েক দশক আগের।
তিনি বলেন, রবিবারের ওই বিস্ফোরণে ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী ৫টি ছেলে ও ৪টি মেয়ে নিহত হয়েছে।
আফগানিস্তান কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের শিকার হয়েছে এবং যেসব শিশু তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ফেলনা ধাতু সংগ্রহ করে তারা অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। তাদের অনেকেই নিহত বা পঙ্গু হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪২
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৮, আহত ১২
সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪২
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ‘বেশ কয়েকজন’ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিরোধীপক্ষের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই সিরীয় সেনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর জিবরিনে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে, ৩৬ জন সিরীয় সেনা এবং ৬ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এটিকে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশটিতে ইরানি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু খুব কমই হামলার কথাই স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এতে বলা হয়, দুই বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র উপস্থিতি রয়েছে।
সিরিয়ার বৃহত্তম শহর ও একসময়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলেপ্পোতে অতীতেও এ ধরনের হামলা করা হয়েছিল। যার ফলে এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবারের হামলায় বিমানবন্দরে কোনো প্রভাব পড়েনি।
গাজায় যুদ্ধ এবং লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে গত পাঁচ মাস ধরে এই হামলা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, বেঁচে গেল ৮ বছরের শিশু
হাসপাতাল পরিদর্শন করে 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো
হাসপাতাল পরিদর্শন করে 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো
গাজার একটি জনাকীর্ণ হাসপাতাল পরিদর্শন করে ত্রাণ সংস্থার দলগুলো এক 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে। হাসপাতালটিতে আহতদের বড় বড় ক্ষতগুলো চিকিৎসা না করেই উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনটি ত্রাণ সংস্থার সমন্বয়ে একটি জরুরি মেডিকেল টিম দুই সপ্তাহ ধরে খান ইউনিসের নিকটবর্তী ইউরোপীয় গাজা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই মেডিকেল টিম জানায়, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তারা হাসপাতালে যেতে পারছেন না।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গজ এবং ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত প্লেট ও স্ক্রুর মতো প্রয়োজনীয় জিনিসসহ চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পরিদর্শনকারী চিকিৎসকরা প্রতিবেদনে আরও জানান, খাবারের অভাব রোগীর চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। এ কারণে রোগীদের বড় সংক্রামিত খোলা ক্ষত পরীক্ষার আগে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মকর্তারা বলছেন, গাজা উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠী (২৩ লাখ মানুষ) খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ আসন্ন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অঞ্চলটিতে ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৭৪ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। হামাস এখনও প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে বলে মনে করা হয়, পাশাপাশি আরও ৩০ জনের দেহাবশেষও রয়েছে।
গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সময় এসেছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার অপেক্ষমাণ ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে বলেছেন, গাজায় বিপুল পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ দেওয়ার সময় এসেছে। গাজার অভ্যন্তরে অনাহারকে 'নৈতিক অবমাননা' বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানান।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ’র অদূরে সীমান্তের মিশর অংশে বক্তব্য রাখেন গুতেরেস। যেখানে ইসরায়েল সম্ভাব্য বিপর্যয়ের ব্যাপক সতর্কতা সত্ত্বেও স্থল হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
মহাসচিব বলেন, ‘আবারও হামলা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। এতে পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে তাতে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের, জিম্মিদের এবং ওই অঞ্চলের সব মানুষের জন্য আরও খারাপ হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় রমজানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ 'অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির' সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আনা প্রস্তাবের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার একদিন পর তিনি এসব কথা বললেন।
গুতেরেস বারবার গাজায় ত্রাণ পেতে অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন। আর আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো মূলত ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে এই ক্রসিং থেকে আমরা হৃদয়বিদারক ও হৃদয়হীনতা দেখতে পাচ্ছি… গেটের একপাশে অবরুদ্ধ ত্রাণ নিয়ে ট্রাকের লম্বা সারি, অন্যদিকে অনাহারের দীর্ঘ ছায়া।’
গভর্নর মোহাম্মদ আবদেল-ফাদেল শৌশা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিশরের উত্তর সিনাই প্রদেশে প্রায় ৭ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা-ইউক্রেন বিষয়ে 'দ্বৈত নীতি' পরিহার করতে ইইউর প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’, উত্তরাঞ্চলের প্রধান হাসপাতালে আবারও ইসরায়েলি হামলা