সিনেমা
প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫। মাসুদ আলী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
সাদেক খানের 'নদী ও নারী' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর 'দীপু নাম্বার টু' (১৯৯৬), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'মাটির ময়না' (২০০২), 'মোল্লা বাড়ির বউ' (২০০৫) এবং 'প্রিয়তমেষু' (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাসুদ আলী খান 'কোথাও কেউ নেই', 'এই সব দিন রাত্রি', 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল', '৬৯', 'সুখী মানুষ প্রকল্প', 'দিন চলে যায়', 'গুলশান এভিনিউ'সহ অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য মাসুদ আলী খান ২০২৩ সালে একুশে পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
৪১০ দিন আগে
সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
এবার পরিচালক সুজিত সরকারের ফিরছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। গতকাল বুধবার তাদের নতুন ছবির এক ঝলক উন্মোচিত হয়েছে।
'আই ওয়ান্ট টু টক' শিরোনামের ছবিটি ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
ইনস্টাগ্রামে অভিষেক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আমরা দেখা যাচ্ছে, অভিষেকের মুখ একটি বাবলহেডে রাখা হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অভিনেতার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, 'আমি শুধু কথা বলতে ভালোবাসি না, আমি কথা বলার জন্যই বাঁচি। আমি শুধু জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এই মৌলিক পার্থক্যটাই দেখতে পাই। যারা বেঁচে আছেন তারা কথা বলতে পারেন; যারা মারা গেছে তারা পারবে না।’
ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিষেক লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি যে একজন মানুষ কথা বলতে ভালোবাসে। এখানে এমন একজন ব্যক্তির গল্প বলা হয়েছে, যিনি সর্বদা জীবনের উজ্জ্বল দিকটি দেখেন; জীবন তাকে যেটাই দিক না কেন! আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে ট্যাগ করুন যিনি কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন।’
চলতি বছরের মার্চে মুম্বাইয়ে প্রাইম ভিডিওর অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই পরিচালক ও অভিনেতা জুটি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রকল্পটি দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
সুজিচত বলেন, ‘আমি সাধারণ জীবন নিয়ে সিনেমা বানাই এবং সেই সাধারণ চরিত্রগুলোকে অসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করি। এই ছবি আপনাকে হাসাবে এবং আপনাকে উষ্ণতা দেবে।’
প্রকল্পের অফিসিয়াল সারসংক্ষেপে লেখা ছিল, কখনো কখনো জীবন আমাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেয়। অর্জুন নামে এক ব্যক্তি 'দ্য আমেরিকান ড্রিম' এর সন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এটি তার মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধনকে পুনরায় আবিষ্কার এবং আলিঙ্গন করার একটি সুযোগ।
এতে আরও লেখা হয়েছে, সুজিত সরকার এই সিনেমা বাবা ও কন্যার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেছেন। একটি অন্তরঙ্গ আবেগঘন যাত্রা, যেখানে তারা জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোকে মোকাবিলা করে একটি কাহিনীর মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তগুলোর সত্যিকারের মূল্য আবিষ্কার করে, প্রত্যেককে লালন করতে শিখে।
রাইজিং সান ফিল্মস এবং কিনো ওয়ার্কস প্রযোজিত এই ছবিতে আরও রয়েছেন জনি লিভার, অহল্যা বামরু এবং জয়ন্ত কৃপলানি।
৪১৭ দিন আগে
মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
ভারতীয় আইনজীবী ও রাষ্ট্রনায়ক সি শঙ্করন নায়ারের গল্প অবলম্বনে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত অক্ষয় কুমারের সিনেমা বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ হিট হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবিটির নাম এখনও ঠিক হয়নি। এতে তামিল অভিনেতা রঙ্গনাথান মাধবন (আর. মাধবন হিসেবে বেশি পরিচিত) এবং অনন্যা পান্ডেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: বিবি টাঙ্গা, এরিক কেরিজ, মিঠুন চক্র ও সাদ চৌধুরী সমন্বিত ফিউশন পপ কনসার্টের আয়োজন
কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারের অসাধারণ জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সি শঙ্করন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকার অধ্যায়ের সময় সংঘটিত নৃশংসতা প্রকাশের জন্য লড়াই করেছেন।
রঘু পলাত এবং পুষ্পা পলাতের ‘দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার’ বই থেকে নেওয়া এই কাহিনীটি মূলত গণহত্যাকে জনসাধারণের নজরে আনার নায়ারের যে লড়াই তাকে কেন্দ্র করেই। অতুলনীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি আদালতের নাটকে ব্রিটিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৯ সালে সংঘটিত জালিয়ানওয়ালাবাগে শত শত নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল। যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
ধর্ম প্রোডাকশনের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একটি গণহত্যার মর্মান্তিক ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে শিরোনামহীন চলচ্চিত্রটি ভারতের শীর্ষ ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ারকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি অভূতপূর্ব লড়াইয়ে বাধ্য করে।’
আরও পড়ুন: '৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
চলচ্চিত্রটি বাস্তব জীবনের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত এবং 'দ্য কেস দ্যাট শক দ্য এম্পায়ার' বই অবলম্বনে নির্মিত।
করণ সিং ত্যাগি পরিচালিত এই ছবিটি কোর্টরুম ড্রামা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও প্লটটির আরও বিশদ বিবরণ গোপন রয়েছে। এটি একটি কঠোর আখ্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে অক্ষয় কুমার নায়ারের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
অক্ষয় কুমার বক্স অফিসে একটি চ্যালেঞ্জিং পর্বে রয়েছেন। সম্প্রতি তার কমেডি হাউসফুল ৫ এর চিত্রগ্রহণ শেষ করেছেন। বিদেশে এটির বিদেশি শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল।
বক্স অফিসে অভিনেতার সাম্প্রতিক সংগ্রাম সত্ত্বেও তার আসন্ন চলচ্চিত্রগুলোর একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অগ্রগতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জলি এলএলবি ৩, সিংহাম এগেইন (যেখানে তিনি একটি বিশেষ উপস্থিতি তৈরি করেন) এবং স্কাই ফোর্স।
অক্ষয় কুমারের ভক্তরা ঐতিহাসিক নাটকগুলোর মতো একইভাবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা আশা করছেন, এটি ভারতের আইনি ইতিহাসে কম পরিচিত, তবে গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের জীবন ও কৃতিত্বের উপর আলোকপাত করবে।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: 'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
৪২৩ দিন আগে
'৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
পাঁচ কোটি রুপি না দিলে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের পরিণতিও বাবা সিদ্দিকির মতো হবে বলে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এই অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।
বার্তা প্রেরক নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে অভিনেতা সালমান খানের কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছে।’
বার্তা প্রেরক বরেন, ‘এটিকে হালকাভাবে নেবেন না, যদি সালমান খান বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা শেষ করতে চান তবে তাকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ পরিণতি হবে সালমান খানের।’
মুম্বই পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুন হয়ছেন।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করা শিবকুমার গৌতম ও জিশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিকভাবে শুধু শুভম লোঙ্কারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছিল এবং এখন এই দুজনের বিরুদ্ধেও এটি জারি করেছে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তারা নেপালে পালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে অভিযুক্ত সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকি তার বাবা ও পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
এখনও পর্যন্ত মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনজন পলাতক রয়েছে, পুলিশ সক্রিয়ভাবে তাদের সন্ধান করছে।
এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকিকে নির্মল নগরে তার অফিসের বাইরে গুলি করা হয়। এ সময় তার বুকে দুটি গুলি লাগে। তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
৪২৩ দিন আগে
অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস খুব একটা উজ্জ্বল নয়। দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যবধানে মনোনয়ন পর্যন্ত যেতে পেরেছে মাত্র ৩টি সিনেমা; ‘মাদার ইন্ডিয়া’ (১৯৫৭), ‘সালাম বোম্বে!’ (১৯৮৮) এবং ‘লাগান’ (২০০১)। আগামী ৯৭-তম অস্কারে এই বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় মুভি ‘লাপাতা লেডিস’কে। চলুন, চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া নতুন সম্ভাবনার বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
লাপাতা লেডিস বৃত্তান্ত
জিও স্টুডিও, আমির খান প্রোডাকশন এবং কিন্ডলিং পিকচার্স প্রযোজিত এই সিনেমার প্রথম প্রকাশ ঘটে ২০২৩-এর ৮ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তারপর ২০২৪-এর পহেলা মার্চ-এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা খুব একটা সুখকর ছিলো না। তবে ২৬ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে-এ প্রিমিয়ার হওয়ার পর থেকে দর্শক মহলে অভাবনীয় সাড়া পেতে শুরু করে স্যাটায়ারধর্মী চলচ্চিত্রটি।
মুভিটির পরিচালনায় ছিলেন বলিউডের ‘মিস্টার পার্ফেকশনিস্ট’ হিসেবে খ্যাত সফল অভিনেতা আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন এই প্রাক্তন দম্পতির পাশাপাশি আরও ছিলেনকিরণ রাও, আমির খান, এবং জ্যোতি দেশপান্ডে।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
ছবির শ্রেষ্ঠাংশে দেখা গেছে প্রতিভা রান্তা, নিতানশি গোয়েল, ছায়া কদম, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, অভয় ডুবে, গীতা আগারওয়াল, রবি কিষাণ, এবং দুর্গেশ কুমারকে।
অস্কারের পথে লাপাতা লেডিস
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভারতের ফিল্ম ফেডারেশন জুরি আসন্ন ৯৭তম অস্কারের জন্য তাদের নির্বাচিত সিনেমা হিসেবে ‘লাপাতা লেডিস’র নাম ঘোষণা করে। ছবিটি ভারতীয় সিনেমা হিসেবে অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করবে।
আসামের চলচ্চিত্র পরিচালক জাহ্নু বড়ুয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন মোট ১৩ জন সদস্য। এই বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘লাপাতা লেডিস’ পেছনে ফেলেছে কানজয়ী ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’, বলিউড হিট ‘অ্যানিম্যাল’ ও মালায়ালামের ‘আট্টাম’ সহ মোট ২৯টি চলচ্চিত্রকে।
সাধারণ নিয়মানুসারে, অস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগের জন্য প্রত্যেক দেশ থেকে শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্রের নাম গৃহীত হয়। এভাবে সারা বিশ্ব থেকে প্রাপ্ত আবেদন থেকে প্রস্তুত করা হয় ১৫টি সিনেমার সংক্ষিপ্ত তালিকা। আর এই তালিকা থেকে পরবর্তীতে অস্কারের মূল আসরে মনোনয়নে যায় ৫টি ছবি।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
অস্কার কমিটিতে ছবি জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময়সীমা আগামী ১৪ নভেম্বর। নির্বাচিত প্রতিযোগীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ ডিসেম্বর। অতঃপর ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম, যারা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। সেই সূত্রে, ‘লাপাতা লেডিস’র অস্কার যাত্রায় এখনও আরও দুটি কঠিন ধাপ রয়েছে।
অস্কারের ৯৭তম আসর বসবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে।
৪৪৬ দিন আগে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করার বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ক্রমাগত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অবশেষে রবিবার 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড' প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৫ সদস্যের নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড কমিটি প্রকাশ করে রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেন্সর বোর্ড ও সার্টিফিকেশন বোর্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো সেন্সর মূলত মুক্তির জন্য চলচ্চিত্রগুলো অনুমোদনের জন্য কাজ করেছিল। এর জন্য তারা চূড়ান্ত মুক্তি থেকে নির্দিষ্ট দৃশ্যগুলো কেটে ফেলা বা এমনকি পুনরায় শ্যুট করার দাবি জানাতে পারে। এতে ব্যর্থ হলে তারা একটি ছবির মুক্তি আটকে দিতে পারে।
অন্যদিকে একটি সার্টিফিকেশন বোর্ড তাদের সামনে রাখা কাজের মূল্যায়ন করবে এবং উপযুক্ত দর্শকদের জন্য এটির মুক্তির ব্যবস্থা করবে। যেমন- কিছু চলচ্চিত্র শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের জন্য অনুমোদিত হতে পারে, যা সিনেমা হলে সেগুলো দেখানোর সময়কে প্রভাবিত করে, অন্যগুলো সর্ব সাধারণের জন্য অনুমোদিত হতে পারে। মুক্তি, তাদের উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সিস্টেমটি শৈল্পিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বোঝানো হয়েছে, বোর্ডের সদস্যদের চূড়ান্ত বিষয়বস্তুর বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার সেন্সর বোর্ডের সংস্কার করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা সচিবকে চেয়ারম্যান করে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে।
একই কর্মকর্তারা সদ্য চালু হওয়া সার্টিফিকেশন বোর্ডের পদগুলো গ্রহণ করবেন এবং পুরো বোর্ড কর্মকর্তাদের এখন সার্টিফিকেশন বোর্ডের কর্মকর্তা হিসাবে স্থানান্তরিত করা হবে।
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা-চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন রাজু, লেখক-চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র প্রযোজক-লেখক-পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র প্রযোজক জাহিদ হোসেন, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুন বোর্ডের সদস্য হবেন।
সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করে যথাযথ সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের দাবি দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের। অতীতে বোর্ডের সিদ্ধান্তে দেশের বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; যেমন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যিনি বছরের পর বছর ধরে তার 'শনিবার বিকেল' ছবির সেন্সরশিপ নিয়ে লড়াই করেছেন।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ববর্তী শাসনের পতনের পরে, চলচ্চিত্র শিল্পের পেশাদাররা পূর্ববর্তী সেন্সর বোর্ডের সংস্কার এবং একটি নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৬৩ সালের 'সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট'-এর আওতায় ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের বিপক্ষে সোচ্চার হন বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও চলচ্চিত্র সংগঠক। 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩' এর ধারা ৩ এর উপধারা (১) অনুযায়ী নতুন সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
৪৪৮ দিন আগে
২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুমকে ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার সয়লাবে যেন জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সেই সঙ্গে পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। চলুন, এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহাসিক পূণর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্সঅফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য যে, এখন তিনি আর সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বনসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সেবার জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্সঅফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
শাহরুখের ‘কিং’
পরপর ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো হিট মুভি দেওয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটিকে। সঙ্গত কারণে বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান (২০২২)-এর পর এটি দম্পতি রণবীর-আলিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের পটভূমি
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ভাবেই ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর আবেগপূর্ণ পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধঃশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীরা পাচ্ছে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
৪৫৬ দিন আগে
আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র সুড়ঙ্গের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় বড় পর্দায় ফের জুটি বাঁধতে চলেছেন আফরান নিশো ও তমা মির্জা। আগের মত এবারও চলচ্চিত্রের শিরোনাম এক শব্দের ও চিত্তাকর্ষক। নতুন এ সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। চলুন, চলচ্চিত্রটির নির্মাণ, মুক্তির দিনক্ষণ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
চলচ্চিত্র ‘অসিয়ত’ বৃত্তান্ত
সিনেমাটির নির্দেশনায় থাকবেন ‘তুফান’ খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। বর্তমানে তার ‘তুফান’ সিনেমাটি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘তুফান’ চলচ্চিত্রটির মতো ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও জুড়ে আছে ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ (শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস) এবং বাংলাদেশের আলফা-আইয়ের নাম। চলচ্চিত্র দুইটির প্রযোজনায় ছিল আলফা-আই, আর পরিবেশক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল এসভিএফ। তবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় থাকছে স্টুডিও দুইটির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি কোম্পানি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমার শুটিং। নিশো-তমা জুটি বাদে অভিনয়ে আর কারা থাকছেন এবং গল্পের পটভূমিই বা কি- সে ব্যাপারে এখনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না দর্শকদের।
‘অসিয়ত’ কবে মুক্তি পাবে
২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাবতীয় পরিকল্পনা চলছে চলচ্চিত্র নির্মাণের। ২০২৩ সালের ঈদুল আযহায় ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছিল জনপ্রিয় ওটিট (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। একইভাবে ‘অসিয়ত’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গেও দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সম্পৃক্ত হওয়ার কথা চলছে। শিগগিরই এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে এই সম্পৃক্ততাসহ মুক্তির স্পষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবে ‘অসিয়ত’ টিম।
নিশোর বিচক্ষণ প্রত্যাবর্তন
‘সুড়ঙ্গ’ চলচ্চিত্রটির পর থেকে গত এক বছর একেবারেই ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি আফরান নিশোকে। ফলে এই বিস্তর সময়টাতে অপেক্ষায় থাকা অনুরাগীদের মধ্যে তাকে নিয়ে চলেছে হাজারো জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু এ সময়টাতে ছোট পর্দার সুপ্রতিষ্ঠিত এই অভিনেতা প্রস্তুতি নিয়েছেন বড় পর্দার জন্য। এখন তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান চলচ্চিত্রে অভিনয়কে ঘিরে। তবে ভাল গল্প পেলে ওটিটিতেও তাকে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে তিনি চেয়েছিলেন সিনেমার মাধ্যমেই দর্শকদের সামনে হাজির হতে। আর তাই এই দীর্ঘ বিরতি।
আরও পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
নিশোর মতে ভালো কিছু কাজের জন্য উপযুক্ত সময়ের প্রয়োজন। তাই আড়ালে থাকা মানে কাজ থেকে দূরে থাকা নয়। বরং এতে কাজের প্রতি আরও বেশি নিবেদিত হওয়া যায়, যার নিরিখে বৃদ্ধি পায় কাজের গুণগত মান। ফলশ্রুতিতে, সৃষ্টি হয় নতুন কাজ দেখার আগ্রহ এবং সেই সঙ্গে নিশ্চয়তা থাকে ভক্তদের প্রত্যাশাকে পূরণ করার।
সমূহ সম্ভাবনার সূচনালগ্নে ‘অসিয়ত’
বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিগত ২০ বছর ধরে একটি স্বনামধন্য নাম হয়ে উঠেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড। অন্যদিকে, ওপার বাংলার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের রয়েছে দীর্ঘ ২৮ বছর চলচ্চিত্র নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুইটি প্রতিষ্ঠান যখনই একসঙ্গে হয়েছে তখনই অবতারণা ঘটেছে দারুণ নির্মাণশৈলীর। মূলত এর অঙ্কুরেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের। এই যৌথ উদ্যোগ ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, তারই প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে নির্মাণ হতে চলেছে ‘অসিয়ত’।
শেষাংশ
রায়হান রাফীর পরিচালনায় নিশো-তমা জুটির সিনেমা ‘অসিয়ত’ নিশো ভক্তদের জন্য দারুণ একটি চমক হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র প্রযোজনার দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশি স্টুডিওগুলোর যৌথ অবস্থান একদমই নতুন নয়। তবে সিনেমাকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি চিত্রজগতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাছাড়া সিনেমা বানানো ও পরিবেশনে আলফা-আই এবং এসভিএফ প্রত্যেকেই সফল। সেই সুবাদে এই অংশীদারিত্ব বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি রাখছে। এই প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশি ছবির জন্য বিশ্ব দরবারে মর্যাদাবান স্থানে অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
৫২৬ দিন আগে
দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা। সেখানে ‘নিশাদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তারপর থেকে গান ও নাটকের মাধ্যমে বেশ কিছুবার দর্শকদের সামনে এলেও বড় পর্দা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে ১৭ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় ফিরছেন শাওন।
কেমন হতে যাচ্ছে সিনেমার গল্প, আর এই নির্মাণে শাওনের সঙ্গী হচ্ছেন কারা- চলুন জেনে নেয়া যাক।
বিনোদন জগতে শাওনের পদচারণা
বিনোদন জগতে শাওনের শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
আরো পড়ুন: ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ছোটপর্দায় শাওনের অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালের ধারাবাহিক নাটক ‘নক্ষত্রের রাত’-এর মাধ্যমে। ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছিলেন প্রথিতযশা নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে তার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’-এ শাওনের ‘তিতলি’ চরিত্রটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এরপর থেকে হুমায়ুন আহমেদের নাট্যদলের নিয়মিত একজন হয়ে যান শাওন। সে বছরই রম্য নাটক ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ মিতু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
শুধু নাটকেই নয়, প্রখ্যাত নির্মাতার চলচ্চিত্রগুলোতেও সমান বিচরণ ছিল এই মেধাবী তারকার। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা ‘কুসুম’-এর ভূমিকায় দেখা যায় শাওনকে। এরপর থেকে ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১)-তে ‘তরু’, ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩)-য় ‘চন্দ্র’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) সিনেমার ‘আশালতা’ চরিত্রগুলো দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত হয়।
২০০৪ সালের দর্শকনন্দিত ধারাবাহিক নাটক ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’তে তিনি ‘পুষ্প’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
হুমায়ুন আহমেদের নির্দেশনায় শাওনের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ২০০৮ সালের ‘আমার আছে জল’, আর সর্বশেষ নাটক ছিল ২০১১ সালের ‘স্বর্ণকলস’।
আরো পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার বেশ কিছু রচনা পরিচালনা করেন শাওন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১১ সালের নাটক ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ২০১৪ সালের ‘বিভ্রম’, এবং ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে তিনি শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
‘নীল জোছনা’ সিনেমার কথকতা
সিনেমার গল্প
চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য নির্মিত হয়েছে মোশতাক আহমেদের ‘নীল জোছনার জীবন’ উপন্যাস অবলম্বনে, যেটি মুলত একটি প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক কাহিনী নিয়ে রচিত।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লায়লা, যে অতীত ও ভবিষ্যত দেখতে পারে। আর এই বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে তার স্বামী আমিনকে। কেননা সে জানতে পেরেছে খুব শিগগিরই লায়লার ফাঁসি হতে যাচ্ছে, আর কথাটি বলেছে স্বয়ং লায়লা নিজে। আমিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, কেন তার স্ত্রীর ফাঁসি হবে; সে তো কোনো অপরাধ করেনি!
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর বাংলাদেশি সিনেমা
চরম উদ্বিগ্নতার মুহুর্তে তারা শরণাপন্ন হয় মনস্তাত্ত্বিক ড. তরফদারের। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি খেয়াল করেন যে, লায়লা প্রায়ই একটি গান গুনগুন করে। আর এই গানের উৎসটি ডাক্তারকে সন্ধান দেয় এক অদ্ভূত বিমূর্ত জীবনের, যার নাম নীল জোছনা।
লায়লার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার পেছনে এই নীল জোছনাই দায়ী। আবার এই নীল জোছনাই তাকে ফাঁসির দিকে ধাবিত করছে।
ডাক্তার টের পান, লায়লার জীবন প্রবাহ পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। এরপরও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন মেয়েটির ভয়াবহ পরিণতির গতিপথ পাল্টানোর জন্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও কলাকুশলি
৬ বছর আগে ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায়। মহামারী করোনাসহ নানা কারণে শুটিংয়ের কাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অতঃপর চলতি বছরের মে মাস থেকে সফলভাবে সিনেমাটির শুটিং চলছে।
‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’-এর পর ফাখরুল আরেফিন খানের চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’। এর আগে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আল বদর’ (২০১১)-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে শাওনকে দেখা যাবে শহুরে এক নারীর চরিত্রে। সিনেমার আলাদা চমক হিসেবে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন- ইন্তেখাব দিনার, তারিক আনাম খান, এস এম নাঈম ও পার্থ বড়ুয়া।
আরো পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
ছবির ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রানা দাশগুপ্ত। সাকি ব্যানার্জির সংগীত পরিচালনায় ছবিতে গান থাকবে মোট তিনটি। এগুলোর মধ্যে মৌলিক গান দুটি, যেগুলোর গীতিকার লয়দীপ ও মাহমুদ শাওন।
পরিশেষ
মনস্তাত্ত্বিক গল্পের চলচ্চিত্র দিয়ে শাওনের প্রত্যাবর্তন হুমায়ুন-ভক্তদের জন্য নতুন করে থ্রিলার নির্ভর কাজ দেখার ইন্ধন যোগাচ্ছে। ২১ শতকের প্রথম দশকে বিনোদন জগতের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন শাওন। তবে ‘নীল জোছনা’র মাধ্যমে সেই জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান ঘটবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন পর্যন্ত।
তবে ফাখরুল আরেফিন খানের বিগত ভিন্ন ধারার কাজের সুবাদে বাংলাদেশি সিনেমা জগতে নতুন কিছু সংযোজনের সম্ভাবনা তৈরি করছে চলচ্চিত্রটি।
মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
৫২৯ দিন আগে
ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ইতালির গালফ অব নেপলস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্পেশাল মেনশন ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত চলচ্চিত্র 'ময়না'।
গত ১১ থেকে ১৪ জুন নেপলসে উৎসবটির দশম আসর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে নিজের জায়গা করে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
এই স্বীকৃতির সঙ্গে যে নিজের পরবর্তী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে তা স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ময়না' চলচ্চিত্রটি বড় পরিসরে দর্শকদের মন জয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাইরেও এর আবেদন আমাদের দেশের দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
ছবিটির প্রযোজক আলিম উল্লাহ খোকন জানান, 'ময়না' বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরে স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে স্থানীয়ভাবে মুক্তির আগে চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে বলে জানান তিনি।
'ময়না' এর আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২৫তম ইএমএমএ'স বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩-এ সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজনার পুরস্কার পেয়েছিল এবং আসন্ন আগস্টে কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২১তম আপোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ভিলেজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আলীম উল্লাহ খোকনের গল্প অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক মেঘ।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা, কায়েস আরজু, আমান রেজা, আফফান মিতুল, জিলানী, মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, সুব্রত, সূচনা, খলিলুর রহমান কাদরী, শিশির ও শিশুশিল্পী জান্নাতুল ভোর।
আরও পড়ুন: ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-যুক্তরাষ্ট্রের গেটি ইমেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
৫৪২ দিন আগে