খুলনা
আগামীকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
বেনাপোলে হুন্ডির ১৭ লাখ টাকাসহ দুই ভারতীয় নারী আটক
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে হুন্ডির ১৭ লাখ টাকাসহ দুই ভারতীয় নারীকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৫ (ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে গতকাল (রবিবার) রাত ৮টার দিকে টাকাসহ তারা আটক হন।
আটক দুই নারী হলেন— ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থানার রায়পুর গ্রামের আনন্দ বৈদ্যর স্ত্রী রীনা বৈদ্য (৩৭) ও একই এলাকার মৃত সানোয়ার শাহাজীর স্ত্রী মুক্তি শাহাজি (৫৪)।
রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রবিবার ভারতের পাসপোর্টধারী দুই নারী বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস স্ক্যানিং তল্লাশি কেন্দ্রে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা এক হাজার টাকার বিনিময়ে ওই টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসছিলেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, জব্দ করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজসহ সাত দাবিতে কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলে সাময়িক অনিশ্চয়তা ও শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর, বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করীম, উপজেলা জামায়াতের আমির রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত। আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই সকল বাধা দূর করে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়নের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা জেলা প্রশাসক শেষে জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসী বলেন, আজকেই সকল দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসলে অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক নিহত
খুলনার রূপসায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাগর শেখ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা এলাকার চৌরাস্তার পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
সাগর শেখ গ্রীন বাংলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন তার গতিরোধ করে তাকে গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় ও অপরটি হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গৌতম জানান, গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান রাত ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ দাশ বলেন, রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটিতে ছিলাম। থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি ওই এলাকায় জমি কিনে নতুন বাড়ি করেছেন। তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
২৩ ঘণ্টা আগে
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জন আটক
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর জোড়াগেট এলাকার এইচআরসি ভবনের পাশের গলিতে অবস্থিত ওই কারখানার অভিযান চালায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
পুলিশের দাবি, কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, সিসা, ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ প্রায় ৩০-৩৫ টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— দোহা আয়রন ফাউন্ডার কারখানার মালিক নজরুল ইসলাম, কর্মচারী শহিদুল ও আকবর আলী।
কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল, এখানে একটি অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছে এবং তথ্যের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ওই কারখানাটি থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র যে ছাঁচের মধ্যে তৈরি করা হয়, সেগুলোও আমরা উদ্ধার করেছি। এই কারখানায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র যেখানে ফিনিশিং দেওয়া হয়, সেখানেও অভিযান চলছে। এ লক্ষ্যে ডিবির টিম কাজ করছে।
ডিবির এই টিম ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে ডেপুটি কমিশনার বলেন, কেএমপি এলাকায় অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের এত কাছে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, এটি উদ্বেগজনক। মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে এ ধরনের কারখানা থাকবে, আর আমরা কেউ জানব না, এটা হতে পারে না। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, আমরা আপাতত এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছি। এই অস্ত্র তৈরির মূল কারিগরকে ঈশ্বরদী থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখানে অস্ত্রের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ ঢালাই করে যেসব জিনিস বানাতে হয়, সেগুলো এখানে তৈরি হচ্ছিল। এখানে ৩০-৩৫টি অস্ত্রের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে বাটের কাঠের অংশ, স্প্রিং অন্যস্থানে সংযোজন করা হয়। সেখানেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে এখানে অস্ত্র তৈরি করা হয় বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও এখান থেকে বেশ কয়েকবার খুলনা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
১ দিন আগে
যশোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান (৫৫) নামে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মিজান যশোরের শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার দিকে কারাগারের ভেতরে কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন মিজান। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় আটক হয়ে কারাগারে যান মিজান। কারাগারের কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন তিনি। কিন্তু গোপনে তিনি কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিবুল ইসলাম জানান, রক্ষীরা মৃত অবস্থায় এক কয়েদিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২ দিন আগে
যশোরে পাঁচ দিনব্যাপী ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন শুরু
যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উদ্যোগে বুধবার (১০ডিসেম্বর) ভ্যাট দিবস উদযাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘ভ্যাট সপ্তাহ’।
এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট যশোর কমিশনারেট প্রাঙ্গণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সময়মত নিবন্ধন নেব, সঠিকভাবে ভ্যাট দেব’।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, দেশের মোট রাজস্ব আয়ে ভ্যাটের অবদান সর্বাধিক। ভ্যাটের প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইতিবাচক সূচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি যথাযথ ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থনৈতিক মুক্তির পথ সুগম করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ইনকাম ট্যাক্স অফিসে না এসে করদাতারা বাসায় বসেই এখন কর জমা দিচ্ছেন। এতে কর গ্রহীতার বিরুদ্ধে বিগত সময় যে সব অভিযোগ উঠেছে সেটা অনেকাংশেই কম হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শেখ আবু ফয়সল মো. মুরাদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে সরকার নিয়মিতভাবে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ পালন করছে, যাতে ভ্যাট ব্যবস্থায় সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, অটোমেশনে ঘাটতি, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট পদ্ধতি, রেয়াত–শৃঙ্খলার অসংগতি ও ই–কমার্স থেকে ভ্যাট আহরণে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যশোর কমিশনারেট রাজস্ব আদায়ে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ই–রিটার্ন, ই–রিফান্ড, ই–অডিট, ই–পেমেন্ট, ইএফডি ও ভ্যাট স্মার্ট চালানের মতো আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার সুবিধা ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা আরও উৎসাহী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভ্যাটের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান। রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক ভূঁইয়া ও স্কুল শিক্ষিকা শিলা দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর কর অঞ্চলের কমিশনার মো. মাসুদ রানা, বেনাপোল কাস্টমস হাউস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান এবং যশোর প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। এ ছাড়াও ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিশেষ অতিথিরাও উক্ত সভায় জাতীয় অর্থনীতিতে ভ্যাটের গুরুত্ব তুলে ধরে সঠিক ভ্যাট আদায়ে সকল পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রচার করছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট। অংশীজনদের সহযোগিতায় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের সহকারী কমিশনার পিয়াল দত্ত।
৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে পথচারী গুলিবিদ্ধ
চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বাবু (৩১) নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার হায়দারপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহত বাবু পেশায় একজন পারটেক্স মিস্ত্রি এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাতগাড়ির আব্দুল হামিদের ছেলে।
জেলা পুলিশ জানায়, বার্ষিক মার্কসম্যানশিপ (ফায়ারিং) অনুশীলন ৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্ন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির ডিঙ্গেদাহ ক্যাম্পের ফায়ারিং বাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রেঞ্জের তিন কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের জন্য আগেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
তবে বাবুর ভাই রাশেদের অভিযোগ, আজ কোনো ধরনের মাইকিং বা সতর্কতা ছাড়াই ফায়ারিং চলছিল। পাঁচ বছর আগে এখানে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আজ আমার ভাই মোটরসাইকেলে ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হলো।
চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির নায়েক সুবেদার কামরুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের জন্য ৬ বিজিবির ফায়ারিং বাট তিন দিন বরাদ্দ ছিল। আজ সকাল থেকে ফায়ার চলছে। এ সময় একজন বেসামরিক ব্যক্তির বুকে গুলি লাগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, এক্স–রে করে দেখা গেছে, বাবুর বুকের বাঁ পাশে গুলি রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ৬ বিজিবির ফায়ারিং রেঞ্জে জেলা পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিং চলছিল। শুনেছি একজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে জেনেছি তিনি আশঙ্কামুক্ত।
৪ দিন আগে
খুলনায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ছেলে নিখোঁজ
খুলনায় একটি বাসা থেকে শিউলী (৪৫) বেগম নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মো. সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী। ছেলে রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এই মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীদের ধারণা, রিয়াদই তার মাকে হত্যা করেছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ জানান, কে বা কারা শিউলীকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রিয়াদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী। ওই কাজে কষ্ট হয় জেনে ট্যাংক রোডের মাথায় তাকে একটি দোকান করে দেন তার মা। এদিকে, ৪০ দিন আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে মো. সাগর নামের একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলী বেগম। এরপর ৫-৬ দিন আগে ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি, যেটি তার পরিবারের সবাই জানতেন।
খুলনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিহাব করীম জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিউলী বেগমের মৃত্যুর পর থেকে তার একমাত্র ছেলে রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলও রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের মাথার তালুর বাঁ পাশে পুতো (লোহার দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে দুর্বল করে ফেলে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। কে তাকে হত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
৪ দিন আগে
যশোরে ‘প্রেমিকের’ বাড়ি থেকে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যশোরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ‘তাকে হত্যা করা হয়েছে’ দাবি করলেও যে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা বলছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কিশোরী ওই গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। একই গ্রামের নাজমুল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে। নাজমুলের বাড়ির উঠানের আম গাছ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা জানান, নাজমুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রেখেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেটি তাদের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করলে সোমবার রাতে তার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে যায় ওই কিশোরী।
তাদের দাবি, ওই বাড়িতে যাওয়ার পর নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে মারপিট করে হত্যা করে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে গামছা ও মেয়েটির গায়ে থাকা ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাজমুল ও তার বাড়ির সদস্যদের দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
৫ দিন আগে