আইনশৃঙ্খলা
২৯ অক্টোবর থেকে চলমান হরতাল-অবরোধে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগ হয়েছে: পুলিশ
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল চলাকালে সারাদেশে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে মোট ২৯০টি গাড়িতে।
এছাড়া গত ৬ ও ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর এবং সিরাজগঞ্জে দুটি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
উল্লেখিত সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে মোট ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমলাপুর, টাঙ্গাইল ও জামালপুর রেলস্টেশনে ৩টি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর মধ্যে রমনা থেকে দুইজন, বংশাল থেকে দুইজন, মুগদায় চারজন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে দুজন, মোহাম্মদপুর থেকে একজন, পল্লবী থেকে আটজন, কাফরুল থেকে একজন, গুলশান থেকে পাঁচজন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে একজন, খিলক্ষেতে দুজন ও উত্তরা পূর্ব থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়াদের অনেকেই জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভাঙচুর ও নাশকতার মতো সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগের ঘটনার তথ্য দিয়ে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে সহায়তা করলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি: সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২৮ টহল দল মোতায়েন
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- ইমরান নাহিদ, শাহিন, সেন্টু, মাসুম, হায়দার আলী বাবলা ও রিয়াজ উদ্দিন।
ছাত্রদল দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা বিএনপির হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে রিকশাচালক কামাল হোসেন আহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান ১৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে শেষে সাব-ইন্সপেক্টর নাজিম উদ্দিন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাশকতার মামলায় যুবদলনেতা জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
২০১৩ সালের নাশকতার এক মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীরসহ বিএনপির ৭৫ জন নেতা-কর্মীকে ২ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় পৃথক তিন ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় এসএম জাহাঙ্গীর, শাহাবুদ্দিন সাগর ও শাহ আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়৷
অপর ৭২ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
পলাতক আসামিদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাজা কার্যকর হবে না রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-নাসিম, অপু, আশরাফ, মামুন, আমিনুল, এহসান, রিপন, শাহাদাত হোসেন, আলমগীর, মোখলেচুর, শহীদুল ইসলাম, মাসুদ, খোরশেদ আলী, শফিকুল ইসলামসহ অনান্যরা।
এছাড়া এই মামলার রায়ে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আশরাফ ও মনির হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
এর আগে গত বুধবার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ ৯জনকে ৩৯ মাস (তিন বছর তিন মাস) করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর পল্টনের ভিআইপি রোডের হোটেল প্লাজার সামনে মিছিলের সময় রাস্তয় দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে আসামিরা ইট-পাটকেল, লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় পল্টন থানার পুলিশ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি: সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২৮ টহল দল মোতায়েন
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৪২৮টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ প্লাটুন ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, অবরোধ চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সারা দেশে র্যাবের ৪২৮টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া, অবরোধ চলাকালে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের নিরাপত্তা তদারকিও করছে এলিট ফোর্স।
সহিংসতা ও নাশকতা রোধে বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোয়েন্দা দল নজর রাখছে।
আরও পড়ুন: হরতাল: সারা দেশে ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৬ষ্ঠ অবরোধ: সারা দেশে ২৩২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৩২ টহল দল মোতায়েন
নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ৪৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতায় জড়িত মোট ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
র্যাব বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মুগদা ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. বাবুল মিয়াসহ দুইজনকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে। এছাড়া,ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান শাকিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের পর সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে রাজধানীতে ১৪৮টি এবং সারাদেশে ৪৩২টি টহল দল মোতায়েন করে র্যাব।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা আটক
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জালয়াতি করে পাসপোর্ট করার সময় মো. সবুজ নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৌনে দুইটার দিকে তাকে আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী, শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গা আটক
আটক মো. সবুজ, কুষ্টিয়া পৌর ১৭নং ওয়ার্ড ঢাকা ঝালুপাড়া গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে বাবার নাম মো. খেদের আলী ও মাতা মরিয়ম বেগম লিখেছেন।
পাসপোর্ট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মো. সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড, নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
পরে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকতা হাসান আলীর আবেদনকারীকে সন্দেহ হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুধবার সোয়া ১টার দিকে সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ও নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করার সময় আবেদনকারীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তিনি একজন রোহিঙ্গা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১২ শিক্ষার্থীর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তুর্জো খান, সিয়াম ও শফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জিয়ন সরকার ও কবির হোসেন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিজন রায়, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মেজবাহ উদ্দিন এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে একসঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার জন্য বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে তারা একে অপরের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই উভয় গ্রুপের অন্তত ১২ জন আহত হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইবি প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১০
বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তি: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে ৫ মাসের কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার উপস্থিতিতে সাজার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। সাজা দিয়ে আদেশ ঘোষণার আগে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করে।
টকশোতে হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছিলেন শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে তা আদালতকে দেখানো হয়।
এসময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা বিএনপির এই সভাপতি আদালতকে বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমি আদালতের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। তখন হাইকোর্ট তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন। আমি তার জন্য আমার লিভার প্রয়োজনে দিয়ে দেব। খালেদা জিয়া এমন এক মহীয়শী নেত্রী। তিনি আমার মা। আমার মাকে যদি কেউ কটু কথা বলে সে মারা গেলেও তো তাকে ছাড়ব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশ অনুযায়ী ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হননি তিনি। যে কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
৮ নভেম্বরও আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় পাইপগান ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বেগমগঞ্জ থানার কোয়ারিয়া আট নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ডাকাতির বিষয়টি টের পেয়ে একজন কলার পুলিশের জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯- নম্বরে ফোন করেন।
ফোনে কলার বলেন, এলাকায় অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। অস্ত্রধারীরা যে বাড়িতে অবস্থান নেয় এলাকার লোকজন সেই বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। এ তথ্য জানিয়ে কলার দ্রুত পুলিশী সহায়তার অনুরোধ জানান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মাসুদ রানা।
কনস্টেবল মাসুদ তাৎক্ষণিকভাবে বেগমগঞ্জ থানায় বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এএসআই মিজানুর রহমান কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব বলেন, সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থল গিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মা জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজেদের বাড়িতে জবেদা খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে মুকুল হোসেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়।
এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার দিন রাতে মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন