আইনশৃঙ্খলা
পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের উপায় বের করার আহ্বান পিটার হাসের
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আদালত কোনো মতামত দেয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী ইরফান উদ্দিন বলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয় — গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন — ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’
এছাড়াও একইদিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— ফরিদুল আলম।
সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২১
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) বিএনপি নেতা-কর্মীসহ আরও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাজ উদ্দিন ও করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আশরাফ হোসেন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২৮ অক্টোবরের হামলা ও নাশকতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ৭৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৭২১
চুয়াডাঙ্গায় ৯৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে ৯৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় একজনকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দর্শনা সীমান্ত এলাকার রুদ্রনগর গ্রাম থেকে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়।
আটক নাজমুল ইসলাম (৩১) দর্শনার শ্যামপুর পাড়ার আসাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনার সুলতানপুর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল হাকিম ফোর্স নিয়ে রুদ্রনগর গ্রামের পাকা রাস্তায় অবস্থান নেয়।
এ সময় দর্শনা থেকে কার্পাসডাঙ্গা হয়ে এক ব্যাক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। বিজিবি টহল দল মোটরসাইকেল চালককে দাড়ানোর জন্য সিগন্যাল দিলে তিনি থামেন।
এরপর পাচারকারী মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে মোটরসাইকেলের এয়ার ফিল্টার বক্সের ভেতর থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৭টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলো থেকে ৯৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া বারের ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
এছাড়া, মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা ও দর্শনা থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সাভারে ৩ স্বর্ণের দোকান থেকে ৮০ তোলা স্বর্ণ লুট
বেনাপোল সীমান্তে ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে অর্থপাচারের মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় যুবদলনেতা জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভূঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে তাদের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নাশকতার পরিকল্পনা সফল হবে না: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, যারা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে তারা কখনোই সফল হবে না।
বৃহস্পতিবার(২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরবাসীর জীবন রক্ষা ও তাদের সম্পদ রক্ষায় পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এটি আমাদের দায়িত্বের অংশ এবং পুলিশ এই দায়িত্ব পালনে অবিচল ছিল এবং থাকবে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়কালে ভুয়া পুলিশ আটক
তিনি বলেন, যারা বাসে আগুন দেয় তারা মূলত যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে ওঠে এবং পেট্রল দিয়ে আগুন দেওয়ার পর তারা দ্রুত নেমে যায়।
মাঝে মাঝে তারা অল্প দূর থেকে কিছু ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছে তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
৯৯৯-এ ফোন: সুন্দরবনে বিকল নৌকার ১৯ যাত্রী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে সুন্দরবনে বিকল হয়ে পড়া ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল প্রিন্স খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে সাকিবের কল, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
জানা যায়, সোমবার বিকালে সুন্দরবনের আম্বারিয়া পয়েন্ট কোকিলমনি ফরেস্ট রেঞ্জের মরজাত নদীর আগুনজ্বালা মুখ থেকে উৎসবমুখর রায় নামে একজন কলার ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন করে জানান, তারা ১৯ জন পূণ্যার্থী দুবলার চরে রাসমেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় পথে তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এখন তাদের নৌযান নদীতে বিকল অবস্থায় ভাসছে।তিনি তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
কলটেকার কনস্টেবল প্রিন্স খান তাৎক্ষণিকভাবে নৌপুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, বাগেরহাটের চাঁদপাই নৌথানা এবং বনবিভাগ রেঞ্জ অফিসে ঘটনাটি জানায়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই আনিসুর রহমান কলার এবং উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে বনবিভাগের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকল নৌযান থেকে ১৯ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।
বনবিভাগ উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দে্রয়া ফরেস্ট অফিসার আব্দুস সালাম ৯৯৯-কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে (২৮ অক্টোবর) পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামে যুবদল নেতা মুরাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত (২৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার মুরাদ চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পূর্ব সরফভাটা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব- ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আফছার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী। তিনি কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার ১৬৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।’
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরী চান্দগাঁও এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
র্যাব আরও জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে মহাসমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: সাভারে আটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
রিজেন্ট সাহেদের জামিন বহাল, মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চকে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
আদালতে সোমবার দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
পরে তার জামিন আবেদন শুনে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত এ মামলায় সাহেদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়।
সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি। এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত ২১ আগস্ট রায় দেন আদালত।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একটি আদালত।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
৩২.৪৬ কোটি টাকা বকেয়া: রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিনের দুই ছেলে জসিমউদদীন (৩৪) ও সালাউদ্দীন (৩৬) বহরা, গ্রামের আজিজুর রহমান উরফে ফরিদ মেম্বার (৫২), আক্তার মিয়া (৪৪) ও রফিজ উদ্দিন (৪৫)।
২০০৬ সালের ২১ মার্চ রাত অনুমান সোয়া ৯টায় কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড় থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আফজালুর রহমান (৪৮) বহরা গ্রামে তার বাড়িতে ফিরছিলেন।
তিনি ডরাছড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে আসামিরা জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সখিনা বেগম বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা করেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে আইনজীবী সাইফুল আলম বলেন, তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী তপন সিং।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়কালে ভুয়া পুলিশ আটক
মাদারীপুরের রাজৈরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় শাহিন শেখ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন শেখ উপজেলার বৌলগ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন শাহিন।
এসময় বিষয়টি সাধারণ মানুষের সন্দেহে হলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিচয় দানকারী শাহিন শেখকে আটক করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃত শাহিনের কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি-ডাকাতির মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
যশোরে লাঠির আঘাতে নারীর মৃত্যু, প্রেমিক আটক