আইনশৃঙ্খলা
৬ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে মমতাজ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর থানায় দায়ের করা হত্যা ও ভাঙচুরের দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে তাকে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক আইভী আক্তার এই নির্দেশ দেন।
মানিকগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আবুল খায়ের জানান, ‘সিংগাইর থানার হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড এবং হরিরামপুর থানার হামলা-ভাঙচুর মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়।’
আরও পড়ুন: আরও ২ দিনের রিমান্ডে মমতাজ
বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পরে তাকে মানিকগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে মামলার প্রথম ও দ্বিতীয় দিন আদালত চত্বরে মমতাজ বেগমকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
১৯৭ দিন আগে
এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
দীর্ঘ এক যুগ পর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রবিবার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। রায় ঘোষণার জন্য জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি আজকের কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
আরও পড়ুন: আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম: জামায়াত আমির
এর আগে গত ১৪ মে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত মামলার আপিলের শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (১ জুন) দিন ধার্য করেছিল আদালত।
গত বছরের ২২ অক্টোবর খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করেছিল আপিল বিভাগ। পরে ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।
উল্লেখ্য, এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯৭ দিন আগে
১১ বছরের শিশুর বিরুদ্ধে মামলা, ওসিকে শোকজ
রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ১১ বছর বয়সি এক মেয়ে শিশুর বিরুদ্ধে চুরির মামলা নেওয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। একইসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেনকেও শোকজ করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবির এ শোকজ দেন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৭ মে খিলগাঁও থানাধীন গোড়ান মাজার গলিতে বাপ্পি পরিবহন নামক গ্যারেজে একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। গ্যারেজের কর্মচারী শুকুর আলী (২৪) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মোহনা (১৫), শাহানা (২৩), নিলুফা (২২) ও রুমা (১১)। তাদের সবার স্থায়ী ঠিকানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বোল্লা গ্রামে। এদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী শিশু রুমাকে আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কারাগারে আটক রাখার আবেদনে শিশু ‘রুমা’র বয়স ১২ উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এজাহারে তার বয়স ১১ বছর বলা হয়েছে। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৮৩ ধারা অনুযায়ী, ৯ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুর দ্বারা সংঘটিত অপরাধ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না, যদি সে তার কার্যক্রমের প্রকৃতি ও পরিণতি বুঝবার মতো পরিপক্বতা অর্জন না করে। রুমা নামক শিশুর বয়স এজাহারে ১১ বছর উল্লেখ রয়েছে। কেন তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হলো? কেন থানায় কর্মরত শিশু-বিষয়ক কর্মকর্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি?
আরও পড়ুন: কবিরাজকে ১০ টুকরো করে হত্যা, দুজনের ফাঁসির আদেশ
নোটিশে আরও বলা হয়, “আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিশুরা ‘পাবলিক কর্তৃক ধৃত’ এবং ‘পাবলিক কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে। অথচ, তাদের দেহে নীলাফোলা জখম থাকার পরও, তাদের চিকিৎসার কোনো রেকর্ড বা চিকিৎসা সনদ আদালতে দাখিল করা হয়নি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তাও পরিষ্কার নয়। এছাড়াও এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, মামলার প্রকৃতি বিবেচনায় কোনো ধরণের উদ্ধার তালিকা বা জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি এবং তা আদালতে প্রেরিত নথির সঙ্গে দাখিল করা হয়নি।’
নোটিশে বিচারক আরও উল্লেখ করেন, এজাহারে উল্লিখিত ঘটনার সময় ২৭ মে ভোর ৬টা ৫৫ মিনিট। বর্ণনা অনুযায়ী, স্থানীয় জনতা আসামিদের হাতেনাতে আটক করে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে খিলগাঁও থানা পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। অথচ, এজাহারে সংবাদ প্রাপ্তির সময় ৪টা ১০ মিনিট উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারে বাদী শুকুর অভিযোগ করেন, আমি ও সিফাত হোসেন খিলগাঁও থানাধীন গোড়ান মাজার গলিতে বাপ্পি পরিবহন নামক গ্যারেজে কাজ করি। সে সুবাধে আমরা গ্যারেজের কাজ শেষে গ্যারেজেই ঘুমাই। আমি (শুকুর) ও সিফাত হোসেন গত ২৭ মে রাত অনুমান ১টার সময় প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে গ্যারেজে ঘুমিয়ে পড়ি। এদিন ভোর অনুমান ৬টা ৫৫ মিনিটের সময় আসামিরা আমাদের গ্যারেজের দরজা খুলে গ্যারেজে প্রবেশ করে। এরপর আমাদের সিটের উপরে থাকা সিফাত হোসেনের ব্যবহৃত ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসাং মোবাইল সেট চুরি করে নেওয়ার সময় টের পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে গেলে আমি চোর চোর বলে চিৎকার দিই। এসময় আশপাশের লোকজন দ্রুত গ্যারেজে আসলে তাদের সহায়তায় আসামিদেরকে হাতেনাতে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করি। এরপর খিলগাঁও থানা পুলিশ এসে আসামিদের থানায় নিয়ে যায়।
শিশুর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ১২ বছরের কম বয়সি শিশুর সংঘটিত কার্য তো অপরাধ বলে গণ্য হয় না৷ এক্ষেত্রে শিশুর বয়স এজাহারে ১১ বছর লেখা হলে তো কাজটি আইন অনুযায়ী হয়নি। এজন্য শোকজ করেছে।
এ বিষয়ে শোকজপ্রাপ্ত খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘শিশুটির বয়স এজাহারে ১১ বছর লেখা হলেও, তার বয়স মূলত ১২ বছর। ফরোয়ার্ডিংয়ে (আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন) শিশুর বয়স ১২ বছর লেখা হয়েছে। এই শিশু চুরি করেছে, তার সিসিটিভি ফুটেজ আছে৷ শিশু অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়।’
শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শোকজের ব্যাখ্যা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করব।’
১৯৮ দিন আগে
লালমনিরহাটে রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬ ভারতীয় নাগরিক আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছয়জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুরে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনে ছয়জন ব্যক্তি সন্দেহজনক আচরণ করছিলেন। খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলার ৬১ বিজিবি তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে।
আটকরা সবাই আসামের গোলাঘাট, দরং এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে চার পুরুষ ও দুই নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুই জেলায় আরও ২৭ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ
বিজিবি জানায়, গত ২৫ মে বিএসএফ সদস্যরা তাদের হাতিবান্ধা উপজেলার দৈই খাওয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছয় ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। তারা সবাই আসামের নাগরিক। এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।’
১৯৯ দিন আগে
দুই জেলায় আরও ২৭ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ
দেশের দুই জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ২৭ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার ভোর থেকে এসব নাগরিকদের ঠেলে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসন।
বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মটুয়া সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। শুক্রবার (৩০ মে) ভোর রাত ৩টার দিকে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ৪ বিজিবির ছাগলনাইয়া বিওপির টহলদল মটুয়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে ১৩ জনকে দেখতে পায়। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ শিশু রয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— আলতাফ (৩৯) ও তার স্ত্রী মোমিনা বেগম (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩৮) ও তার স্ত্রী উর্মি বেগম (২৯), মোমিনুল হক (৩৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩০) এবং ইশরাক হোসেন (৪০)। বাকি ছয়টি শিশু।
বিজিবি জানায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার মটুয়া সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ৪টি পরিবারের ১৩ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আটক ব্যক্তিদের বরাতে বিজিবির কর্মকর্তারা বলেন, ওই ১৩ বাংলাদেশিকে হাত ও চোখ বেঁধে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে বৈরী আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রত্যেকের হাত ও চোখের বাঁধন খুলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা ১৩ জনকে স্থানীয় মটুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তাদের খাবারসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি–৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, সীমান্তে ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় বিএসএফের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কমান্ডারকে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার। এ বিষয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: আবারও বিয়ানীবাজার সীমান্তে ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা সীমান্ত দিয়ে আরও ১৪ জন পুশ-ইন করেছে বিএসএফ।
শুক্রবার (৩০ মে) ভোর ৫টার দিকে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের আম বাগান সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশ-ইনের পর তাদের আটক করে বিজিবি।
আটকদের ২৩ বিজিবি যামিনী পাড়া ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধায়নে তাইন্দং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
আটকরা জানান, তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ইট ভাটায় কাজ করতেন। সেখান থেকে তাদের আটক করে বিমানে করে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দক্ষিণ ত্রিপুরায় নিয়ে এসে ভোরে জোরপুর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানো হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, আটকদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই চলছে।
১৯৯ দিন আগে
চাঁদাবাজির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে শ্রমিক দলের দুই সদস্য আটক
খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সড়কে শ্রমিক সংগঠনের নাম করে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুইমারা উপজেলা শ্রমিক দলের দুইজন সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা এ অভিযান চালান।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, গাড়ি চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় ক্যাপ্টেন শাইয়েন কাদিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান চালায়। এসময়, নগদ টাকা ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বইসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন—গুইমারা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য খলিলুর রহমান (৪৭) ও আবু সায়েদ (৪৫)। তারা উভয়ই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, আটকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গুইমারা উপজেলার অন্তত পাঁচটি স্থানে বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। স্থানগুলো হলো—জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, জালিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, গুইমারা বাজারে কাজী টাওয়ারের সামনে ও হাতিমুড়া পুলিশ বক্সের সামনে।
অভিযোগ রয়েছে, দিনে ও রাতে কাঠ, বাঁশ, ইট, বালু ও বিভিন্ন মালবাহী ট্রাক থেকে বিভিন্ন সমিতির নামে বাধ্য করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদার অঙ্ক ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। চাঁদা না দিলে চালককে হেনস্তা করার পাশাপাশি তার গাড়ি আটকে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। এই নিয়ে আমরা অনেক ভুগছি। বিষয়টি প্রশাসনকেও জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় খুলনা ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
তিনি আরও অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়ি থেকে একটি মালবাহী ছোট পিকআপ বারইয়ার হাট এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতিটি গাড়িকে অন্তত আট হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। জেলা সদর থেকে শুরু করে, একইভাবে মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, রামগড়, হেয়াকো, সর্বশেষ বারইয়ার হাটে গিয়েও চাঁদা দিতে হয়।
অভিযানের পেট্রোল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাইয়েন কাদির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে চাঁদা উত্তোলনের সময় আটক করা হয়েছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই অভিযান চলমান থাকবে। আটক দুই ব্যক্তিকে গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী অভিযান চলমান থাকবে।
১৯৯ দিন আগে
কবিরাজকে ১০ টুকরো করে হত্যা, দুজনের ফাঁসির আদেশ
সাত বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে মফিজুর রহমান নামে এক কবিরাজকে ১০ টুকরো করে হত্যার দায়ে মোসা. মাকসুদা আক্তার লাকী এবং তার দেবর সালাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আসামিরা বর্তমানে পলাতক।
আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানার পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বেউতা গণকবরস্থানের সামনে একটি ডোবা থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন অবস্থায় কোমর থেকে গলা পর্যন্ত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (২ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম মেহেদী হাসান মামলা দায়ের করেন। মরদেহটি মফিজুর রহমানের বলে শনাক্ত হয়।
মফিজুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পর তার ভাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে লাকী ও সালাউদ্দিনের নাম উঠে আসে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, নিহত মফিজুর রহমান একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া সার ও কীটনাশকের দোকানের পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকেন এবং তাদের একটি ছেলে রয়েছে। অধিক সন্তানের আশায় তিনি মফিজুরের কাছে যান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা হত্যার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: রাতভর পুলিশি অভিযানের পর সাবেক নাসিক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর লাকীর বাসায় দাওয়াত দিয়ে মফিজুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে গরুর মাংস ও চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার দেহ ১০ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২০০ দিন আগে
দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী
দুদিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। গত মঙ্গলবার কারাগার থেকে তাকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়।’
‘পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গত রবিবার বিকালে পুলিশ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নূর মোহসীন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
গত ২০ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট দেশের বাকি সিটি করপোরেশনগুলোর মতো টানা তিনবার নির্বাচিত মেয়র আইভীকেও অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর মিনারুল হত্যা মামলায় প্রথমবার আসামি করা হয় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। গত ৯ মে সকালে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা অন্তত ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে।
মিনারুল হত্যা ছাড়া আরও দুটি মামলাতে আইভীকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, মিনারুল হত্যা মামলাটিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেছেন আইভীর আইনজীবী।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীমের আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন। পরে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২ জুন তারিখ ধার্য করেন।
২০০ দিন আগে
ইশরাককে শপথ পড়ানো হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ইসির: আপিল বিভাগ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ তাকে মেয়র ঘোষণা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এই পর্যবেক্ষণ দেন।
এর আগে, বুধবার (২৮ মে) ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য শোনার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির কথাও বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ইশরাকের মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিতের বিষয়ে আপিল শুনানি বুধবার
এর আগে গত ২২ মে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়।
আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
২০০ দিন আগে
আবারও বিয়ানীবাজার সীমান্তে ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে ফের পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরের দিকে বিয়ানীবাজার সীমান্তের নওয়াগ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, আটজন মহিলা ও আটজন শিশু রয়েছে। এর আগে গত ২৫ মে একই সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে পুশইন করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
আটকরা হলেন—কেরামত শেখ (৬০), রমেছা বেগম (৫৫), বিষ্টুপুরের কুলছুম শেখ (২০), ওমর শেখ (২ মাস), নড়াগেতির জহুরা বেগম (৬০), সোহাগী বেগম (৩২), সিদ্দিক শিকদার (১৮), সুমাইয়া বেগম (১১), রাফি শিকদার (৯), হাসান শিকদার (৩), জুয়েল শাহানুর শেখ (২৮), মরিয়ম খাতুন (২৫), আমেনা খাতুন (৮), আনার শেখ (২ মাস), তাছলিমা বেগম (৩৫), ইয়ামিন (১৭), ইয়াসিন (৫), ইয়াকুব (৪), রোকসানা (৩৫), আজগর আলী (৪০) ও ইতি বেগম (৩৬)।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিজিবির বাধায় পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহল দল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। পরে তাদের বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, "আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।"
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, "২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।"
২০০ দিন আগে