আইনশৃঙ্খলা
কনস্টেবল আমিরুল হত্যা: যুবদল কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২
গাইবান্ধা জেলা এবং ঢাকার ডেমরা থেকে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম ওরফে পারভেজ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতার সময় কর্তব্যরত অবস্থায় বিএনপি কর্মীদের হামলায় কনস্টেবল আমিরুল নিহত হন।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজাকে গাইবান্ধা থেকে ও মো. সুলতানকে রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কনস্টেবল আমিরুল হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রবিবার সকালে পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া জানান, শনিবার রাতে পুলিশ এ মামলা করেছে।
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অন্তত ১ হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে রবিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে ৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আরও মামলা দায়েরের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে থানা সূত্রে জানা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে মির্জা আব্বাসসহ ৮৪৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির হরতালের মধ্যেই সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরে ফখরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল।
ফখরুলকে আটকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি পুলিশ।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাদের বাসায় এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক কেড়ে নেয়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার এসে তাকে (ফখরুল) নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়ার পরের দিন তাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকশ' আহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে সমাবেশ স্থগিত করে হরতাল ঘোষণা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকায় সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে বিএনপির সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তারা আহত হন।
আহতরা হলেন- ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেহকিন তারিন, কালবেলার রাফসান জানি, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক শেখ নাসির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হাবিব সবুজ, ইনকিলাব পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এফ এম মাসুম প্রমুখ।
আহতদের মধ্যে তারিনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে (নিটোর), রাফসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
রাফসানের সহকর্মী ও কালবেলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানান, কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষচলাকালে রাফসান সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার সময় রাফসানের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, ‘কালবেলার আইডি কার্ড গলায় ঝুললেও রাফসানকে নির্বিচারে মারধর করা হয়েছে, হামলায় তার পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, হামলাকারীরা তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে এবং তার অবস্থা গুরুতর।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ১ পুলিশ নিহত, ৪০ জনের বেশি আহত
রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং কমপক্ষে ৪১ পুলিশ আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত এক পুলিশ সদস্য ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফারুক হোসেন জানান, মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় তারা আহত হয়েছেন।
এর আগে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেছিলেন যে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইলের জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
তিনি কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়াও, তারা কাকরাইলের আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া বিএনপি কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকায় মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যেতে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
কেরাণীগঞ্জের কদমতলীর বাবু বাজার সেতু ও হাসনাবাদের পোস্তগোলা ব্রিজ চেকপয়েন্ট থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১০ ও পুলিশের সদস্যরা শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসব পয়েন্টে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘অভিযানে অবৈধ কার্যকলাপের সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৩২ জনকে এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘ তল্লাশি চালানোয় এসব এলাকার যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌকা চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মিটফোর্ড হাসপাতালের অসংখ্য রোগী এবং অফিসগামীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে হাসানাবাদ ও কদমতলী এলাকায় 'শান্তি সমাবেশ' করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে ঢাকায় হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক
দেশের চির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ডাকা শনিবারের সমাবেশের ঠিক আগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ছোট বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের সমাবেশের পরিকল্পনা করছে।
সমাবেশ চলাকালে সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীতে হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং এর উপকণ্ঠে স্থাপিত চেকপোস্টগুলোকে ম্যানেজ করছেন অনেকে।
ঢাকাগামী বাসে যাত্রীদের চেক করতে দেখা গেছে পুলিশকে। শহরের প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে তাদের নিজ নিজ স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। জামায়াত অবশ্য ডিএমপির কাছ থেকে কোনো অনুমতি পায়নি।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
সিলেটে ৩ শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার
সিলেটে নাশকতার পাঁয়তারার অভিযোগে ৩ শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ভোরের দিকে নগরীর আখালিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১৫
এদিকে জালালাবাদ থানা পুলিশ জানায়- গ্রেপ্তার ৩ শিবির কর্মী হলেন- ইসলামী ছাত্র শিবির শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি শাখার কর্মী। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রুকন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পরিচয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানানো হবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কুশিয়ারা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
বগুড়ায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বগুড়ার শাজাহানপুরে নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শাজাহানপুরের সুজাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
গ্রেপ্তার ৩ নেতা-কর্মী হলেন- জামায়াত কর্মী নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের নেতা সাইদুল ইসলাম ও আহসান হাবিব। তারা সবাই উপজেলার সুজাবাদ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে গত ২০২২ সালের ৩১ জুলাই দায়ের করা নাশকতার মামলা হয়। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
শনিবারের রাজনৈতিক সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার
শনিবার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের সমাবেশকে সামনে রেখে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকার মধ্যাঞ্চলে যেখানে সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে চেকপোস্ট বসিয়েছে এবং রাস্তায় টহল দিচ্ছে। শহরের উপকণ্ঠেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অঙ্গীকার করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে মিল রেখে বিকালে বায়তুল মুকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে পাল্টা সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। শাপলা চত্বরে সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
দলের অসুস্থ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিও চায় তারা। বিরোধী দল তাদের সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শুক্রবার তাদের মহাসমাবেশের একদিন আগে থেকে হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী নয়া পল্টনে ঢল নামে। শনিবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সমাবেশে বাধা দিতে পারে এই আশঙ্কায় তারা আগেভাগে এসেছেন বলে জানান তারা।
নির্বাচনের আগে বিএনপির বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে। তাদের কর্মসূচিকে শান্তি সমাবেশ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের পদত্যাগও দাবি করছে জামায়াত।
যেকোনো সহিংসতা ঠেকাতে শনিবারের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য শুক্রবার রাজধানীতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোনো পক্ষকেই পুলিশ অনুমতি দেয়নি।
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে, মৎস্য ভবনে গণতন্ত্র মঞ্চ এবং বিজয়নগর এলাকায় ১২ দলীয় জোট।
বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেয়নি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও ডিএমপি ইতোমধ্যে দলটিকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।