আইনশৃঙ্খলা
হেল্পলাইন চালু হচ্ছে দেশের সব আদালতে
সুষ্ঠু বিচার সেবা নিশ্চিত ও অনিয়ম দূর করতে দেশের সব আদালতে হেল্পলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) সুপ্রিমকোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার ও বিচার সংক্রান্ত অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৮টি মহানগরীতে সুপ্রিমকোর্টের আদলে হেল্পলাইন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সব নিম্ন আদালত, ট্রাইব্যুনালে নাগরিকের বিচারিক সেবা পাওয়ার বাধা ও অনিয়ম দূর করতে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ও বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালকে ধাপে ধাপে হেল্পলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এতে বলা হয়, জেলা পর্যায়ে হেল্পলাইন সেবা ফলপ্রসূ করতে প্রতি জেলায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘের রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল
হেল্পলাইনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একজন বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা। হেল্পলাইনের মাধ্যমে দেওয়া সেবার প্রতিবেদন মাসের সাত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টে পাঠাবেন তিনি।
গেল ২৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টে হেল্প লাইন সেবা চালু করা হয়। শুরুতে একটি হেল্পলাইন নম্বর (০১৩১৬১৫৪২১৬) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারপ্রার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর (০১৭৯৫৩৭৩৬৮০) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এসব নম্বরে সরাসরি ফোনকল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সেবা পাওয়া যাবে।এছাড়া [email protected] ইমেইল ঠিকানা ও সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে (https://www.Supremecourt.gov.bd) ঢুকে অভিযোগ (Online Complain Register) কিংবা পরামর্শ দেওয়া যাবে।
২১৫ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘের রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল ও এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নলেজে রাখা ও রিসার্চের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। তখন আদালত কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।
এর মধ্যে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ পায়, সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে আবেদন করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
আদেশের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়েছে। তখনকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল—অর্থাৎ একটি যথাযথ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে তিনটি উদ্দেশ্যে এটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য—কী ঘটনা ঘটেছিল। এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য। যদিও ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল এটাকে নিয়েছে বলে জেনেছি। ভবিষতে রিসার্চের উদ্দেশ্যে অন্য দেশে ব্যবহার করা। এ জন্য কোর্ট অব রেকর্ড হিসেবে হাইকোর্টে রিপোর্টসহ আবেদন দাখিল করেছি। আদালত রুল জারি করেছেন।
২১৫ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আমুসহ গ্রেপ্তার সাত সাবেক মন্ত্রী-এমপি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত সাতটি পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিন তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
এর মধ্যে আনিসুল হককে তিন মামলায়, আমু, ইনু, মেনন ও পলককে দুই মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে তিন মামলায় এবং শাজাহান খানকে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সব মামলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতা, হত্যা ও হত্যাচেষ্টা সংক্রান্ত।
এদিকে, আলোচিত শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ (মোস্তাকীন) হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে
গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক তাপসচন্দ্র পন্ডিত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ একটি মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রজনতার ওপর আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন জুনায়েদ। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
২১৫ দিন আগে
সিলেটে আ.লীগ নেতাকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে সিলেট নগরীতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে ছাত্র-জনতা। এরপর গনপিটুনি দিয়ে মদন মোহন কলেজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিএমপিতে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা
পরে কতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘জনতার হাতে আটক ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জুলাই আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।’
২১৫ দিন আগে
শ্বশুরকে হত্যার দায়ে জামাই ও তার ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় শ্বশুরকে হত্যার দায়ে জামাই ও তার ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল ৪টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় জামাতা ও তার ভাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন—দৌলতপুর থানা এলাকার আতিয়ার রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. শেখ তুজাম শেখের ছেলে মো. শেখ রাশেদ এবং তার ছোট ভাই মো. শেখ রকিবুল ইসলাম।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইলে কথা বলতে বলতে আ. রশিদ ঢালী বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত ৮টার দিকে তিনি তার মেয়ে তিন্নিকে কল দিয়ে বলেন, তিনি ফুলবাড়িগেটে অবস্থান করছেন। তখন তিন্নি বাবাকে বাড়িতে দ্রুত আসার জন্য তাড়া দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক ৩
বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় সাড়ে ৮টার দিকে পুনরায় বাবার ফোন কল দিলে বিপরীত থেকে বন্ধ আছে বলে জানতে পারেন তিন্নি। রাত ৯টার দিকে বাবার ফোন থেকে কল আসে ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জানান ওই নম্বরটি তিনি রাস্তায় পেয়েছেন।
তখন তিন্নি তার অবস্থান জানতে চাইলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন। তখন তিন্নি তার স্বামী রাশেদকে ফোন দিলে শ্বশুর রশিদের বাড়িতে আসেন ও সবাই মিলে রশিদের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে বের হন। পরবর্তীতে দুই দিন পর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, আড়ংঘাটা থানাধীন তেলীগাতি বাইপাস মহাসড়কের পাশে রিপন ফকিরের মাছের ঘেরের পাশে একটি লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
২৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী ফারজানা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করেন।
২১৫ দিন আগে
দুদকের মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা ওই মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদনও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোবাইদা রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জোবাইদা রহমানকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) এই আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা চেয়ে জোবাইদা রহমানের করা আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে আপিল দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে গতকালই এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হয়। এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও করেন জোবাইদা রহমান।
আরও পড়ুন: আপিলের জন্য জুবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
আদালতে জোবাইদা রহমানের পক্ষে আজ (বুধবার) শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার আপিল শুনানির জন্য যাবতীয় নথিও তলব করা হয়েছে।’
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট করা এই মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ওই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এই মামলায় জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন জুবাইদা রহমান। এরপর থেকে লন্ডনেই ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
সেখান থেকে ৬ মে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি মঙ্গলবার কার্যতালিকায় উঠলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
২১৫ দিন আগে
ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক ৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর ইউএনবিকে জানান, ঘটনার পরপরই শাহবাগ থানার বেশ কয়েকটি টিম দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই তিনজন সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি ওসি। এ ছাড়া, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আটক
গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাবি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২১৫ দিন আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র খুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফারুক।
তিনি জানান, সহপাঠীরা সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক পরিক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সাম্য ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ঢাবির এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর রুমে থাকতেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাবি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, তিনি ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন।
২১৫ দিন আগে
পুলিশ একটি খুনে বাহিনী হতে পারে না: আইজিপি
পুলিশকে আর কোনো প্রাণঘাতী না দিতে সরকারি সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা অন প্রিন্সিপাল এটা মনে করি, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স (পুলিশ একটি খুনে বাহিনী হতে পারে না)। আমার কাছে বড়জোড় শটগান থাকবে, এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা সবার।’
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাহারুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা মিন করেছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেমন রাইফেল, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়, এগুলা অ্যাভয়েড করব।’
‘আমরা এটা নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঠিক করব,’ যোগ করেন তিনি।আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এরআগে সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, জমা দিয়ে দিতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।’
কবে থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে কেবল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তো একটু সময় লাগে। পুলিশের কাছে রাইফেলও থাকবে না; তা নয়। তাদের কাছে রাইফেল থাকবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
২১৬ দিন আগে
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
২০০১ সালে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামিদের সাজা কমিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. তাজউদ্দিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাহাদাতউল্লাহ জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বাকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এবং বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুর রউফ ও ইয়াহিয় মারা যাওয়ায় তাদের বিচারিক কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘ইভটিজিং নিয়ে হত্যা’ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি যাদের সাজা কমিয়ে ১০ বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, তারা হলেন- আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাব্বির, শেখ ফরিদ ও আবু তাহেরের সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় হাইকোর্টে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এই ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
বিচারিক আদালতের রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। আর বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহেরকে। পরবর্তীতে মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
২১৬ দিন আগে