শিক্ষা
শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবনে অগ্রগতি করতে হলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গড়ার একটি ছোট অংশ মাত্র। জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে 'লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এ এন এম ফখরুল আমিন ফরহাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ও খাদিজা আক্তার উর্মি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান বলেন, 'আমরা আমাদের মনের দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমাদের মনোবিজ্ঞানের অনেক প্রভাব রয়েছে। এজন্য মানসিক সুস্থতা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমাদের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকতে শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামের হেড অব সোশ্যাল ইনোভেশন মানিক মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও কর্মজীবনের দক্ষতার বিশাল ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন নয়। ‘কর্মজীবন সম্পর্কে দক্ষতার অভাবের কারণে তারা কর্মস্থলে সমস্যার সম্মুখীন হয়।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান বলেন, 'দক্ষতার বিষয়টি আমরা কখনই উপেক্ষা করতে পারি না। ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেলসহ অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং আমাদের এটি গুরুত্বসহকারে শিখতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
ঢাবিতে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন ও ডিইউ রাইটার’স হাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতার হোসেন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরিপয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের দায়িত্বরত ড. বার্নার্ড স্পেনার।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় দায়িত্বরত ছিলেন মহিউদ্দীন ভূইয়া ও খাদিজা আক্তার ঊর্মি। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, ‘আমাদেরকে পরিচালিত করে আমাদের মন। তাই আমাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে আমাদের মনস্তত্ত্ব অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তাই মানসিক প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য প্রয়োজন। নেতিবাচকতাকে পরাভূত করে ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষম থাকার জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামে সোশ্যাল ইনোভেশনের প্রধান মানিক মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখা ও চাকরিজীবনের দক্ষতায় অনেক বড় একটা বিস্তর ফারাক আছে, যে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত নয়। কিন্তু কাজের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সমসাময়িক চাকরির বাজারের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি করতে হবে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপার্সন মাহবুব রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দক্ষতা বিষয়টি আমরা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারব না। অনেক রকম দক্ষতা বা স্কিলের মধ্যে ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে লাগবেই এবং এটা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গেই শেখা উচিত। এর পাশাপাশি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
বার্নার্ড স্পেনার তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বিশাল জনসংখ্যার কোয়ালিটি যদি বৃদ্ধি করা যায় তাহলে অনেক বড় একটা বিপ্লব সাধন হবে। এখনই প্রয়োজন যুবসমাজের ডিজিটাল স্কিল বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ক্লাসের লেখাপড়া ক্যারিয়ার গঠনের সামান্যতম অংশ। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতার বিকাশ করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
এছাড়াও প্যানেল মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন ভূইয়া এবং সাদিয়া নূর খান। অনুষ্ঠানের ফুড পার্টনার হিসেবে ছিলো কুপার্স।
উল্লেখ্য, অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন যাবত যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য কর্মশালা, আলোচনা সভা ও অনলাইন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশানাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, সমাবর্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাবর্তনের মাধ্যমে একদিকে শিক্ষার্থীদের অর্জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়; অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব কার্যক্রমের সামগ্রিক মূল্যায়নের সুযোগ পায়। তাই প্রতিটি সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, আনন্দঘন এ অনুষ্ঠানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি ধন্যবাদ জানাই অভিভাবক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উপমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাষা শিক্ষায় আমরা একটু পিছিয়ে আছি। বাংলা ভাষার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাষার দিকে জোর দিতে হবে। এছাড়া, দক্ষতা ও মূল্যবোধের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আপনারা সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, অধিকতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার উচ্চশিক্ষার পরিধিকে সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও সৃজনশীলতাকে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইঞ্জিনিয়ার মো. আলিম দাদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান।
ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগির বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে গাবতলীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিক্ষার মান এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কাতারের। বেতন ফি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আলিম দাদ বলেন, ইইউবি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে শুরু থেকে ফল সেমিস্টার ২০২০ এর মধ্যে ৭৫৫৯ শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রিলাভ করেছে। তারমধ্যে ৬৯৪৮ জন স্নাতক ও ৬১১ জন স্নাতকোত্তর।
আরও পড়ুন: ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান বলেন, ইইউবি গরীব ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ কম খরচে এখানে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাফল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, ২০১২ সালে শুরু করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশের শিক্ষার্থীদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনটি ফ্যাকাল্টি এবং ১২টি ডিপার্টমেন্টের কার্যজক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে প্রকৌশল শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশ প্রকৌশল বিভাগ সমূহের অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয়ত, অনুমোদন প্রাপ্তির ৪ বছরের মধ্যে সাড়ে পাঁচ লক্ষ বর্গফুটের সুবিশাল ১২ তলা ভবন স্থাপন করেছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মিরপুরের গাবতলীতে।
তৃতীয়ত, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদানের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ মেধা-সম্পন্ন ১৩০ জন শিক্ষক এবং শতাধিক কারিগরি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুগের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনেকগুলো নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে আসন সংখ্যা। আমি আশা করি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, ২০১২ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করলেও ২০১৬ সালে স্হায়ী জায়গায় ভবন তৈরি করেছে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী এখানে পড়াশুনা করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও যেমন মানসম্মত, তেমনি মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষায় আমাদের আরও জোর দিতে হবে।
ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) প্রথম সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পেরে আমি ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করছি। ইইউবি কম খরচে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছে। কোভিড সময়েও তারা শিক্ষাব্যবস্থা চালিয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া। আশা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) প্রথম সমাবর্তনে ২০১২ থেকে ফল সেমিস্টার ২০২০ সময়কাল পর্যন্ত ৭৫৫৯ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং আটজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে এ শিক্ষা কার্যক্রম।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা থাকছে না। মূল্যায়ন করা হবে পারদর্শিতার সূচকে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘বিদেশিদের ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপু মনি
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তারা মহাচিন্তায় পড়ে গেছেন যে তাদের সন্তানরা কীভাবে চাকরি পাবে?
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবনের কোনো ফলাফল তাদের সন্তানদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসবে না- এমনটাও অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করেছি। সেটা হলো- চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পাদর্শিতার মূল্যায়ন করা হবে। পারদর্শিতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পারদর্শিতার ভিত্তিতে চাকরির প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা ঠিক করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা। এটি চলমান। নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ে শিক্ষার্থীরা যখন চাকরিজীবনে প্রবেশ শুরু করবে, তখন নতুন পদ্ধতিতে তাদের নিয়োগ হবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণই নেই।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আরেকটা গুজব ও অপপ্রচার হলো- তাদের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করছি এ শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার ভোগান্তি হবে না। আমরা ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) করছি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-চীন একসঙ্গে কাজ করবে: দীপু মনি
বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশেষ সমাবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়েছে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশেষ সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ ছাড়া বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাস্থ্যগত কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন শুরু হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে তেলাওয়াত অনুসরণ করা হয়।
পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রিতে ভূষিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ ডিগ্রি ও স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ সনদ বুঝে পাওয়ার জন্য সই করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
দুই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা অনিবার্যকারণে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিত এসব পরীক্ষার পরিবর্তীত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি কুদরত-ই খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। সেই কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেটি ছিল অনেক সমৃদ্ধ।’
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘সেটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম আজকে আমরা শিক্ষায় বিশ্বে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন আমরা পিছিয়েছি, শিক্ষায়ও তেমনি পিছিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ এবং জিডিপির ৪ ভাগ সেখানে বিনিয়োগ করা দরকার। যখন আমরা সারা বিশ্বে শুনি শিক্ষায় জিডিপি কতভাগ বিনিয়োগ। এর মানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে তিনি সময়ের চাইতে কতখানি এগিয়ে ছিলেন।’
দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা তখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। কাজেই তারা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নেবে এই চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না। যে কারণে তারা গতানুগতিক শিক্ষাকে চালিয়ে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনবার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছেন।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয় মেয়াদে যখন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি ছিল তরুন প্রজেন্মর জন্য ঘোষণা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমরা দিন বদলের সনদ দিচ্ছি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। বদলে যাওয়া দিনের কাণ্ডারি হবে তরুণ প্রজন্ম এবং তারাই এর সুফলভোগী হবে। তারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। আর এর কেন্দ্র হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষার দিকে অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মনোভাব নিয়ে তৈরি হতে হবে তার সবকিছু আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভালো পড়ালেখা করবে এবং জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে। তারা মূল্যবোধকে তাদের জীবন চর্চার অংশ করে নেবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর যে দক্ষতাগুলো বর্তমান বিশ্বে আছে এবং আসছে সেগুলোর জন্য তৈরি হবে। যেগুলোকে আমরা বলছি সফ্ট স্কিল। সবকিছু মিলিয়ে তারা যেন দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং গুজব রটানো হচ্ছে। যারা কোচিং ও গাইড বই বিক্রি করছেন তারাও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ব্যবসা না করে অন্য ব্যবসা করতে পারবেন। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সন্তানদের এখন আর গাইড বই কিনে দেওয়া লাগবে না। তাদের প্রাইভেট পড়তে হবে না। তারা আনন্দের মধ্যে শিখবে। আমি সারাদেশের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবচিত্র আমার কাছে তুলে ধরছে। তারা বলছেন শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী এই শিক্ষাক্রমে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশনের যাত্রা শুরু
রাশিয়ান হাউসের সহায়তায় দাগেস্তান স্টেট পেডাগোজিক্যাল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এদিকে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষার পাশাপাশি রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষা ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কেন্দ্র শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
নাটোরে হচ্ছে ড. এম এ ওয়াজেদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
এজন্য ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: তরুণদের মেধা, পরিশ্রম ও দেশপ্রেমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৮ অগাস্ট ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন বিষয় পড়ানো হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
জিসিএ’র জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সায়মা ওয়াজেদ
বিতর্কিতদের নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ
প্রায় সাত বছর পর শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছু বিতর্কিত নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিভিন্ন মহল থেকে তাৎক্ষণিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সেই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় রাবি ছাত্রলীগ নেতার ‘ছুরিকাঘাতে’ যুবক জখম
মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন।
ফলে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা নতুন কমিটির অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ উত্থাপন করে নতুন কমিটিকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি আছেন।
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব আগের কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। ওই বিভাগ থেকে ঝরে পড়ার পর তিনি তার ছাত্রত্ব হারান। বর্তমানে তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি আছেন।
তবে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকের 'ভুয়া' সার্টিফিকেট ব্যবহার করে তিনি এই কোর্সে ভর্তি হন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসা ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া কমিটির ২০ জন সহ-সভাপতির অধিকাংশই অনেক আগেই স্নাতক হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহানগর ও রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১০
সহ-সভাপতিদের মধ্যে তামান্না আক্তার তন্নির লেখাপড়া শেষ হওয়ায় সম্প্রতি রহমতুন্নেসা হল কর্তৃপক্ষ তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। হল ত্যাগ না করে এই নেত্রী হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলের ভেতরে আটকে রাখেন।
আরেক সহ-সভাপতি মমিন ইসলামের বিরুদ্ধে সংস্কৃত বিভাগের কর্মীদের মারধর ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আসন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘সময়ের বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা নেতৃত্ব নির্বাচন করেছি। এরপরও কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিল সোমবার