শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী পদক্ষেপ নেবে না সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা
প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে সরকার জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ানুগ ও ইনসাফভিত্তিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ নতুন অভিযাত্রায় সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কোনো ইস্যুকে ঘিরে সমাজে বিশৃঙ্খলা কিংবা জনরোষের সৃষ্টি হয়— এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সরকারের নীতি ও পলিসিকে বিবেচনায় রেখেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এ মন্ত্রণালয়ের যেকোনো প্রদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে জনস্বার্থ ও গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাসের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত স্নাতক ডিগ্রিধারীদেরও সমান সুযোগ রয়েছে।
এর আগে দুই উপদেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার, শিক্ষক নিয়োগ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
৪৮ দিন আগে
সাভারে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ঢাকার সাভারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া।
তিনি জানান, ছাত্রদের দেওয়া আগুনে ৮/১০টি গাড়ি ও একাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। বর্তমানে দুই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার ৭ টার দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভাড়া বাসা ‘ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেল’–এর পাশে বসে ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্য এক শিক্ষার্থী থুতু ফেললে অসতর্কতাবশত সেখান দিয়ে যাওয়া ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ব্যাচেলর প্যারাডাইসের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে উভয় ইউনিভার্সিটির প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতে দফায় দফায় বৈঠক হয়।
এরই মধ্যে রাত ১২ টার দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সহস্রাধিক উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সিটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রধান গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভিসি অফিস,রেজিস্টার অফিস, প্রো-ভিসি অফিস, কনফারেন্স রুম, কম্পিউটার ল্যাব, অ্যাকাউন্টস অফিস,গ্রহান্তাগারসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে এবং ৮/১০টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের এ তান্ডব চলে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত ।
এ সময় উভয় পক্ষে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়াও ও সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০/৩৫জনকে সাভার ও ঢাকায় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর আজ সোমবার আশে পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি, স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে।
৪৯ দিন আগে
শাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আমলে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও অধিকার আদায়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচার বেড়েছে, শিক্ষার্থীদের সমস্যা উপেক্ষিত হয়েছে এবং ছাত্র রাজনীতি দখলদারত্বমূলক হয়ে উঠেছে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন একাধিকবার মৌখিক আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’
শিক্ষার্থীরা জানান, শাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য গত ১৯ অক্টোবর মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, ‘বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
৫৫ দিন আগে
এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
আন্দোলনের মুখে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের হাউস রেন্ট এলাউন্স (বাড়িভাড়া ভাতা) বাড়িয়েছে সরকার। এটি চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দুই ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে ভাতা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এতে মোট ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) হবে, যা ১ জুলাই ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই ভাতা বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে বাড়িভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, বাড়তি ভাতা সংশ্লিষ্ট এমপিও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নন-গভর্নমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) মানবসম্পদ কাঠামো ও এমপিও নীতি ২০২১, মাদ্রাসা এমপিও নীতি ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং পেশাগত, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও মাছ চাষ ডিপ্লোমা এমপিও নীতি ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, এই ভাতা বৃদ্ধির কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো অতিরিক্ত পাওনা দাবির সুযোগ সৃষ্টি হবে না। সব আর্থিক বিধি-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এ ছাড়াও, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে একটি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করে চার কপি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই আদেশের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পূর্বের সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে।
৫৫ দিন আগে
সিলেট বোর্ডে এইচএসসির ফল বিপর্যয়, অর্ধেক ফেল
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সারা দেশে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, তবে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল আরও নিম্নমুখী, এবার পাসের হার মাত্র ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
ফল অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে পাশের হার ৫১ দশমিক ৮৬, যা বিগত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছর ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ ভাগ, ২০২৩ সালে ৭১ দশমিক ৬২ ভাগ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৪০ ভাগ, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০ ভাগ, আর ২০২০ সালে শতভাগ, ২০১৯ সালে ৬৭ দশমিক ০৫, ২০১৮ সালে ৭৩ দশমিক ৭, ২০১৭ সালে ৭২ ভাগ, ২০১৬ সালে ৬৮ দশমিক ৫৯ ভাগ, ২০১৫ সালে ৭৪ দশমিক ৫৭ আর ২০১৪ সালে ৭৯ দশমিক ১৬।
২০২০ সালে করোনাকালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়, যেটিকে ‘অটোপাস’ বলা হয়ে থাকে। ফলাফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিগত বছরের এসএসসির ফল বিবেচনা নেওয়া হয়। আর ২০২১ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কিছু নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়েছিল, যার ফলে পাশের হার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল।
এবার সিলেটে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯ হাজার ৯৪৪ জন, যার মধ্যে ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৭৬৪ জন আর মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৮ জন। মোট পাশকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৭০ জন, যার মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৮৭০ এবং মেয়ে ২২ হাজার ১ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন, যার মধ্যে ছেলে ৬৮১ এবং মেয়ে ৯২১ জন। পাশের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা; ছেলে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশ করেছেন ৪৯ দশমিক ৯৬ জন আর মেয়েদের পাশের হার ৫৩ দশমিক ১৩ ভাগ।
প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, পাশের হার সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে। এই বিভাগে পাশ করেছেন ৪৫ দশমিক ৫৯ ভাগ পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০ দশমিক ১৮। ১৬০২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১৫৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে পাশের হার সবচেয়ে কম মৌলভীবাজারে আর বেশি সিলেট জেলায়। সিলেটে পাশের হার ৬০ দশমিক ৬১ ভাগ, হবিগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৮৮, সুনামগঞ্জে ৪৬ দশমিক ৩৫ এবং মৌলভীবাজারে ৪৫ দশমিক ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন।
গত বছর সিলেট বোর্ড থেকে ৬ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এবারের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইংরেজি ও গণিতে অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় সামগ্রিক ফল খারাপ হয়েছে। তাছাড়া অনেক কলেজে উপস্থিতির হারও কম ছিল।
এদিকে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩২৩ টি কলেজের মধ্যে ৪টি কলেজ শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আর শতভাগ পাশ করেছে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানে।
এবছর ফলাফল ঘিরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায়নি।
৬০ দিন আগে
৩ ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা
বাংলাদেশে তিনটি ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে ইউজিসি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ হলো— আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; এবং স্পিরিচুয়াল ইনস্টিটিউট অব নিউ ইয়র্ক (স্টেট ইউনিভার্সিটি)। সরকার ও কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ এবং ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএর দুজন শিক্ষার্থীর সনদ যাচাইয়ের লক্ষ্যে কমিশনে আবেদন করে। সনদ যাচাইয়ের সময় ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি জানতে পারে ইউজিসি।
মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠানো কমিশনের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোনো প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশে অনুমোদনবিহীন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস, টিউটোরিয়াল সেন্টার ও স্টাডি সেন্টার পরিচালনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব শাখা ক্যাম্পাস, টিউটোরিয়াল সেন্টার ও স্টাডি সেন্টারের অধিকাংশই অননুমোদিত। এ সকল প্রতিষ্ঠান ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এমপিএইচ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডিসহ বিভিন্ন প্রকার ডিগ্রি প্রদান করছে, যা আইনানুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ সকল অননুমোদিত ও অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা অর্থের বিনিময়ে সনদ গ্রহণ করছেন। এসব চক্রের ফাঁদে পড়ে বহু শিক্ষার্থী প্রতারিত হচ্ছেন। দ্রুত এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি।
৬০ দিন আগে
এইচএসসির ফল: ময়মনসিংহে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কোনো শিক্ষার্থী
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার শতকরা ৫১.৫৪ ভাগ। তবে এই বোর্ডের আওতাধীন ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। মোট ৩৯ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৪ জন।
পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৭৬ এবং মেয়েদের সংখ্যা ২২ হাজার ৪২০ জন। অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলেদের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ এবং মেয়েদের সংখ্যা এক হাজার ৫৬৭ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। প্রতিষ্ঠান ৩টি হলো ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরজিথর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর বিপরীতে শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫টি।
এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৭টি, জামালপুরের ২টি, নেত্রকোণার ৪টি এবং শেরপুরের ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভুটিয়ারকোণা আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নান্দাইলের বরিল্লা কে. এ. হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ত্রিশালের সিটি রয়েল কলেজ, ত্রিশাল আইডিয়াল কলেজ, গৌরীপুর পাবলিক কলেজ, মুক্তাগাছার প্রিন্সিপাল পারভীন জাকির কলেজ, ফুলবাড়িয়ার আলাপসিংহ কলেজ।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
এছাড়া শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় রয়েছে জামালপুরের বকশিগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রাশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মেলান্দহ উপজেলার এস. এম. শিখা মোখলেসুর রহমান কলেজ, নেত্রকোণার কেন্দুয়ার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয়, নেত্রকোণা সদর উপজেলার ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন কলেজ এবং পূর্বধলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ। শেরপুর সদরের মন্মথ দে কলেজ এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার হীরন্ময়ী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ফল ও শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং ম্যানেজিং কমিটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে বলে মত দেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৫১ জন শিক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
৬০ দিন আগে
এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা বোর্ড, অন্যদিকে সর্বনিম্ন পাসের হার রেকর্ড হয়েছে কুমিল্লা বোর্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
এ বছরের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৭.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সর্বোচ্চ ৬৪.৬২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পাসের হার কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।
সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।
গত জুলাই মাসে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও এইচএসসির ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
৬০ দিন আগে
প্রাধ্যক্ষের বাসায় কাজ না করায় জাবির তিন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলতুন্নেসা হলের তিন কর্মচারী প্রাধ্যক্ষের বাসায় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় চাকরিচ্যুত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরি ফিরে পেতে তারা টানা ছয়দিন ধরে হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ষষ্ঠ দিনের মতো হলের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায় চাকরিচ্যুত ওই তিন নারী কর্মচারীকে।
তারা হলের ডাইনিং এটেন্ড্যান্ট মীরা রানী রায়, চম্পা এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোছা. সোমা। তিনজনই দেড় বছর আগে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশন’-এর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগীরা দাবি, গেল আগস্ট মাসে হঠাৎ করেই তাদের চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একই পদে নতুন তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে প্রাধ্যক্ষের বাসায় গৃহকর্মীর মতো কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকেই তাদের নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
মীরা রানী রায় বলেন, ‘আমরা হলে পরিশ্রম করে কাজ করেছি। কিন্তু প্রভোস্ট স্যারের বাসায় কেন কাজ করতে যাব? সেই কারণে আমাদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আউটসোর্সিং কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত কোম্পানিই নিয়েছে।’
ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সল্যুশনের ডিরেক্টর (অপারেশন) মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘ওই তিন কর্মচারী প্রাধ্যক্ষের বাসায় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এ কারণেই তাদের সরানো হয়েছে।’
তবে হল কর্মচারীদের প্রাধ্যক্ষের বাসায় কাজ করানোর নিয়ম আছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
এর আগে, এক বিবৃতিতে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাউকে চাকরিচ্যুত করিনি। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি বা অব্যাহতির ক্ষমতা কেবল কোম্পানির। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখি, হলে ডাইনিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্মচারী আছে, কিন্তু সুইপার নেই। তাই কোম্পানিকে নতুন সুইপার নিয়োগ দিতে বলেছিলাম।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরের তথ্যমতে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজনের কেউই ‘সুইপার’ পদে নয়, বরং আগের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের পদেই নিয়োগ পেয়েছেন, অর্থাৎ চাকরিচ্যুত তিনজনের জায়গা প্রতিস্থাপিত হয়েছেন তারা। বর্তমানে হলে চারজন কর্মচারী সুইপিংয়ের কাজ করছেন।
ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়ে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
৬৮ দিন আগে
জবির রেজিস্ট্রার দপ্তরে ব্যাপক রদবদল, জানেন না উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরে ২৪ জন কর্মকর্তার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে, যা উপাচার্য বা রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ পরিবর্তন কার্যকর করা হয়।
জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিদেশ সফরে ছুটিতে যান। এর কিছুদিন পরেই রেজিস্ট্রার এ আদেশ জারি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্য ছুটিতে যেতেই রেজিস্ট্রার তড়িঘড়ি করে বদলির আদেশ দেন। তার এ ধরনের ক্ষমতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন কিংবা সংবিধিতে রেজিস্ট্রারের এমন ক্ষমতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ১৩(ছ) ধারায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কিংবা একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট বা উপাচার্যের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত রাবি, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর অবরুদ্ধ
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এটি বদলি নয়, অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর জন্য উপাচার্যের অনুমতি প্রয়োজন হয় না।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, আইন বা সংবিধিতে এর সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই।
রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে এতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। উপাচার্য আদেশ দিয়েছেন কি না, সে সম্পর্কেও আমি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং আলোচনা চলছে। যৌক্তিক সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ। কেন রেজিস্ট্রার এ কাজ করেছেন, তা আমি জানি না।’
৮২ দিন আগে