প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের যদি এত দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার সরকারের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। আমি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসিছি এবং তারা এটিকে ধ্বংস করেছে। এটা দুঃখজনক।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বালে,‘এত টাকা তারা কোথায় পায়? তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় অর্থায়ন করছে কারা?'
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের কল্যাণে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের ফল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের 'সন্ত্রাসীরা' কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিজেদের এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই আন্দোলনের ঘাড়ে ভর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন, আমি কী অপরাধ করেছি?'
নিজের অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বাংলাদেশকে সম্মান বয়ে এনেছি। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যদি দেখেন বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে। তাদের আন্দোলন কীভাবে বাংলাদেশকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে এবং আমাকে হেয় করছে তারা তা চিন্তাও করে না।’
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৫০৪ দিন আগে
শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াতের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত হচ্ছে জঙ্গি, যারা বাংলাদেশের ওপর তাদের থাবা বসিয়েছে।’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, জঙ্গিবাদের কাজ।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন মেরামতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের অগ্রগতি দেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে মর্যাদাশালী করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের সঙ্গে সাম্প্রতিক অস্থিরতার সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান করে এর সঙ্গে থাকা অসৎ উদ্দেশ্যকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,‘তাদের অসৎ উদ্দেশ্য দৃশ্যমান ছিল, কোটা সংস্কার মোটেও কোনো ইস্যু ছিল না।’
সরকারি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য 'জঙ্গিদের' সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। জনগণকে সেবা ও সুবিধা প্রদানকারী কাঠামো ধ্বংস করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার শেখ হাসিনার
৫০৪ দিন আগে
ব্যাপক অপপ্রচারের মাঝেও বৈশ্বিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার ও জনগণের সময়োপযোগী ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে বলে সকল আন্তর্জাতিক অংশীদারকে আশ্বস্ত করেছে সরকার।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার (২৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অপপ্রচার, ভুল ও মিথ্যা তথ্যের ব্যাপক প্রচারের মাঝেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অকুণ্ঠ সমর্থন ও বোঝাপড়ার জন্য সরকার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ১৪৭ জনে পৌঁছেছে।
সরকার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে তাদের জন্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের তদারকি করছেন এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জীবিকার সুযোগের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সুশীল সমাজের সংগঠন ও গণমাধ্যমসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অংশীদার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তা বাংলাদেশ সরকার লক্ষ্য করেছে।
সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কে জড়ানোর আশায় রয়েছে, যা তরুণদের জন্য তাদের মতামত শোনা এবং একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়।
সহিংসতায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারগুলো যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছে, তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার প্রতি সরকার সংবেদনশীল রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এতে বলা হয়, এটা এখন স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার রাজত্ব কায়েম করতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে।
তারা কিছু সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থনও তালিকাভুক্ত করেছিল এবং জনজীবন ব্যাহত ও অর্থনীতিকে স্তব্ধ করে দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়।
একই স্বার্থান্বেষী মহল এখন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনানুগ প্রতিক্রিয়াকে ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমন’ হিসেবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংশ্লিষ্ট ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিলেও এ ধরনের বিকৃত প্রক্ষেপণ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় বেসামরিক শক্তির সহায়তায় আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কারফিউ জারির প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনকে গুলিয়ে না ফেলার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। ২০১৮ সালে সরকার নিজেই কিন্তু এই আইন বিলুপ্ত করেছিল!
সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবারও প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছে।
সরকার এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি প্রতিবাদ স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা: আব্দুর রহমান
শুরু থেকেই সরকার স্পষ্ট করেছে যে, কোটা সংস্কারের প্রশ্নে তাদের নিজস্ব অবস্থান মূলত ছাত্র আন্দোলনকারীদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায় বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা এবং রায় ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীকালে, প্রধানমন্ত্রী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করার জন্য একটি মন্ত্রিপরিষদ কমিটিও নিয়োগ করা হয়। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের গত ২১ জুলাইয়ের রায়ের মাধ্যমে সংস্কার করা কোটা পদ্ধতির ওপর সরকারি গেজেট জারি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক দাবির চেয়েও বেশি এই রায়ের মাধ্যমে বাস্তাবায়ন করা হয়েছে। এভাবে তাদের আন্দোলনের অন্তর্নিহিত কারণকে যথাযথভাবে সমাধান করেছে সরকার।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ১৭ জুলাই জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত জোট সংবাদ সম্মেলন করে (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে উসকানিমূলক বক্তব্য ও স্লোগান দিয়ে ছাত্রসমাজের একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ ও সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
ফলে পরিস্থিতি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আন্দোলনটি অভূতপূর্ব মাত্রায় সহিংসতা, নৈরাজ্য ও নাশকতার দিকে ধাবিত হয়, যাকে কেবল সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবেই অভিহিত করা যেতে পারে।
এর ফলে শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের সবচেয়ে দুঃখজনক পরিণতি এবং ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা এবং হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নৃসংশতা ও নাশকতাসহ সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী সকলকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সংশ্লিষ্ট ঘটনার দায় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও করা হচ্ছে।
সরকার নিশ্চিত করছে যে, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কথিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাদের প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারের আওতায় আনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার হয়রানি যেন না করা হয়, সে বিষয়েও বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত ভুল ও অপতথ্য ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেছে সরকার-
১. শান্তিপূর্ণ ও নির্দিষ্ট দাবির ছাত্র আন্দোলনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
২. সরকার পুনর্ব্যক্ত করছে যে, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে সহিংসতার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার করা হবে।
৩. সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে একটিও ‘দেখামাত্র গুলির’ ঘটনা ঘটেনি।
৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকে পড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
৫. রঙ করে ঢেকে ফেলা সত্ত্বেও জাতিসংঘের চিহ্নটি অসাবধানতাবশত প্রকাশিত হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
৬. ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এখন সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ল্যান্ডফোন ও মোবাইল ফোন যোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো সহিংসতা চলাকালে সম্পূর্ণ কার্যকর ছিল।
৭. কারফিউ চলাকালেও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব জরুরি পরিষেবা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
সরকার যেকোনো মূল্যে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মতামতের অধিকার সমুন্নত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও তা রাখবে।
পরিশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্বার্থান্বেষী মহলগুলোর কারণে অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।
৫০৫ দিন আগে
সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার শেখ হাসিনার
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
সাম্প্রতিক তাণ্ডবে প্রাণ হারানো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জনসাধারণের সহায়তার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার (আপনাদের) সাহায্য দরকার। আপনাদের যদি কিছু জানা থাকে দয়া করে আমাদের জানাবেন।’
আরও পড়ুন: সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার কাউকে দেশ ও জনগণের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করতে দেবে না।
তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না, কাজেই আমি আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’
শেখ হাসিনা দেশে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
শোকাহত পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আপনাদের সান্ত্বনা দেব। তবে আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি।’
হামলাকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের কী দোষ, যার জন্য তারা নিহত হয়েছেন এবং চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন? মানুষ হত্যা করে, সরকারের পতন ঘটানো- এটা কখন হয়, কখন সম্ভব?’
শেখ হাসিনা, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি আপনাদের মতোই। বাবা-মা ও ভাই হারানো এক এতিম। আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি। আমি আপনাদের পাশে থাকব।’
হামলার নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'সবকিছু পুড়িয়ে ফেলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা অকল্পনীয় নৃশংস। কীভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে? যারা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হবে।’
তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না।’
তিনি পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধরার এবং এ ধরনের বর্বরতা থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আজীবন আপনাদের সঙ্গে আছি।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-শিবির প্রথমে আড়ালে থাকলেও পরে তারাই সহিংসতা বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
৫০৫ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন মেরামতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে চলা সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
‘যেসব প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য উপকারী আক্রমণকারীরা সেসব প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
গত ১৫ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বহু শ্রমিকের ‘ঘাম ও চোখের জলের’ বিনিময়ে মেট্রোরেল নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি যে, কিছু লোক মেট্রোরেলের মৌলিক কাঠামো (মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায়) ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা থেকে বিপুলসংখ্যক নাগরিক সুবিধা ভোগ করে থাকে।’
প্রথমে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তারপর এ স্টেশন দুটি চালু করতে বাংলাদেশকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দেশে সেনা মোতায়েনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আগস্টের শেষভাগে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক সংলাপের জন্য তার দেশের ব্যবসায়ীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সংলাপের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কিমিনোরি।
সহিংসতায় হতাহতের জন্য এসময় সমবেদনা জানান তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে পঙ্গু করাই ছিল এ তাণ্ডবের উদ্দেশ্য: পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
অর্থনীতিকে পঙ্গু করাই ছিল এ তাণ্ডবের উদ্দেশ্য: পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশই হলো সাম্প্রতিক সহিংসতা; যাতে বাংলাদেশ আবার ভিক্ষুকের দেশে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি দেশকে ভিক্ষুকে পরিণত করার জন্য অর্থনীতিকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র ছিল এটি।’
সম্প্রতি দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভের সময় নৃশংস হামলায় আহত ব্যক্তিদের সমবেদনা জানাতে নগরীর পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, এই ভয়াবহ সহিংসতার জন্য এসব অপরাধীর বিচার করা দেশের জনগণের উপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘এ সংঘর্ষে এত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর জন্য দায়ী কে?'
২০০১, ২০১৩-২০১৫ এবং এরপর ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট কীভাবে আতঙ্ক ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তার বর্ণনা দেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক তাণ্ডবে নিহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের লাশ ঝুলিয়ে রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোন ধরনের রাজনীতি।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। এর ফলে দেশব্যাপী সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয় এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
তিনি বলেন, 'দেশের মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, আমার কী দোষ ছিল? মানুষের জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়নে তাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এটা কি আমার দোষ?'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বারবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাদের ইচ্ছা শীর্ষ আদালত পূরণ করবে এবং সরকারও তাদের পক্ষে রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা না রেখে কোটা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা জারি করার পরও কেন কমপ্লিট শাটডাউন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি জানি না তাদের সব দাবি আদায় করা সত্ত্বেও কেন তাদের শাটডাউন তুলে নেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব স্থাপনা দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি জনজীবন যাত্রাকে সহজ করতে ভূমিকা রাখছে সেসব সরকারি স্থাপনায় তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুরের কারণে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে এখন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
যারা এই দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে তাদের প্রতিহত করতে জনগণকে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
হতাহতের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো মা সন্তানহারা হোক তা তিনি কখনই চাননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বজনদের হারানোর পর তিনি জানেন, স্বজন হারানোর বেদনা কতটা।
পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় বলেন, তার সরকার আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
তিনি বলেন, তাণ্ডবে যারা হাত-পা হারিয়েছেন সরকার তাদের কৃত্রিম হাত-পা সরবরাহ করবে, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় আহতদের নারী স্বজনদের জড়িয়ে ধরে তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আহতদের দেখতে নিটোর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলন: ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সেতু ভবন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সকাল ১০টার দিকে সেখানে যান এবং ভবনের বিভিন্ন মেঝের ভাঙা অংশ ও প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং সেসময় সেখানে পার্ক করে রাখা অনেক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: জীবন নিয়ে খেলা বন্ধে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
গত ১৮ জুলাই প্রায় আড়াইশ’থেকে তিনশ’ অজ্ঞাত ব্যক্তি সেতু ভবনে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন, মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন শেড ও কক্ষ ভাঙচুর করে। পরে তারা সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সেখানে অনেক কর্মচারীর ওপর হামলা ও মারধর করে।
সেতু ভবনে অর্ধশতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী পঙ্গু হাসপাতালে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন) আহতদের দেখতে যান।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আহতদের দেখতে নিটোর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আহতদের দেখতে নিটোর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে শনিবার(২৭ জুলাই) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় হামলার শিকার হয়ে পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত নিটোরে যান প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আহতদের অবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং চোখের পানি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা যায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ভাঙা মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে সহিংসতার সময় এসব স্থাপনায় হামলার ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে যান তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে সংঘর্ষের সময় আহতদের চিকিৎসার জন্য যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় সামন্ত লাল সেন এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীবন নিয়ে খেলা বন্ধে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
জীবন নিয়ে খেলা বন্ধে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (জুলাই ২৬) বিকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) জরুরি বিভাগ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা, আজকে এতগুলো মানুষ আহত-নিহত।’
এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকে বলবো যারা এ ধরনের জঘন্য কাজ করে, কোথায় কে আছে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, যেন আর কখনো এদেশের মানুষের জীবন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
‘যেটা আমি কখনো চাইনি। কখনোই চাইনি এভাবে মানুষ আপনজন হারাবে, এভাবে মৃত্যুর মিছিল হবে এটা কখনো চাইনি। আজকে বাংলাদেশে সেটাই করল।’
আরও পড়ুন: সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করুন: বিটিভি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, তার সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা এ থেকে কী অর্জন করেছে? এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন! এতগুলো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে!’
প্রধানমন্ত্রী এসময় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘(আহতদের) চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার করে যাচ্ছে এবং করবে। চিকিৎসা শেষে তাদের অন্তত আয় রুজির ব্যবস্থা যাতে হয় সেটাও আমরা করব।’
চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সবাই আহতদের খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। জঙ্গিবাদ ও জুলুম থেকে মুক্তির জন্য এসময় দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল- তারাই এই সুযোগ নিয়ে, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই, দেশের প্রতি কোনো মায়া-মমতা নেই, কোনো দায়িত্ববোধ নেই। মানুষকে এরা মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না।’
এই বর্বরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমরা (শিক্ষার্থীদের সব দাবি) মেনে নিয়েছি। তাহলে আবার আন্দোলন কেন? এটা কি জঙ্গিবাদের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য?’
এসময় আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
এর আগে, এদিন সকালে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি।
৫০৭ দিন আগে
সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি দেশব্যাপী সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে যান তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় হামলার শিকার হয়ে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ভাঙা মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। আজ সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন। সহিংসতার সময় এসব স্থাপনায় হামলার ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে তিনি এসব স্থাপনা পরিদর্শনে যান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করুন: বিটিভি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী
৫০৭ দিন আগে