প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হবে।
৫১৬ দিন আগে
দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দলমত নির্বিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটা সব সময় মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নিজের জীবনের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে, পরিবার-পরিজন, বাবা-মাসহ সবকিছু ফেলে রেখে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’
তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশের বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জানেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের হয়তো তার দলের প্রতি সমর্থন নেই, হয়তো অন্য দলে চলে গেছেন বা অন্য কোনো কারণ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
তিনি বলেন, ‘তারা যেখানেই যাক, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে তারা এই দেশকে মুক্ত ও বিজয়ী করতে তাদের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। তাদের অনেকে পঙ্গু হয়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় এনে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাই এক্ষেত্রে আমি মনে করি, তাদের সম্মানই হতে হবে সর্বোচ্চ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধা তার মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন, তার দলের সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু তারপরও তারা মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে সম্মান করি। এদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে তাদের এই সম্মান দিয়ে দিক এটাই চাই আমরা।’
একসময় মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মাথায় রেখেই আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষদের কাউকে অবহেলা করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সংখ্যালঘু আছে, প্রতিবন্ধী মানুষ আছে, অটিস্টিক আছে। সরকার তাদের সবার প্রতি সহানুভূতিশীল।
তিনি বলেন, 'তারা যেন সমাজের সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর রাখছি।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের ফেলোদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার আগে দেশের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ভবিষ্যতে আপনাদেরই দেশকে আরও উন্নত করতে হবে।’
জনগণের টাকায় ফেলোশিপ নিয়ে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন এই বিষয়টি তাদের মনে রাখতে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন, আপনাদের উচ্চশিক্ষায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তা জনগণের টাকা। জনগণের সেবায় আপনাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
ডিগ্রি শেষ করে দেশে ফেরার পর দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর ১১ জন পিএইচডি এবং ৩৯ জন মাস্টার্স ফেলোশিপ পেয়েছেন।
বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে এ পর্যন্ত ৩০৮ জন মাস্টার্স ফেলো ও ১১৬ জন পিএইচডি ফেলোকে প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ২১৫ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ২৬ জন পিএইচডি ফেলো ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
তিনটি ক্যাটাগরিতে এই ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে- সরকারি কর্মকর্তা (বিসিএস), সরকারি কর্মকর্তা (নন-বিসিএস) ও অন্যান্য (বেসরকারি পরীক্ষার্থী)।
সব সেক্টরের সম্পদের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৮ সালে এই ফেলোশিপ চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটকে (জিআইইউ) এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছেন এই ফেলোরা।
ফেলোশিপ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
ফেলোশিপ পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে কয়েকজন পিএইচডি ও মাস্টার্স ফেলো তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও এর জনগণের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার জানা তারা।
অনুষ্ঠানে ফেলোশিপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিজেদের রাজাকার বলতে পারে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
৫১৭ দিন আগে
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিজেদের রাজাকার বলতে পারে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা নিজেদের রাজাকার- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী বলে স্লোগান দেওয়ায় তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল রোকেয়া হলের ছাত্রীদের নিজেদের রাজাকার বলতে শুনে আমার দুঃখ হয়। তারা কি জানে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সেখানে কী ঘটেছিল? প্রায় ৩০০ মেয়েকে হত্যা করা হয় এবং ৪০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বেশ কয়েকটি ভয়াবহ ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা ১৯৭১ সালের রাস্তায় এসব নিপীড়ন দেখেনি। তাই তারা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জাবোধ করে না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মেয়েরা এখন এই জাতীয় স্লোগান দেয়।
তিনি বলেন, ‘এ কোন দেশে আছি আমরা? তারা কোন চেতনায় বিশ্বাসী? কী শিক্ষা পেল তারা? কী শিখল তারা? এটা আমার প্রশ্ন।’
অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে চমৎকার অবদানের জন্য যথাক্রমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য এপিএ অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়।
৫১৮ দিন আগে
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের (মুসলিম উম্মাহ) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সোমবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই কোনো বিদেশি দেশ বা কোনো ফোরামে গিয়েছেন তখনই ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে কথা বলেছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনে ব্যয়িত অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি পুরো বিশ্বের জন্য আরও বেশি কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।’
বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আশানুরূপ বাড়েনি বলে বৈঠকে বলেন তিনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (রপ্তানি ৩০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আমদানি ১৫০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি, বস্ত্র, ওষুধ, পর্যটন ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।
মিসরের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনার মতো নেতা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই প্রয়োজন।’
মিশরের গ্র্যান্ড ইমাম- যার পদমর্যাদা মিশরের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার সমতুল্য, তিনি বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে নিজ দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও প্রশংসনীয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
এ সাক্ষাতে আরও ছিলেন অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: শেখ হাসিনা
৫১৮ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী চান তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চান ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক, কারণ এটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ভারতকেই অগ্রাধিকার দেব। ভারতের হাতে তিস্তা নদীর পানি রয়েছে। সুতরাং তাদের প্রকল্পটি করা উচিত এবং তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে এখানে যা প্রয়োজন তা দেবে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, চীন তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করেছে। এদিকে ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করবে।
তিনি বলেন, ভারতের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হওয়ার পর সরকার বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
৫১৯ দিন আগে
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার নির্বাচনি জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। আমরা অবশ্যই তার ওপর এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: শেখ হাসিনা
সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল তুলে ধরতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আমেরিকা সব সময় তাদের গণতন্ত্র নিয়ে গর্ববোধ করে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।
শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'গণতন্ত্রের অগ্রপথিক যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি সভ্য দেশে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা আমাদের প্রশ্ন।’
রিপাবলিকান পার্টি এই হামলার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হতো।’
শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এ হামলা করা হয়। বুলেটের আঘাতে অল্পের জন্য বেঁচে যান ট্রাম্প। তবে তার কান সামান্য কেটে যায়, মুখমণ্ডল থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপরই তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়। এ সময় হামলাকারী ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি নিহত হন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৫১৯ দিন আগে
চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সাম্প্রতিক চীন সফর।
রবিবার (১৪ জুলাই) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমার এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।’
শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, গবেষণা, শিক্ষা, আইসিটি, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা বাড়ছে; যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও একটি আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়'-এর প্রতি বাংলাদেশের আনুগত্যের কথা তুলে ধরেন, যা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, জলবায়ু পরিবর্তন, ফিলিস্তিন সংকট, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন ও জাতিসংঘের মতো বৈশ্বিক বাস্তবতা বিবেচনা করে পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীন উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চালিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাইরেও এশিয়ার দেশগুলোর মতো ঐতিহ্যগত সম্পর্কের সঙ্গে প্রসারিত।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইস্যু তুলে ধরে এ সংকট সমাধানে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রত্যাবাসনে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও চীন একে অপরের সমর্থন চালিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ জুলাই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণে সহায়তার চারটি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন শি জিনপিং।
এই চারটি প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে চীন।
৫১৯ দিন আগে
জাতীয় অগ্রগতিতে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
ভবিষ্যতে দেশের ব্যাপক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিতে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে 'শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪'-এর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠাতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চাই আগামী দিনগুলোতে খেলাধুলাসহ দেশ প্রতিটি স্তরে এগিয়ে যাক।’
প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলতে এবং আত্মোন্নয়নে খেলাধুলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খেলাধুলা প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে সহায়তা করে এবং নিজেকে উন্নত করার চেতনা জাগায়।
তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রত্যেকে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ও প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। এজন্য আমরা খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা উপজেলা পর্যায়ে বছরব্যাপী প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে সরকারের উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমরা মানুষকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রতি আরও মনোযোগী করে তুলতে চেষ্টা করছি।’
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ফাইনাল খেলায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২-০ গোলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসিকে পরাজিত করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ দেখেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রবিবার
৫২০ দিন আগে
চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রবিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চীন সফরের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিং সফর করেন এবং বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন।
সফরকালে তিনি গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। উচ্চ পর্যায়ের এসব বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আলোকপাত করা হয়।
বাংলাদেশ ও চীন তাদের অংশীদারিত্ব জোরদারের লক্ষ্যে ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষসহ ৭টি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
৫২০ দিন আগে
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
চীনে ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চীনে ৮ থেকে ১০ জুলাই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৃথক বৈঠক করেন।
বুধবার সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতা নথিতে সই করেছে, যার বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। এসব নথিতে এশিয়ার এই ২ দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পর্কিত যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই শেষসহ ৭টি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি'র আমন্ত্রণে সরকারি সফরে সোমবার সকালে বেইজিং যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ২১টি সহযোগিতা নথি সই
৫২২ দিন আগে