গোপালগঞ্জে মারা গেছেন ইরান মজুমদার (৩৫) নামে এক আরোহী। তিনি সদর উপজেলার সুলতানশাহী গ্রামের নূর জালালের ছেলে।
শনিবার বিকালে সদর উপজেলার তুতবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, লিংক রোড থেকে হাইওয়ে সড়কে উঠার সময় মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কায় দেয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পিরোজপুরগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস। পরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও বাসের আট যাত্রী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইরানের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:সাভারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এদিকে, সাভারের আশুলিয়া থানার বিশমাইল জিরাবো সড়কে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। তার নাম হৃদয় হোসেন (১৮)। তিনি স্থানীয় কাঠগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হৃদয় ও তার বন্ধু সাদ্দাম মোটরসাইকেলযোগে বিশমাইল জিরাবো সড়ক দিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি অটোরিকশার সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা পরে আহত দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে হৃদয় মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন:হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি:
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণহীন বাস কেড়ে নিল ৪ প্রাণ
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।