সাভার
সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, দুই এএসআই প্রত্যাহার
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছিনতাই রোধে জেলা পুলিশের তল্লাশিতে অবহেলার অভিযোগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাভার মডেল থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ক্লোজড করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাহার করা দুই এএসআই হলেন- আব্দুল সাত্তার ও সারোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
জানা যায়, সম্প্রতি সাভারে একাধিকবার চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন এলাকায় চলন্ত বাসে তল্লাশির জন্য চেক পোস্ট বসানো হয়। আজ দুপুরে সেই তল্লাশির দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল সাত্তার ও সারোয়ার হোসেন। কিন্তু তারা বাসে তল্লাশি না করে সড়কের পাশে বসে ছিলেন। পরে তাদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, তারা বাসে তল্লাশি না করে সড়কে বসে ছিলেন। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
সাভারে দিনদুপুরে ফের দুটি চলন্ত বাসে ছিনতাই
সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ফের দুটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মহাসড়কের ব্যাংক টাউন ও সিঅ্যান্ডবি এলাকায় সাভার ও রাজধানী পরিবহনের দুটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত দুই মাসে এই এলাকায় প্রায় এক ডজন যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর ছিনতাইকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাভার পরিবহনের চালককে আটক এবং রাজধানীর দারুসসালাম থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছিনতাইয়ের শিকার স্থানীয় সাংবাদিক তায়েফুর রহমান জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বাসটি ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ডে থামানো হলে তিনজন যুবক তাতে ওঠেন। পরে বাসটি ব্যাংকটাউন সেতুর ওপর উঠলে নারী যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, গলার হার, কানের দুলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যান ওই তিন যুবক।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীরা তার স্ত্রীর গলায় থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লকেটসহ এক ভরি ওজনের সোনার হার নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য নারী যাত্রীদের কাছ থেকে একইভাবে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তায়েফুরের দাবি, ‘বাসটির চালক ও সহকারী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জড়িত। তাদের আইনের আওতায় আনা হলে ছিনতাইকারীদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই
অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় রাজধানী পরিবহনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি রেডিও কলোনি থেকে টিউশনি করে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে সিঅ্যান্ডবির আগে বাসটিতে হঠাৎ করে তিনজন যুবক ওঠেন।
তাদের তিনজনের কাছেই চাকু ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, একজন চালককে চাকু দেখিয়ে বাস থামান। অপর দুজন সব নারী যাত্রীদের স্বর্ণের হার, পুরুষ এক ব্যক্তির পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকাসহ অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান।
সাভারের টিআই বিশ্বপদ শর্মা সাভার পরিবহনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসটির চালককে আটক করার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাসটি রাজধানীর দারুসসালাম থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে সিঅ্যান্ডবির ঘটনাটির সম্পর্কে কিছু শুনিনি।’
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এমন কোনও সংবাদ আমি এখনও পাইনি। সেখানে তো আমাদের অলরেডি একটি চেকপোস্ট রয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।’
৫ দিন আগে
সাভারে ছিনতাই হওয়া ট্রলার উদ্ধার, মামলা
সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রী পারাপারের দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঘাট ইজারাদার সাভার পৌরসভার কর্ণপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
এদিকে ছিনতাইকৃত ট্রলার ২টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
সাভার পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম কর্নপাড়া ঘাটটি পরিচালনা আসছিলেন। ইজারাদার কামরুলের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত বুধবার অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান।’
‘টাকা না দেওয়ায় ইজারাদার কামরুলকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, অন্তর ও তার সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
মামলায় অন্তর খান, মোরশেদ খান, মোশারফ খান, হৃদয় ও রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি অন্তর হাতে পিস্তল নিয়ে ট্রলারের উপর দাঁড়িয়ে আছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বুধবার বিকালে মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলি করার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসামিদের ধরতে কাজ করছে।’
৬ দিন আগে
ঈদের রাতে সাভারে নৈশপ্রহরীকে গুলি করে হত্যা
সাভারে ঈদের রাতে এক নৈশপ্রহরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
নিহত রুবেল মিয়া (৩২) বাঁশপট্টি মহল্লার মনিরের মালিকাধীন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত দুই মাস ধরে তিনি ওই মহল্লার প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, গতকাল (সোমবার) রাত ১১টার দিকে তার স্বামীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। তার কিছু সময় পরেই খবর আসে, কয়েকজন তার স্বামীকে গুলি করেছে; তিনি বাঁশপট্টি এলাকায় পড়ে আছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি করে দুজনকে হত্যা
এনাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হরনাথ সরকার অর্ণব বলেন, ‘রুবেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখে গভীর ক্ষত ছিল। সেটা বুলেটের ক্ষত বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, ‘পুলিশ হাসপাতালে থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে এখনও হত্যাকাণ্ডের কারণ সর্ম্পকে বিস্তারিত জানা যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
১৫ দিন আগে
সাভারে ট্রাকচাপায় পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যু, চালক আটক
সাভারে উল্টো পথে চলা ট্রাকের চাপায় ফজলুর রহমান নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সোয়া ৫টায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে সাভারের বলিয়ারপুর ট্রাকপাচায় গুরতর আহত হন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সাভারের বলিয়ারপুর থেকে দায়িত্ব পালন শেষে সাভার মডেল থানায় ফেরার পথে বলিয়ারপুর এলাকায় তার মোটরসাইকেলটি উল্টো পথ ধরে আসা একটি ট্রাক তুলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফজলুর রহমান।
এ ঘটনায় অন্যান্য বাসযাত্রী পথচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। আটক ট্রাক চালকের নাম রাকিব (২৩)। তিনি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার কাচিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
জানা যায়, নিহত ফজলুর রহমান সাভার মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার মেরেঙ্গা গ্রামের মৃত সুনু ভুঁইয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে এস আই ফজলুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। তার দুই সন্তান রয়েছে । ৪ বছর বয়সী কন্যার নাম ফারহানা রহমান আয়াত ও ২ বছর বয়সী পুত্র মশিউর রহমান আলভী। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ আক্তার মেঘলা।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, ঘাতক ট্রাকচালক রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০ দিন আগে
সাভারে স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের স্লোগান, আটক ৩
স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে আটক পুলিশ। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সেলিম রেজা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও সোহেল পারভেজ।
সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার গাজী আহম্মদ হোসেন চাকলাদারের ছেলে, শহিদুল ইসলাম রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুর এলাকার ইছাহাক জমাদারের ছেলে ও সোহেল পারভেজ আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচটের (শেরআলী মার্কেট) মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১১টার দিকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে লাল পতাকা হাতে ফিরছিলেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ওই তিনজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির বলেন, ‘আনুমানিক ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছিলেন। এ সময় তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়।’
এছাড়া তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
২১ দিন আগে
সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই
সাভারের একই স্থানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দিনে দুপুরে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিবহনের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে মহাসড়কের সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে একই ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী বাসের যাত্রী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। বাসটি ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য থামলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। এ সময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।’
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারী সন্দেহে গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ভুক্তভোগী আরেক যাত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও একই স্থানে চলন্ত বাসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। আজ আমরাও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। আল্লাহর রহমতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত দিনের বেলাতেই যেভাবে ছিনতাইকারীরা বাসে উঠে ছিনতাই করছে, এতে আমরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।’
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৪৫ দিন আগে
সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে এক ব্যবসায়ীকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহত মোমিন ইসলাম (৩২) আশুলিয়া থানার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার বারবার রুবেল মোমিনকে মাদক ব্যবসা করতে চাপ দিলেও তিনি তাতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে দক্ষিণ বাইপাইল এলাকা থেকে দোকানে যাওয়ার পথে কিশোর গ্যাং চক্রের প্রায় ৩০ জন সদস্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
৫০ দিন আগে
সংবাদ প্রকাশের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই পদ ‘স্থগিত’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব মুসুল্লির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর পদটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও রাকিব বলছেন, তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার পদ বহালই আছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র আল মাসুদ সজীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে আজ (মঙ্গলবার) তা প্রকাশ্যে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাভার উপজেলা আহবায়ক কমিটির ‘যুগ্ম আহ্বায়ক’ রাকিব মুসুল্লির ব্যাপারে সম্প্রতি কিছু অভিযোগ ওঠায় এই বিষয়টি নিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্তে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাভার উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত রাকিব মুসুল্লির ‘যুগ্ন আহ্বায়ক পদটি অস্থায়ীভাবে (সাময়িক) স্থগিত করা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাকিব মুসল্লির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনবি। “‘জয় বাংলা ক্লাব’ সভাপতি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা!” শিরোনামে ইউএনবির প্রকাশিত ওই সংবাদ ছাড়াও আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর বেরোয়।
প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিলে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর রবিবারই সাময়িকভাবে তার পদ স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় সংগঠনটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোইবাল ফোনে রাকিব মুসুল্লি বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তবে পদ স্থগিত হয়নি। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সংগঠন যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
এই প্রতিবেদককে তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির শেষের লাইনটি, যেখানে আমার পদ স্থগিতের কথা লেখা, সেটি পরবর্তীতে যুক্ত করা হয়েছে। এটি আসল নয়। তবে এভাবেও সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন, প্যাড়া নাই।’
৫০ দিন আগে
সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এরা হলেন—ওলিউর রহমান ও হয়জুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার রহিম আফরোজ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকা মেট্রো নেট বাংলাদেশ থেকে মালামাল নিয়ে একটি গাড়ি সাভারে রহিম আফরোজ কারখানায় আসে। পরে দুপুরে কারখানার ভিতরে মালামাল নামানোর সময় হঠাৎ ফায়ার স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত ১
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কারখানা কতৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৫০ দিন আগে