উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে বেলজিয়াম। এমতাবস্থায় শেষ দুই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই দমিনিকো তেদেস্কোর দলের। এমন সমীকরণের সামনে রোমেলু লুকাকুকে দলে ফেরালেন কোচ।
আগামী বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইতালি ও ১৭ নভেম্বর বুদাপেস্টে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করবে বেলজিয়াম। এই দুই ম্যাচের জন্য শুক্রবার স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তেদেস্কো। ২৩ সদস্যের এ স্কোয়াডে আসরে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন লুকাকু।
নেশন্স লিগের প্রথম চার ম্যাচে জাতীয় দলে ছিলেন না লুকাকু। ক্লাব ফুটবলে দলবদলের কারণে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে খেলেননি তিনি। এরপর ফিট না থাকায় অক্টোবরের দুই ম্যাচেও দলের বাইরে ছিলেন ৩১ বছর বয়সী এই নাপোলি স্ট্রাইকার।
তবে শেষ দুই ম্যাচে তাকে দলে ফিরিয়ে তেদেস্কো বলেন, ‘ফিরতে তার কোনো সংশয় ছিল না। সে বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারদের একজন। নিজেকে কারও কাছে প্রমাণের প্রয়োজন নেই তার। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে- তার দক্ষতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে সহজাত নেতা এবং তরুণ ফুটবলারদের সাহায্য করতে তার জুড়ি নেই।’
আরও পড়ুন: এবার এমবাপেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) সর্বশেষ বেলজিয়ামের হয়ে খেলেন লুকাকু। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১১৯ ম্যাচে তার গোল সর্বোচ্চ, ৮৫টি। তার পরে ৩০ গোলের বেশি নেই আর কারও।
লুকাকু ফিরলেও কেভিন ডি ব্রুইনেকে পাচ্ছে না বেলজিয়াম। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে কদিন আগে ক্লাবের হয়ে মাঠে ফিরলেও ম্যানচেস্টার সিটির অনুরোধে এই মিডফিল্ডারকে স্কোয়াডে রাখেননি তেদেস্কো।
নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে বেলজিয়াম। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইতালি এবং ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফ্রান্স।
বেলজিয়ামকে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে তাই নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, অন্যান্য ম্যাচের ফলের দিকেও তাদের চেয়ে থাকতে হবে। কারণ গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উঠবে শেষ আটে।
আরও পড়ুন: চেলসি ছেড়ে নাপোলিতে লুকাকু
বেলজিয়াম স্কোয়াড
গোলরক্ষক: কোয়েন কাস্টিলস (আল কাদসিয়াহ), মাটস সেলস (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), মার্টেন ফন্ডেফুর্ট (লাইপসিগ)।
ডিফেন্ডার: আমিন আল-দাখিল (স্টুটগার্ট), টিমোথি কাস্টানিয়া (ফুলহ্যাম), জেনো ডেবাস্ট (স্পোর্তিং), মাক্সিম ডি কাইপার (ক্লাব ব্রুজ), ভাউট ফাস (লেস্টার সিটি), হোয়াকিন সেইস (ক্লাব ব্রুজ), মাতে স্মেটস (গেঙ্ক), আর্থুর থেইয়াটে (ফ্রাঙ্কফুর্ট)।
মিডফিল্ডার: চার্লে ডি কেইটেলারে (আতালান্তা), আর্নে এঙ্গেলস (সেল্টিক), রোমিও লাভিয়া (চেলসি), ওরেল মাঙ্গালা (এভারটন), আমাদু ওনানা (অ্যাস্টন ভিলা)।
ফরোয়ার্ড: ইয়োহান বাকায়োকো (আইন্ডহোভেন), জেরেমি ডকু (ম্যানচেস্টার সিটি), মালিক ফোফানা (অলিম্পিক লিওঁ), দদি লুকেবাকিও (সেভিয়া), রোমেলু লুকাকু (নাপোলি), লুইস ওপেন্ডা (লাইপসিগ), লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড (আর্সেনাল)।