বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে লাইভ ফেসবুক সেশনে সর্বশেষ অতিথি ছিলেন বিরাট। রোহিত শর্মার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেট তারকা হিসেবে বিরাট তামিমের এ শোতে যোগ দেন।
বর্তমানে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিরাট এবং টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতেও সেরা দশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
অনলাইন আড্ডার শুরুতে, ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বিরাট। তামিমের সাথে একমত হয়ে তিনি বলেন যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই অনেক লড়াই করে যাচ্ছে।
বিরাট কোহলি বলেন, ‘এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া। এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সময় লাগবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং আমি মনে করি পৃথিবী কখনই আর একই রকম থাকবে না। আগামী দিনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। এগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি না।’
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মানুষ যখন দেখে যে কেউ কোনো একটা বিষয় মোকাবিলা করতে লড়াই করছে তখন সাহায্য করার জন্য প্রত্যেকে এগিয়ে আসে। আমি মনে করি যে উভয় দেশের অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছে এবং আমাদেরকে তাদের সহায়তা করতে হবে। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের খোঁজখবর নেয়া দরকার, যারা খাবার এবং মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছেন না। সরকার এখন তাদের নিজ দেশে ফিরে আসার অনুমতি দিচ্ছে।
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর দিনগুলিতে বিরাটকে অন্যরকম ব্যাটসম্যান মনে হলেও পরের দু-তিন বছরে বিরাট অনেক উন্নতি করেছেন বলে জানান তামিম।
বিরাট বলেন, ‘কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে আসার পরে সে চিন্তা করে কীভাবে একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায়, কখনও কখনও সে নিজেকে নিয়ে দিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েকটি ম্যাচ খেলার পড়ে দলে আমার জায়গা হয়নি। ২০০৯ সালে আমি আরও একটি সুযোগ পাই। তখন থেকেই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়া শুরু হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে আমাকে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য এরকম খেলে যেতে হবে।’
বিশ্বের এক নম্বর এ ব্যাটসম্যান জোর দিয়ে বেলেন, কোনো ব্যাটসম্যানকে তার ক্যারিয়ারের একটি সময় কাটানোর জন্য যে বিষয় প্রধান হিসেবে দেখা দেয় তা হলো মানসিকতা। কোনো ব্যাটসম্যানকে তার প্রতিপক্ষদের নিয়ে বেশি চিন্তা করা উচিত না। এটি না করে, তাকে কীভাবে আরও খেলা যায় সে মানসিকতা তৈরি করা উচিত।
কোনো ম্যাচের আগের দিন বেশি প্রশিক্ষণের উপর জোর না দিয়ে তার নিজের খেলাটি খেলায় মনোযোগী হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিরাট বলেন, ‘কোনো ব্যাটসম্যান যদি তার প্রশিক্ষণ এবং ডায়েটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন এবং যদি খেলার জন্য ফিট মনে করেন তবে ম্যাচের দিনেই খেলতে পারেন এবং প্রতিবার সেরা খেলোয়াড় হওয়ার সুযোগ আছে।’