বিরাট কোহলি
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৪ মাস আগে
দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও শ্রীলঙ্কা কাঁদায় তাদের। ১৭ বছর পর ফের ফাইনালে কাঁদল ভারত। তবে এবার আর হতাশা নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে কাঁদলেন রোহিত-হার্দিকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসরে এসে অবশেষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এ সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের চেষ্টার পর একেবারে টি-টোয়েন্টির প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া।
টস জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে নাটকের পর নাটক, ম্যাচে একের পর এক পালাবদলের পর মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
দুই দলই তুমূল লড়াইয়ের স্মরণীয় এক ফাইনাল উপহার দিল। তবে প্রথমবার কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলাররা। ফলে সামান্য ব্যবধানে হেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল প্রোটিয়াদের। আর প্রায় দেড় যুগের অপেক্ষা শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।
প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৩৯ এবং ডেভিড মিলার ২১ রান করেন।
অন্যদিকে, বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত চার ওভারে ১৮ ও ২০ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের পর এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে হারিয়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ বড় করে দেয়ায় ফাইনাল ম্যাচের রাজা বিরাট কোহলি। আর আসরজুড়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখানো জসপ্রিত বুমরাহ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।
৪ মাস আগে
ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে রানখরা গেলেও ফাইনালে ঠিকই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। তার ব্যাটের হাসিতে শুরুতে উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত, আর প্রোটিয়াদের দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে ভারত।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৫৯ বলে এই রান করতে গিয়ে তিনি দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ এবং শেষের দিকে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে তা অব্যহত রাখেন রোহিতও। কিন্তু ওই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রোহিত, কিন্তু চতুর্থ বলেই মহারাজের শর্ট লেঙ্থ ডেলিভারিটি সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
রোহিত সুইপ করলে বলটি প্রায় মাটি ছুঁয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে বাঁ দিকে খানিকটা ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করা ক্লাসেন।
এরপর, ক্রিজে এসে পঞ্চম ডেলিভারিটি দেখেশুনে খেলে পরের বলেই মহারাজের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে টপ এজ হয়ে যান ঋষভ পান্ত। উইকেটের পেছন থেকে ডি কক সহজ ক্যাচ নিলে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ভারতীয় উইকেটরক্ষককে।
এর ফলে ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত। আর শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এসময় সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি।
তৃতীয় ওভারে রাবাদার শেষ ডেলিভারিতে ফের একটি ক্যাচ উঠেছিল, তবে ফাঁকায় পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান কোহলি।
এদিন এক-দুই রান বাঁচাতে ফিল্ডিংয়ের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর দলীয় পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে সূর্যকুমারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। কিন্তু মারে জোর না থাকায় ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
তিনি ৪ বলে ৩ রান করে ফিরে গেলে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর তুরুপের তাস হিসেবে বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেন রোহিত।
অক্ষর-কোহলি জুটি অক্ষত রেখে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে ভারত। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন অক্ষর। নিয়মিত বিরতিতে চার-ছক্কা বের করতে থাকেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় প্রথম দশ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। এরপর ১৩.১ ওভারে রাবাদাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পার করেন অক্ষর।
তবে এর দুই বল পরই দুঃখজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান তিনি। এই রান সংগ্রহ করতে তিনে মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে কোহলিকে তাল দিতে থাকেন শিবম দুবে। এর মাঝে ৪৮ বলে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি। এরপর ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফিরে যান শিবমও (২৭), আর নর্টকিয়ার শেষ বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জাদেজাকে থামান মহারাজ। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা ছুঁতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
৪ মাস আগে
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাধারণ সেঞ্চুরির দিনে বিরাট কোহলির ৫ রেকর্ড
এশিয়া কাপের সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি তাদের অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। এদিন কোহলি এক ম্যাচে তার ক্যারিয়ারে পাঁচটি রেকর্ড করেছেন।
চলুন এক নজরে রেকর্ডগুলো দেখে নেওয়া যাক:
১. দ্রুততম ১৩ হাজার রান
শচীন টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করার মাইলফলক অর্জন করতে ৩২১ ইনিংস খেলেছিলেন। যেখানে কোহলি ২৬৭ ইনিংসে এই রান পূর্ণ করেছেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র পাঁচ জন এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন।
শচীন ও কোহলি ছাড়া বাকি তিন ব্যাটার- রিকি পন্টিং, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও সনৎ জয়াসুরিয়ারও ১৩ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে ৩০০ টিরও বেশি ইনিংস প্রয়োজন হয়েছে।
২. আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বিরাটের অসাধারণ রেকর্ড
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং সব সময় অনুকূল থাকে 'চেজ মাস্টার' কোহলির। এই স্টেডিয়ামে তার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২৮ দশমিক ২০ ওডিআই গড় রয়েছে। এই স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে টানা চারটি সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি।
আরও পড়ুন: তামিমের সাথে ফেসবুক লাইভে যা বললেন বিরাট কোহলি
৩. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ
১৯৯৬ সালে শারজাহতে নভজ্যোত সিং সিধু ও শচীন টেন্ডুলকারের ২৩১ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড ভেঙে এদিন রাহুলের সঙ্গে কোহলি রেকর্ড ২৩৩ রানের (অপরাজিত) পার্টনারশিপ গড়েছেন।
যা ওডিআইতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।
৪. এশিয়া কাপে সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ান দ্বিতীয় ক্রিকেটার
এশিয়া কাপে কুমার জয়সুরিয়ার (৬ সেঞ্চুরি) পরে বিরাট কোহলি যৌথভাবে কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড করেছেন এই ম্যাচে।
৫. ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সেরা গড়
ওয়ানডে ফরম্যাটে কোহলির রানের গড় ৫৭ দশমিক ৬২।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ১০০ ইনিংসে সর্বোচ্চ গড় রানের রেকর্ড পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজমের, এরপরই অবস্থান বিরাট কোহলির।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব পেয়েই সৌরভ বললেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ বিরাট কোহলি
বিবাহ বার্ষিকীতে ভক্তদের জন্য বিরাট-আনুশকার চমক
১ বছর আগে
এশিয়া কাপ: রোহিত ও বিরাটকে সাজঘরে ফেরালেন শাহিন আফ্রিদি
শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের বহুল প্রত্যাশিত ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এরপর একে একে শ্রেয়াস আইয়ার ও শুভমান গিলও ফিরে যান।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৮ রানে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেয়েছে ভারত।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ২৩ ওভার ৩ বলে ১১৯ রান করেছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ স্কোয়াডে লিটনের পরিবর্তে এনামুল
ঘরের মাটিতে নেপালের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইতোমধ্যে জয় নিশ্চিত করার পর পাকিস্তান তাদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, ভারত আজকের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দিয়েই তাদের অভিযান শুরু করছে।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, ঈশান কিষাণ (উইকেটকিপার), বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজ।
পাকিস্তান একাদশ
ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে টাইগাররা
এশিয়া কাপ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
ঈশান কিশাণের ডাবল সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সংগ্রহ ৪০৯ রান
ভারতীয় বাঁ-হাতি ব্যাটার ঈশান কিশাণ চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে তিনি ২৯০ রানের এক দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন এবং ব্যক্তিগত ২১০ রানে আউট হন।
তার রেকর্ডভাঙা এই সেঞ্চুরির ফলে আজকের ম্যাচে ভারত ৪০৯ রানের এক বিশাল সংগ্রহ করে।
ঢাকায় আগের ম্যাচে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায়, আজকের ম্যাচের একাদশে শর্মার বদলে ঈশানকে নেয়া হয়।
শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন ২৪ বছর বয়সী ঈশান। তবে, শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে সাঁজঘরে ফেরেন ঈশান।
বাংলাদেশ বনাম ভারতের ওয়ানডে খেলায় লিটন দাস ও তামিম ইকবালের ২৯২ রানের দানবীয় জুটির পর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে ৩য় ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ঈশান ও বিরাটের ২৯০ রানের জুটি ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের মধ্যে ২৮২ রানের পার্টনারশিপকে টপকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ওয়ানডে জুটি।
শিখর আউট হওয়ার পর ঈশান ১৩১ বলে ২১০ রান করেন। যার মধ্যে ২৪টি চার এবং ১০টি ছক্কা ছিল।
তিনি ৪৯ বলে একটি ফিফটি এবং ৮৫ বলে একটি সেঞ্চুরি (১৪ চার ও ২ ছক্কা) করেন।
ঈশানের আউটের পর বিরাটও ওয়ানডেতে তার ৪৪তম সেঞ্চুরি করেন।
শেষ পর্যন্ত, ভারত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: টাইগারদের লক্ষ্য ভারতকে ক্লিন সুইপ করা
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
১ বছর আগে
বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে ভারত অল-আউট হয়েছে।
মিরপুরের মাঠে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট ভারতীয় দলকে নাস্তানাবুদ করে। ওয়ানডেতে সাকিবের এটি চতুর্থবার পাঁচ উইকেট শিকার।
সাকিব তার প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট নেন। এরপর থেকে সাকিবের আক্রমণ চলতেই থাকে। সপ্তম ওভারে তিনি আবারও দু’টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সাকিবের বলে বাকি যে তিনটি উইকেটের পতন হয়- ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর ও দীপক চাহার। মাত্র ছয় ওভার ৪ বলেই তিনি এই কৃতিত্ব দেখান।
এর আগে সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি পাঁচটি করে উইকেট নেন।
ভারতীয় ব্যাটারদের সাকিবের স্পিন দক্ষতায় বেশ কঠিন সময় পাড় করতে হয়েছে। অন্যদিকে এবাদত হোসেন চারটি উইকেট নিয়েছেন। আর একটি উইকেট নেন মেরাজ।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া সুযোগ পেয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ লিটন
১ বছর আগে
এশিয়া কাপ ২০২২: পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের টান টান উত্তেজনার ম্যাচে রবিবার পাঁচ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দল। ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান দল।
পাকিস্তান ও ভারত টি২০ দল এর মধ্য দিয়ে দশম বারের মতো একে অপরের বিরুদ্ধে খেলছে। এরমধ্যে ভারত ছয়টিতে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৭ সালে টি২০ খেলায় সর্বোচ্চ জয় পেয়েছিল ভারত। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান হেরেছিল।
বছরের পর বছর পাকিস্তান টি২০ দলে সম্পৃক্ত এবং ভারতও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আইপিএল কাঠামোয় এসেছে। আইপিএল প্রতিবছর ভারতের জন্য নতুন প্রতিভাবানদের খুঁজে নেয় যখন পাকিস্তানও পিএসএল থেকে একইরকম সুবিধা নিয়ে আসছিল।
পড়ুন: এশিয়া কাপ: ১৪৮ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেট রক্ষক) ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ ধনি।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দিনেশ কার্তিক(উইকেট রক্ষক), হার্দি ক পান্ডে, রবীন্দ্র যাদেজা, ভুবেনশ্বর কুমার, অভিষ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং।
পড়ুন: এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক আফিফ
২ বছর আগে
ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বিরাট কোহলি
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ হারের একদিন পর ভারতের টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি। শনিবার সন্ধ্যায় ৩৩ বছর বয়সী এই ক্যারিশম্যাটিক ক্রিকেটার ইন্সটাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
তিনি তার পোস্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), সাবেক প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী এবং তার পূর্বসূরি এমএস ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘দলকে সঠিক দিকে নিয়ে যেতে সাত বছরের প্রতিটা দিন পরিশ্রম করেছি। নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যবসায় বজায় রেখে চলেছি। সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে আমি সেই কাজটা করেছি। সেখানে কিছু ফাঁক রাখিনি। সবকিছুকেই কোনও না কোনও সময় থামতে হয়। আমার কাছে ভারতীয় দলের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় এসে গেছে।’
দলের সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিরাট বলেন, ‘এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে দেশের হয়ে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই। আরও বেশি করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সতীর্থদের,যারা প্রথম দিন থেকে দলকে নিয়ে আমার যে লক্ষ্য ছিল, তা পূরণের সঙ্গী হয়েছেন। কোনও পরিস্থিতিতে তারা হাল ছাড়েননি।আপনারা এই যাত্রাকে এতটা সুন্দর ও স্মরণীয় করে তুলেছেন।’
এই পোস্টের পর বিসিসিআই এর পক্ষ থেকে দেয়া এক টুইট বার্তায়, বিরাট কোহলিকে তার ‘প্রশংসনীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর’ জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ছাড়ছেন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন
এক টুইটে বোর্ড লিখেছে, ‘#টিমইন্ডিয়া অধিনায়ককে বিসিসিআই এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। @আইএমভিকোহলি তার প্রশংসনীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য যা আমাদের টেস্ট দলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি ৬৮টি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ৪০টি জয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে প্রমাণ করেছেন।’
গত বছরের ডিসেম্বরে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে কোহলির স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। মাত্র এক মাস আগে কোহলি টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, এরপর ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয় বোর্ড।
ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে বিশ্বের সেরা সমসাময়িক ব্যাটসম্যানদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিশ্বের সেরা ওডিআই ব্যাটসম্যানদের একজন।
২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন কোহলিকে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে উল্লেখ করে। ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়কারী বিরাট ২০২০ সালে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে শীর্ষ ১০০ সর্বোচ্চ বেতনভোগী ক্রীড়াবিদদের একজন হিসেবে ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নেন।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরছেন জেমি সিডন্স
বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে
বিরাট কোহলির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি, তদন্ত করছে পুলিশ
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৯ মাস বয়সী মেয়েকে অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
২৪ অক্টোবর দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরাট কোহলির মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন ঘৃণ্য মন্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটার মো. সামির পক্ষে নিজের সমর্থন জানানোর পর থেকে এ ঘৃণা প্রচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার ইউএনবিকে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশের সাইবার গোয়েন্দারা বিরাট কোহলি ও বলিউড তারকা আনুশকা শার্মার মেয়েকে অনলাইনে ধর্ষণের হুমকির বিষয়টি তদন্ত করছে। অপরাধীকে ধরতে ও তাদের আইনের আওতায় আনতে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন: ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পদ ছাড়ছেন বিরাট কোহলি
তামিমের সাথে ফেসবুক লাইভে যা বললেন বিরাট কোহলি
৩ বছর আগে