তবে, কোয়ালিফায়ার পর্বের প্রথম ম্যাচের আগে বাবাকে হারানো শহিদুলের জন্য এটা মোটেও সহজ কাজ ছিল না।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন- প্রথমে এমনটা আশাই করছিলেন না তরুণ এ পেসার। মাত্রই কিছু দিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন বলে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সময় নিতে বলেছিল। তবে, এ পেসার খেলার ব্যাপারের নিজের লক্ষ্যে অটল ছিলেন এবং ফাইনাল ম্যাচে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে তরুণদের জ্বলে ওঠায় উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন বিসিবি প্রধান
এতে শুধু এই পেসারের সাহসের প্রশংসা করাই যথেষ্ট হবে না। এর মধ্যে দিয়ে মানসিক শক্তির আরও দৃঢ় অংশ উঠে এসেছে যেটি সম্পর্কে হয়ত খোদ শহিদুলেরই ধারণা ছিল না।
ফাইনালের শেষ ওভারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। এমন টানটান উত্তেজনার সময়ে শাহিদুল ইসলামের ওপরই ভরসা রাখেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের শিরোপা খুলনার ঘরে
শেষ ওভারের প্রথম দুটি বলে মাত্র তিন রান দেন শহিদুল। তৃতীয় বলে স্লো ফুলটস দিয়ে ১৪ বল খেলে ১৯ রান করে ব্যাট করতে থাকা মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেট তুলে নেন। পরের বল ইয়ার্কার দিয়ে সৈকত আলীকে বিদায় করেন। ইতোমধ্যে অর্ধশতক মেরে তিনি খুলনার জন্য সবচেয়ে হুমকি হয়ে উঠেছিলেন।
চরম গুরুত্বপূর্ণ ওই ওভারে পর পর দুটি উইকেট নিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন শহিদুল। তার করা শেষ দুই বলে একটি ছয়সহ চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা সাত রান সংগ্রহ করতে পারলেও জয়ের কাছ থেকে ছয় রান পিছিয়েছিল দলটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে খুলনার হয়ে খেলবেন মাশরাফি
আট ম্যাচ খেলে এক ম্যাচে চার উইকেটসহ ১৫ উইকেট নিয়ে শহিদুল টুর্নামেন্টে পঞ্চম সেরা বোলার হিসেবে জায়গা করে নেন।
সেরা বোলাদের তালিকায় ১০ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং এ তালিকায় ১৭ ও ১৬ উইকেট নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন মুক্তার আলী ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ: সুযোগ পেয়েই জাকির হাসানের চমক, বরিশালকে হারাল খুলনা
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার, ফেবারিট তকমা খুলনার