অপরাজিত থেকে শনিবারের খেলা শেষ করেছেন বাবর আজম (১৪৩) ও আসাদ শফিক (৬০)। সেই সাথে ওপেনার শান মাসুদ করেছেন ১০০। আর অধিনায়ক আজহার আলীর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
যদিও দিনের শুরুতেই পাকিস্তানের আরেক ওপেনার আবিদ আলীকে ফিরিয়ে চ্যালেঞ্জের বার্তা দিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই আগের তিন ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করা আবিদকে ফেরান আবু জায়েদ। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের একটি বল তাড়া করতে গিয়ে ঠিক মতো খেলতে পারেননি আবিদ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। তখন দলীয় সংগ্রহ মাত্রা ২ রান।
এ অবস্থা থেকে শানের সাথে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক আজহার। আবু জায়েদের দ্বিতীয় শিকার করে আজহারের বিদায়ের পর শানকে সঙ্গ দিতে আসেন বাবর। তারা যোগ করেন আরও ১১২ রান। দলীয় ২০৫ রানের সময় শান সমান ১০০ করে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন।
পরের অধ্যায়টুকু বাংলাদেশের বোলারদের জন্য ছিল শুধুই ব্যর্থতাময়। তাদের শাসন করে ১০৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সাজঘরে ফেরেন বাবর ও আসাদ।
এর আগে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সংগ্রহ থামে ২৩৩ রানে। তারা খেলতে পারেন ৮২ ওভার ৫ বল। আলোর স্বল্পতার কারণে দিনের বাকি খেলা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। সেই সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪), লিটন দাস (৩৩), অধিনায়ক মুমিনুল হক (৩০), মাহমুদউল্লাহ (২৫) ও তাইজুল ইসলাম (২৪) ছাড়া আর কেউ বলার মতো কোনো অবদান রাখতে পারেননি।