বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরুর আগে ব্যাতিক্রমধর্মী ঘণ্টা বাজিয়ে স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্রিকেটের পথচলা শুরু করেন আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
অভিষিক্ত স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যকে কাছে পেয়েছেন টানা তিন ওয়ানডে ম্যাচে টস হারা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। টস জিতে তাই ব্যাটিংও করেন তারা। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৩৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ২টি, আবু জায়েদ, নাজমুল হোসেন এবং মাহমুদুল্লাহ একটি কয়ে ইউকেট পেয়েছেন।
ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার এমন রীতি প্রথম দেখা যায় একযুগ আগে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডস গ্রাউন্ডে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনও সেটি অনুসরণ করছে ২০১৬ সাল থেকে। পৃথিবীর তৃতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে এমনটি হয়েছে সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
তবে অন্য দুটি ভেন্যুতে তাদের অভিষেক ম্যাচে এমনটি ঘটেনি। তাই অভিষেক ম্যাচের দিক দিয়ে ঘন্টা প্রথম বাজলো সিলেটের ভেন্যুতে।
এদিকে আরেকটি দিক দিয়েও সিলেট ভেন্যু রয়েছে প্রথমে। বাংলাদেশের কোনো টেস্ট ভেন্যুর অভিষেক মুহূর্তে ছিল না লাল গালিচা। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের শততম টেস্ট উদযাপনে সবুজ গালিচা বিছিয়ে প্রশংসিত হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
অভিষেক টেস্ট ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ স্মারক কয়েন দিয়ে সিলেটের প্রথম টেস্ট ম্যাচের টস করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পর্যটন, ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইতিহাস প্রভৃতি নানা তথ্য তুলে ধরে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ প্রকাশনা স্যুভেনির ‘গ্লিম্পস অব সিলেট’।
ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচ শুরু, বিশেষ কয়েন দিয়ে টস, গ্রিন গ্যালারি তো আছেই; নতুন আকর্ষণ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ‘তারকা গ্যালারি’।
যেসব ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে সিলেটের নাম উঠেছে সেসব সাবেক সব খেলোয়াড়দের ছবির পাশাপাশি ঐতিহাসিক সব বিজয় ও ঘটনার ছবিও স্টেডিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে শিল্পীদের হাতের জাদুতে। স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে এই মিউজিয়াম।
সিলেটের হয়ে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করা শফিকুল হক হীরা, অলক কাপালি, রাজিন সালেহ, তাপস বৈশ্যসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যন্ডের ওই বিশেষ কর্নারে। গ্যালারির নাম রাখা হয়েছে ‘ন্যাশনাল ক্রিকেটার্স ফ্রম সিলেট।’
এছাড়াও সিলেটের যারা জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তাদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।