আর এর মাধ্যমে বিপিএল ইতিহাসের প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের চিটাগং ভাইকিংস। অপরদিকে চার ম্যাচ খেলেও জয়শূন্য থাকতে হলো মাহমুদুল্লার খুলনা টাইটানসকে।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচের খেলায় পেণ্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টাই হলেও মূল ম্যাচের মতো সুপার ওভারের নায়কও সেই ফ্রাইলিঙ্ক।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে খুলনা। ১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ভালো করলেও মাঝের বিপর্যয়ে প্রায় ছিটকে যাচ্ছিল চিটাগং ভাইকিংস।
শেষ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ব্যাটিংয়ে ছিলেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও নাইম হাসান। অন্যদিকে বলে ছিলেন খুলনার আরিফুল হক।
আরিফুলের করা ওভারের প্রথম বলে শূন্য রান করে দ্বিতীয় বলে বিশাল ছক্কা হাঁকান নাইম। পরের বলে আউট হয়ে ফিরে যান নাইম। অন্যদিকে পরপর দু’বলে দু’টি বিশাল ছক্কা মেরে স্কোরবোর্ডে সমতা আনেন এবারের আসরে ফর্মের তুঙ্গে থাকা রবি ফ্রাইলিঙ্ক।
এক পর্যায়ে শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রান প্রয়োজন হলেও সেই বলটি ব্যাটে লাগাতে করতে ব্যর্থ হলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচটি।
সুপারওভার:
প্রথম বলে যদিও জুনাইদ খানকে বাউন্ডারি মেরে পরের বলে সিঙ্গেল নেন ক্যামেরন দেলপোর্ত। স্ট্রাইক পেয়ে তৃতীয় বলে চার মেরে পরের বলে আউট হন ফ্রাইলিঙ্ক। আর শেষ দুই বল থেকে আসা দুটি সিঙ্গেলের সৌজন্যে ১১ রানের পুঁজি পায় চিটাগং।
১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আবারও বোলিংয়ে আসেন সেই ফ্রাইলিঙ্ক। আর খুলনার ব্যাটিংয়ে আসেন কার্লোস ব্রাথহোয়াইট ও ডেভিড ম্যালান।
প্রথম বলে মাত্র এক রান দিলেও দ্বিতীয় বলে ডেভিড ম্যালানের ব্যাটে চার হজম করার পর খুলনাকে আর সুযোগ দেননি ফ্রাইলিঙ্ক।
প্রথম ৫ বলে ৯ রান দেয়ার পর শেষ বলে খুলনার প্রয়োজন ছিল ৩ রানের। কিন্তু খুলনার পল স্টার্লিং শেষ বলটি ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হলে বাই থেকে ১ রানের সৌজন্যে ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। ফলে শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে যায় তারা।