শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের জন্য নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করার কথা ভাবছি, যে পরের বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে আমরা নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করতে পারি না। কমপক্ষে দুই বছর আগে আমাদের নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করতে হবে। আগামী মাসের ৮ বা ৯ তারিখে আমাদের একটি বোর্ড সভা আছে। বোর্ড সভার পরে আপনি জানতে পারবেন (পরবর্তী অধিনায়ক কে)। এখন আমরা এই সিরিজের (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ) জন্য অপেক্ষা করছি।’
‘এটা সত্য যে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির বিকল্প আমাদের কাছে নেই। মাশরাফি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য যা করেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ। তবে একই সাথে আমার মনে হয় মাশরাফি কতদিন খেলতে চায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে,’ যোগ করেন নাজমুল।
বিসিবি সভাপতি দাবি করেছেন যে মাশরাফি তাকে বলেছিলেন বিশ্বকাপের পর ঘরের মঠে টি-টোয়েন্টি খেলা থেকে তিনি অবসর নেবেন।
নাজমুল বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপের সময় মাশরাফির সাথে কথা বলেছি। সে আমাকে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার কথা বলেছিল। তবে আমি লক্ষ্য করেছি যে বিশ্বকাপের পরে তার মন বদলেছে। আমি সংবাদপত্রগুলোতে আরও দেখেছি যে সে চায় না যে বিসিবি তার অবসর গ্রহণের দিন কোনো আয়োজন করুক। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরের বিশ্বকাপে কে নেতৃত্ব দেবে আমরা এক বা দুই মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। মাশরাফি আছে কি নেই আপনারা পরে জানতে পারবেন।’
অধিনায়ক হিসেবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ মাশরাফির শেষ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল বলেন, ‘সে এখনও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। আমরা একটি বোর্ড সভা ডেকেছি (পরবর্তী অধিনায়ক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে)।’
জাতীয় দলের হয়ে বাছাইয়ের মানদণ্ড যদি বজায় রাখতে পারে, নতুন অধিনায়ক নিয়োগের পরেও মাশরাফি চাইলে খেলতে পারবে, বলেন নাজমুল। একই সাথে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অধিনায়কত্ব হারানোর পরে জাতীয় দলে মাশরাফির জায়গার নিশ্চয়তা দেবে বোর্ড।
আগামী ১ মার্চ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩ ও ৬ মার্চ।