আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় আর ২০ থেকে ২৫ দিন এই সবজির দাম একটু বেশি থাকবে। তারপর নতুন সবজি এসে যাবে তখন দাম কমে আসবে।’
তবে আলুর দাম বাড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাবসায়ীরা নৈতিকতার বাইরে গিয়ে প্রতি কেজি আলুতে অন্তত ২০ টাকা লাভ করছেন।’
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা (আলু) কিনেছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা করে। কিন্তু এটা তাদেরকে ৪৫-৫০ টাকা করে কেনো বিক্রি করতে হবে? এই লাভ করার প্রবনতা, ন্যূনতম একটা নৈতিকতা তাদের মধ্যে কাজ করে না। এক কেজি আলুতে ২০ টাকা লাভ করা কি সহজ কথা। বর্তমানে চাহিদা থাকায় সে সুযোগ তারা নিচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আইন শৃংখলা বাহিনী এবং প্রশাসন চেষ্টা করে। তবে বাস্তবে এটা করা যায় না। বাজারে চাহিদা এবং ব্যবসায়ী নানান কারসাজির কাছে এটা করা খুব কঠিন একটা কাজ। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছি না।’
‘তিন পর্যায়ে এই দাম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এই ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা। এই দামে আলু বিক্রি না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’