শখের বশে করা মাছ চাষে এখন নিজের চাহিদা মিটিয়েও পাশ্ববর্তী পরিবারগুলোতে সরবরাহও করছেন তিনি।
স্বল্প পুঁজিতে নিজের চেষ্টায় গড়া চাষ পদ্ধতিটি নিজের পরিবারের সদস্যরা দেখাশোনা করেন। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও শিং মাছ ছাড়াও অন্য মাছ চাষ করা হয় চৌবাচ্ছায়। পদ্ধতিটি ব্যবহার করে যে কেউ পরিবারের মাছের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রিও করতে পারবে বলে জানান ইকবাল হোসেন।
প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী শোভানগর গ্রামের ইকবাল হোসেন। ইউটিউবে বাড়ির উঠানে স্বল্প খরচে চৌবাচ্ছায় মাছ চাষ পদ্ধতিটি দেখেন। এরপর মাছ চাষের প্রতি শখ জাগে এবং শুরু করেন শখ বাস্তবায়ন।
বাড়ির উঠানে গেল বছরের জানুয়ারিতে ৭ ফুট বাই ৮ ফুটের তিনটি চৌবাচ্ছায় মাছ চাষ শুরু করেন। সর্বসাকুল্যে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রথমে বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করলেও পরে শিং, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ উপযুক্ত বলে মনে করেন। বর্তমানে তার তিনটি চৌবাচ্ছায় কয়েকশত মাছ রয়েছে। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বাড়িগুলোতে বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ আখন্দ বলেন, পানি ও অক্সিজেনের সরবরাহ থাকলে যেকেউ চৌবাচ্ছায় মাছ চাষ করতে পারে। এ মাছ চাষে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা লাগে না। তাই চৌবাচ্চায় উৎপাদিত মাছ হয় পরিবেশসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত। বাণিজ্যিকভাবে না হলেও স্বল্প খরচের এ চাষে পরিবারের পুরো বছরের মাছের চাহিদা মেটানো যায়। পাশাপাশি কিছু বিক্রিও করা যায়। তাই গ্রাম বা শহরর যে কেউ এ পদ্ধতিটি নিয়ে মাছের চাহিদা মিটাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ যে অবস্থানে রয়েছে তা আরও বাড়াতে চাষ বাড়াতে হবে। তাই চৌবাচ্চায় মাছ চাষ বাড়াতে উৎসাহিত করলে উৎপাদনে যেমন রাখবে ভূমিকা তেমনি চাহিদা মিটবে পরিবারের।