বায়ুদূষণে দিল্লি ও মুম্বাই বরাবরই ভারতের অন্যান্য বড় শহরগুলোর তুলনায় এগিয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাকে এই তালিকায় দেখা গেলেও প্রায় সবসময়ই দিল্লির চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকে শহরটির বায়ুমান। তবে আজ সকালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ শহর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কলকাতা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলকাতার একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫, বায়ুমান শ্রেণিতে যা ‘অস্বাস্থ্যকর’। ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে কলকাতার উপরে ছিল কেবল কঙ্গোর কিনশাসা।
এই সময়ে ১৫২ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় সৌদি আরবের রিয়াদ এবং স্কোর ১৪৩ নিয়ে চতুর্থ দূষিত শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা।
বৃষ্টিবর্ষায় বেশ কিছুদিন ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’, এমনকি কোনো কোনোদিন ‘ভালো’ হয়ে উঠলেও আজ সেই অবস্থার লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে। একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১২৭। এই স্কোর ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত এবং বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ লাহোরের দারুণ উন্নতি, শীর্ষ পাঁচে শিকাগো
এ ছাড়া, দিল্লির বাতাস রয়েছে আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে। শহরটির স্কোর ছিল ৭৯ এবং দূষিত শহরগুলোর তালিকার ২৩তম স্থানে ছিল এর অবস্থান।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।